মাছ চাষের জন্য ইজারা নিয়ে জলাশয়ে ধান চাষ
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া
ইউনিয়নের পাঁচটি জলাশয় মাছ চাষের জন্য ইজারা নিয়ে বোরো ধান চাষ করা হচ্ছে।
ইউনিয়নের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মৎস্যজীবী সেজে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের
কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জলাশয়গুলো ইজারা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অথচ জলমহাল ইজারা দেওয়ার নীতিমালা অনুযায়ী জলাশয়গুলো ভূমিহীন মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসনের জন্য ইজারা দেওয়ার কথা ছিল ।
ফুলছড়ি উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সাত একর ১৪ শতক জমিতে পাঁচটি জলাশয় আছে। এলাকায় এসব জলাশয় ঘোলদহ, ভারারদহ, কামারদহ, গাওচুলকির বিল ও পেত্তানির কুড়া নামে পরিচিত। ২০১০ সালে উপজেলা ভূমি কার্যালয় তিন বছরের জন্য এগুলো ইজারা দেয়। ইউনিয়নের আটটি মৎস্যজীবী সমিতি মাত্র এক লাখ ৪০০ টাকায় এগুলো ইজারা নেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান, প্রমোদ কুমার, চাঁন মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন ও আনছার আলী মৎস্যজীবী সমিতির নামে এগুলো ইজারা নিয়ে ধান চাষ করছেন। কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ঘোলদহ গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইজারা দেওয়ার পর প্রশাসন জলাশয়ে কী চাষ হয় তা তদারক করে না। ফলে ধান চাষ করে জলাশয় থেকে ফায়দা লুটছেন প্রভাবশালীরা।
রসুলপুর গ্রামের মৎস্যজীবী ধীরেন চন্দ্র বলেন, ‘খালি শুনি সোরকার বলে হামারঘরে মাচ মারি খাবার জন্নে বিল (জলাশয়) দিচে। হামরা গরিব মানুষ। ইজিয়ারা কি হামরা বুঝিনে। নদিত মাচ ধরি সোংসার চালাই।’
ঘোলদহ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জলাশয়ে ধান চাষ অবৈধ কি না তা জানি না। তবে দীর্ঘদিন ধরে জলাশয়ে ধান চাষ করা হচ্ছে। প্রশাসন কখনো বাধা দেয়নি।’ গাওচুলকির বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন দাবি করেন, অবৈধভাবে ধান চাষ করা হচ্ছে না। জলাশয় ভরাট হওয়ায় ধান চাষ করা হচ্ছে। অন্যান্য সমিতির সভাপতিরাও একই কথা বলেন।
ফুলছড়ি উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী-উল-সহিদ বলেন, জলমহাল ইজারা প্রদান নীতিমালা-২০০৯ অনুযায়ী জলাশয়গুলো দুস্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে গঠিত মৎস্যজীবী সমিতির কাছে ইজারা দেওয়ার এবং এগুলোতে মাছ চাষ করার কথা। তিনি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রভাবশালীদের কাছে জলাশয়গুলো ইজারা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, জলাশয়ে ধান চাষের বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফুলছড়ি উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সাত একর ১৪ শতক জমিতে পাঁচটি জলাশয় আছে। এলাকায় এসব জলাশয় ঘোলদহ, ভারারদহ, কামারদহ, গাওচুলকির বিল ও পেত্তানির কুড়া নামে পরিচিত। ২০১০ সালে উপজেলা ভূমি কার্যালয় তিন বছরের জন্য এগুলো ইজারা দেয়। ইউনিয়নের আটটি মৎস্যজীবী সমিতি মাত্র এক লাখ ৪০০ টাকায় এগুলো ইজারা নেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান, প্রমোদ কুমার, চাঁন মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন ও আনছার আলী মৎস্যজীবী সমিতির নামে এগুলো ইজারা নিয়ে ধান চাষ করছেন। কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ঘোলদহ গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইজারা দেওয়ার পর প্রশাসন জলাশয়ে কী চাষ হয় তা তদারক করে না। ফলে ধান চাষ করে জলাশয় থেকে ফায়দা লুটছেন প্রভাবশালীরা।
রসুলপুর গ্রামের মৎস্যজীবী ধীরেন চন্দ্র বলেন, ‘খালি শুনি সোরকার বলে হামারঘরে মাচ মারি খাবার জন্নে বিল (জলাশয়) দিচে। হামরা গরিব মানুষ। ইজিয়ারা কি হামরা বুঝিনে। নদিত মাচ ধরি সোংসার চালাই।’
ঘোলদহ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জলাশয়ে ধান চাষ অবৈধ কি না তা জানি না। তবে দীর্ঘদিন ধরে জলাশয়ে ধান চাষ করা হচ্ছে। প্রশাসন কখনো বাধা দেয়নি।’ গাওচুলকির বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন দাবি করেন, অবৈধভাবে ধান চাষ করা হচ্ছে না। জলাশয় ভরাট হওয়ায় ধান চাষ করা হচ্ছে। অন্যান্য সমিতির সভাপতিরাও একই কথা বলেন।
ফুলছড়ি উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী-উল-সহিদ বলেন, জলমহাল ইজারা প্রদান নীতিমালা-২০০৯ অনুযায়ী জলাশয়গুলো দুস্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে গঠিত মৎস্যজীবী সমিতির কাছে ইজারা দেওয়ার এবং এগুলোতে মাছ চাষ করার কথা। তিনি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রভাবশালীদের কাছে জলাশয়গুলো ইজারা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, জলাশয়ে ধান চাষের বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments