৬ তলার ওপর হেলে পড়েছে ৩ তলা দুটি ভবনই ভেঙে ফেলার নির্দেশ
রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়ায় একটি তিনতলা
ভবন পাশের ছয়তলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। দুটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ বলে রাজধানী
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে জানানো হয়েছে। ভবন দুটিকেই ভেঙে ফেলার
নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার রাতে ডেমরার সারুলিয়ার
পূর্ব হাজিনগরের ভবনটি হেলে পড়ার পর ভাড়াটিয়া ও আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে
আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসন রাতেই ভবন দুটি সিলগালা করে
দেয়। বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল দিনভর ভবন দুটির নিচে উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল। এলাকাবাসী রাজউক কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত ভবনটি ভেঙে ফেলা এবং এলাকার আরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
সারুলিয়া এলাকা রাজউক অথরাইজড অঞ্চল-৩-এর অধীন। অথরাইজড কর্মকর্তা মো. আফছার উদ্দিন ও রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া গতকাল পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারেন, হেলে পড়া ভবনটিসহ আশপাশের ভবনগুলো স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন নিয়ে নির্মাণ করা। তিনতলা ভবনটির মালিক জনৈক মোহাম্মদ আলী। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের যে অনুমোদনপত্রটি দেখান, তা একটি ছোট কাগজের ওপর সামান্য ছক দেওয়া। তাতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদুল ইসলামের একটি অনুস্বাক্ষর ও সিল রয়েছে। আর কোনো কাগজপত্র নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারুলিয়া এলাকার বেশির ভাগ ভবনই রাজউকের অনুমোদিত নয়। যে ভবনটি হেলে পড়েছে সেটি এবং পার্শ্ববর্তী ভবনগুলো তৈরি হয়েছে নিচু জলাভূমি ও ধানখেত ভরাট করে।
রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে গেলে মালিক মোহাম্মদ আলী গা ঢাকা দেন। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অনুরোধ করে মালিককে খুঁজে আনা হয়।
ভবনমালিক মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, তিনি কুয়েতে অবস্থানকালীন ভবনটি নির্মাণের জন্য টাকা পাঠিয়েছিলেন। নিজে তদারক করতে না পারায় ভবনটি ত্রুটিপূর্ণ হয়ে থাকতে পারে।
গতকাল বিকেলে রাজউক তিনতলা ভবনটি সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার জন্য ভবনমালিককে লিখিত নির্দেশ দেয়। এতে বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ কারিগরি ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে কারিগরি পরামর্শ নিয়ে নিজ দায়িত্বে ও খরচে এটা ভাঙতে হবে। অন্যথায় মালিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, হেলে পড়া ভবনটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং কারিগরি ব্যক্তিবর্গের তদারকি ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে। এ জন্য পশ্চিম পাশের ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও গণ-উদ্বেগ তৈরি করেছে।
রাজউকের চেয়ারম্যান মো. নূরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, দুটি ভবনই ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনতলার ভবনমালিককে প্রথমে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এলাকার অন্য ভবনগুলোও রাজউক পরীক্ষা করবে বলে জানান তিনি।
গতকাল দিনভর ভবন দুটির নিচে উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল। এলাকাবাসী রাজউক কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত ভবনটি ভেঙে ফেলা এবং এলাকার আরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
সারুলিয়া এলাকা রাজউক অথরাইজড অঞ্চল-৩-এর অধীন। অথরাইজড কর্মকর্তা মো. আফছার উদ্দিন ও রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া গতকাল পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারেন, হেলে পড়া ভবনটিসহ আশপাশের ভবনগুলো স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন নিয়ে নির্মাণ করা। তিনতলা ভবনটির মালিক জনৈক মোহাম্মদ আলী। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের যে অনুমোদনপত্রটি দেখান, তা একটি ছোট কাগজের ওপর সামান্য ছক দেওয়া। তাতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদুল ইসলামের একটি অনুস্বাক্ষর ও সিল রয়েছে। আর কোনো কাগজপত্র নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারুলিয়া এলাকার বেশির ভাগ ভবনই রাজউকের অনুমোদিত নয়। যে ভবনটি হেলে পড়েছে সেটি এবং পার্শ্ববর্তী ভবনগুলো তৈরি হয়েছে নিচু জলাভূমি ও ধানখেত ভরাট করে।
রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে গেলে মালিক মোহাম্মদ আলী গা ঢাকা দেন। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অনুরোধ করে মালিককে খুঁজে আনা হয়।
ভবনমালিক মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, তিনি কুয়েতে অবস্থানকালীন ভবনটি নির্মাণের জন্য টাকা পাঠিয়েছিলেন। নিজে তদারক করতে না পারায় ভবনটি ত্রুটিপূর্ণ হয়ে থাকতে পারে।
গতকাল বিকেলে রাজউক তিনতলা ভবনটি সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার জন্য ভবনমালিককে লিখিত নির্দেশ দেয়। এতে বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ কারিগরি ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে কারিগরি পরামর্শ নিয়ে নিজ দায়িত্বে ও খরচে এটা ভাঙতে হবে। অন্যথায় মালিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, হেলে পড়া ভবনটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং কারিগরি ব্যক্তিবর্গের তদারকি ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে। এ জন্য পশ্চিম পাশের ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও গণ-উদ্বেগ তৈরি করেছে।
রাজউকের চেয়ারম্যান মো. নূরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, দুটি ভবনই ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনতলার ভবনমালিককে প্রথমে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এলাকার অন্য ভবনগুলোও রাজউক পরীক্ষা করবে বলে জানান তিনি।
No comments