সিরীয় বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র
সিরীয় বিদ্রোহীদের সামরিক সহায়তা দেবে
যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ
বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী
বিরোধীদের ওপর রাসায়নিক
অস্ত্র ব্যবহার করেছে- এ বিষয়ে
যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে বলে হোয়াইট হাউসের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওবামা
প্রশাসন অস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাজ্যও এ সিদ্ধান্তকে
স্বাগত জানিয়েছে।
রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সিদ্ধান্ত অসত্য বলে মন্তব্য করেছে। সামরিক সহায়তার বিষয়টি শান্তিপ্রক্রিয়া-বিরোধী বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।
ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী উপদেষ্টা বেন রোডস জানান, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছে ওবামা প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেটি পর্যালোচনা শেষে ওবামা প্রশাসন এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে আসাদ বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সারিনের মতো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের সপক্ষে তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সিরীয় বিদ্রোহীদের সামরিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বেন রোডস বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ওবামা আসাদবিরোধীদের সহায়তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সহায়তা সরাসরি সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত বাহিনী সুপ্রিম মিলিটারি কাউন্সিলকে (এসএমসি) দেওয়া হবে। সহায়তা দেওয়া হবে বিদ্রোহীদেরও। এসব সহায়তার মধ্যে সামরিক সহায়তাও রয়েছে।' তবে সহায়তার ধরন সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন কারণে আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে সহায়তার ধরন ও পরিমাণ আগের চেয়ে ভিন্ন- এটুকু বলতে পারি।'
তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন বিদ্রোহীদের হালকা অস্ত্র ও গোলাবারুদের পাশাপাশি ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্রও সরবরাহ করতে পারে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, মার্কিন সামরিক বাহিনী সিরিয়ার অভ্যন্তরে উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা (নো ফ্লাই জোন) প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও আশপাশের অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়।
সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করতে হলে আসাদের বিমানবাহিনীকে মোকাবিলা করার মতো জেট বিমান দরকার পড়বে। তবে পরিকল্পনাকারীদের মতে, এক মাসের মধ্যে এটি করা সম্ভব এবং সে ক্ষেত্রে আসাদের বিমানবাহিনীকে মোকাবিলার প্রয়োজন নাও পড়তে পারে।
সামরিক সহায়তার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে- যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছে যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো বাহিনী। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সিদ্ধান্ত অসত্য বলে মন্তব্য করেছে। সামরিক সহায়তার বিষয়টি শান্তিপ্রক্রিয়া-বিরোধী বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।
ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী উপদেষ্টা বেন রোডস জানান, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছে ওবামা প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেটি পর্যালোচনা শেষে ওবামা প্রশাসন এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে আসাদ বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সারিনের মতো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের সপক্ষে তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সিরীয় বিদ্রোহীদের সামরিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বেন রোডস বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ওবামা আসাদবিরোধীদের সহায়তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সহায়তা সরাসরি সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত বাহিনী সুপ্রিম মিলিটারি কাউন্সিলকে (এসএমসি) দেওয়া হবে। সহায়তা দেওয়া হবে বিদ্রোহীদেরও। এসব সহায়তার মধ্যে সামরিক সহায়তাও রয়েছে।' তবে সহায়তার ধরন সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন কারণে আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে সহায়তার ধরন ও পরিমাণ আগের চেয়ে ভিন্ন- এটুকু বলতে পারি।'
তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন বিদ্রোহীদের হালকা অস্ত্র ও গোলাবারুদের পাশাপাশি ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্রও সরবরাহ করতে পারে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, মার্কিন সামরিক বাহিনী সিরিয়ার অভ্যন্তরে উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা (নো ফ্লাই জোন) প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও আশপাশের অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়।
সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করতে হলে আসাদের বিমানবাহিনীকে মোকাবিলা করার মতো জেট বিমান দরকার পড়বে। তবে পরিকল্পনাকারীদের মতে, এক মাসের মধ্যে এটি করা সম্ভব এবং সে ক্ষেত্রে আসাদের বিমানবাহিনীকে মোকাবিলার প্রয়োজন নাও পড়তে পারে।
সামরিক সহায়তার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে- যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছে যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো বাহিনী। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments