ঘূর্ণিঝড় মহাসেন ও জলোচ্ছ্বাস পটুয়াখালীতে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার বাঁধ বিধ্বস্ত
ঘূর্ণিঝড় মহাসেন, পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট
জলোচ্ছ্বাসসহ টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৩
দশমিক ৪১৭ কলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ
অবস্থায় রয়েছে আরও ৭৯ দশমিক ৫২০ কিলোমিটার।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলোচ্ছ্বাসে ঝুঁকিতে থাকা বাঁধ ধসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাউবো পটুয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এক হাজার ৩৬০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। গত ১৬ মে সকালে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন, এর ছয় দিন পর পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও টানা বৃষ্টিতে বাঁধের বিশাল অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পটুয়াখালীতে পাউবোর দুটি কার্যালয়ের অধীনে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। এর মধ্যে একটি কলাপাড়ায় এবং অপরটি পটুয়াখালী সদরে।
পাউবো কলাপাড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ কার্যালয়ের অধীনে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলায় ৮০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে কলাপাড়ায় দুই দশমিক ৯৫ কিলোমিটার সম্পূর্ণ এবং সাত দশমিক ৫২০ কিলোমিটার আংশিক, গলাচিপায় এক দশমিক ২৫০ কিলোমিটার সম্পূর্ণ, ১২ কিলোমিটার আংশিক এবং রাঙ্গাবালীতে পাঁচ কিলোমিটার সম্পূর্ণ ও ২০ কিলোমিটার আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের বাঁধের নওয়াপাড়া এলাকার তফেল গাজী বলেন, ‘বইন্যায় মোগো অনেক ক্ষতি হইছে। বাঁধ ভাইঙ্গা পানি ঢুকছে। পানি নামছে না। হের পর জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে পানি আরও বেশি উঠছে। মোরা এহন যামু কই। মোগো কষ্ট কি শেষ অইবে না?’
কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের তাণ্ডবে তাঁর ইউনিয়নের বাঁধ বিধ্বস্ত হয়। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রতিদিন জোয়ারের সময় রামনাবাদ নদীর পানি গ্রামে ঢুকছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে এ বাঁধ নির্মাণ করা না হলে জলোচ্ছ্বাসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদীর পাড়ের নিজামপুর এলাকায় বাঁধ সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন এ অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নিজামপুর, ইউসুফপুর, পুরানমহিপুর ও সুধিরপুর গ্রামের কৃষকদের বসতঘর ও আবাদি জমি প্লাবিত হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে বাঁধের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
পাউবোর পটুয়াখালী সদর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর, বাউফল, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি উপজেলায় ১২টি পোল্ডারের অধীনে ৫৬০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ দশমিক ৭২ কিলোমিটার সম্পূর্ণ এবং ৪০ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে সদর উপজেলার ফুলতলা ও ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নের চান্দখালী, দুমকির পাঙ্গাশিয়া, মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী এলাকার বাঁধ।
৪৩/২ পোল্ডারের ফুলতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে গ্রামে পানি ঢুকছে। গ্রামের ফজলু কাজী জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে বাঁধের এক কিলোমিটারের অধিক এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের সময় পানি ঢুকে ফসলি জমি ও বসতঘর প্লাবিত হচ্ছে।
পাউবো পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সংস্কার করতে হবে। বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য পাউবোর পটুয়াখালী ও কলাপাড়া কার্যালয় থেকে মোট ৪৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পাউবো পটুয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এক হাজার ৩৬০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। গত ১৬ মে সকালে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন, এর ছয় দিন পর পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও টানা বৃষ্টিতে বাঁধের বিশাল অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পটুয়াখালীতে পাউবোর দুটি কার্যালয়ের অধীনে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। এর মধ্যে একটি কলাপাড়ায় এবং অপরটি পটুয়াখালী সদরে।
পাউবো কলাপাড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ কার্যালয়ের অধীনে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলায় ৮০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে কলাপাড়ায় দুই দশমিক ৯৫ কিলোমিটার সম্পূর্ণ এবং সাত দশমিক ৫২০ কিলোমিটার আংশিক, গলাচিপায় এক দশমিক ২৫০ কিলোমিটার সম্পূর্ণ, ১২ কিলোমিটার আংশিক এবং রাঙ্গাবালীতে পাঁচ কিলোমিটার সম্পূর্ণ ও ২০ কিলোমিটার আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের বাঁধের নওয়াপাড়া এলাকার তফেল গাজী বলেন, ‘বইন্যায় মোগো অনেক ক্ষতি হইছে। বাঁধ ভাইঙ্গা পানি ঢুকছে। পানি নামছে না। হের পর জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে পানি আরও বেশি উঠছে। মোরা এহন যামু কই। মোগো কষ্ট কি শেষ অইবে না?’
কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের তাণ্ডবে তাঁর ইউনিয়নের বাঁধ বিধ্বস্ত হয়। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রতিদিন জোয়ারের সময় রামনাবাদ নদীর পানি গ্রামে ঢুকছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে এ বাঁধ নির্মাণ করা না হলে জলোচ্ছ্বাসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদীর পাড়ের নিজামপুর এলাকায় বাঁধ সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন এ অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নিজামপুর, ইউসুফপুর, পুরানমহিপুর ও সুধিরপুর গ্রামের কৃষকদের বসতঘর ও আবাদি জমি প্লাবিত হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে বাঁধের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
পাউবোর পটুয়াখালী সদর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর, বাউফল, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি উপজেলায় ১২টি পোল্ডারের অধীনে ৫৬০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ দশমিক ৭২ কিলোমিটার সম্পূর্ণ এবং ৪০ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে সদর উপজেলার ফুলতলা ও ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নের চান্দখালী, দুমকির পাঙ্গাশিয়া, মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী এলাকার বাঁধ।
৪৩/২ পোল্ডারের ফুলতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে গ্রামে পানি ঢুকছে। গ্রামের ফজলু কাজী জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে বাঁধের এক কিলোমিটারের অধিক এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের সময় পানি ঢুকে ফসলি জমি ও বসতঘর প্লাবিত হচ্ছে।
পাউবো পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সংস্কার করতে হবে। বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য পাউবোর পটুয়াখালী ও কলাপাড়া কার্যালয় থেকে মোট ৪৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
No comments