মৃত্যুদণ্ড বিলোপ নিয়ে এ মাসেই জাতিসংঘে আলোচনা
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপকারী
দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি
মুন। তবে এখনো কয়েকটি দেশে এ প্রথা বহাল থাকায় তিনি উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন,
দেশগুলো অনেক ক্ষেত্রেই বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড লঙ্ঘন করছে।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে মৃত্যুদণ্ডবিরোধী বিশ্ব সম্মেলনে পাঠানো বার্তায়
এ কথা বলেন তিনি। তিনি জানান, বিশ্ব থেকে মৃত্যুদণ্ড বিলোপের বিষয়ে এ
মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘে আলোচনা হবে।
স্পেন, ফ্রান্স, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় মাদ্রিদে মৃত্যুদণ্ডবিরোধী বিশ্ব সম্মেলন শুরু হয় গত বুধবার। শেষ হবে আজ শনিবার। সম্মেলনে ৯০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে ইউরোপসহ নেতৃস্থানীয় দেশগুলো বিশ্ব থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেয়।
বান কি মুন তাঁর বার্তায় জানান, বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলেই মৃত্যুদণ্ডের পুরোপুরি বিলোপের বিষয়টি সমর্থন পেয়েছে। আইনসম্মতভাবে, ঐতিহ্যগত, প্রথা, ধর্মীয় প্রেক্ষাপটেই তারা এর পক্ষে। গত বছর জাতিসংঘের ১৭৪টি সদস্য দেশে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি দেশ আছে যারা কার্যত হয় মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করেছে নয় তো এ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, 'এসব ইতিবাচক সাড়া সত্ত্বেও আমি গভীর উদ্বিগ্ন। কারণ এখনো বেশ কয়েটি দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু আছে। প্রতি বছর কয়েক হাজার লোকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই বিচারের আন্তর্জাতিক মান লঙ্ঘন হচ্ছে।' তাঁর মতে, অনেক ক্ষেত্রেই এমনসব ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় যা তাদের অপরাধের মাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আবার কিছু দেশে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরাও মৃত্যুদণ্ডের শিকার হচ্ছে; যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পরিপন্থী। বান কি মুন আরো জানান, সমস্যাটি নিয়ে চলতি মাসের শেষদিকে জাতিসংঘের প্যানেলে আলোচনা হবে, 'একজন মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার চেয়ে চরম আর কিছু হতে পারে না। এ শাস্তি ফিরিয়ে নেওয়ার উপায় নেই। তা ছাড়া ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় উল্টানো হয়েছে এমন নজির দেখা যায় না।' সূত্র : জিনিউজ।
স্পেন, ফ্রান্স, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় মাদ্রিদে মৃত্যুদণ্ডবিরোধী বিশ্ব সম্মেলন শুরু হয় গত বুধবার। শেষ হবে আজ শনিবার। সম্মেলনে ৯০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে ইউরোপসহ নেতৃস্থানীয় দেশগুলো বিশ্ব থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেয়।
বান কি মুন তাঁর বার্তায় জানান, বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলেই মৃত্যুদণ্ডের পুরোপুরি বিলোপের বিষয়টি সমর্থন পেয়েছে। আইনসম্মতভাবে, ঐতিহ্যগত, প্রথা, ধর্মীয় প্রেক্ষাপটেই তারা এর পক্ষে। গত বছর জাতিসংঘের ১৭৪টি সদস্য দেশে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি দেশ আছে যারা কার্যত হয় মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করেছে নয় তো এ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, 'এসব ইতিবাচক সাড়া সত্ত্বেও আমি গভীর উদ্বিগ্ন। কারণ এখনো বেশ কয়েটি দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু আছে। প্রতি বছর কয়েক হাজার লোকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই বিচারের আন্তর্জাতিক মান লঙ্ঘন হচ্ছে।' তাঁর মতে, অনেক ক্ষেত্রেই এমনসব ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় যা তাদের অপরাধের মাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আবার কিছু দেশে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরাও মৃত্যুদণ্ডের শিকার হচ্ছে; যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন পরিপন্থী। বান কি মুন আরো জানান, সমস্যাটি নিয়ে চলতি মাসের শেষদিকে জাতিসংঘের প্যানেলে আলোচনা হবে, 'একজন মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার চেয়ে চরম আর কিছু হতে পারে না। এ শাস্তি ফিরিয়ে নেওয়ার উপায় নেই। তা ছাড়া ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় উল্টানো হয়েছে এমন নজির দেখা যায় না।' সূত্র : জিনিউজ।
No comments