মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর কী হবে? প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ বাহিনী
যার যা ঘাটতি তাকে তা স্মরণ করিয়ে দেওয়াই
দায়িত্বশীল কাজ। পুলিশকে ধৈর্যশীল ও মানবিক হতে বলে প্রধানমন্ত্রী
দায়িত্বশীল কাজই করেছেন বলতে হবে। কিন্তু দায়িত্বটা আরও সুচারুভাবে পালিত
হতে পারত,
যদি প্রস্তাবিত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশের
হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া না হতো এবং গত বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুরের রামপুর
থানায় নির্যাতনে আসামির প্রতিকারহীন মৃত্যুর ঘটনা না ঘটত। পুলিশি
রাষ্ট্রের অপবাদ ঘোচাতেও এই রাষ্ট্র নির্বিকার।
গত বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর সারদায় নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে যখন বক্তৃতা করছেন, সেদিনই লক্ষ্মীপুরের রামপুর থানায় এক দরিদ্র রিকশাচালককে যৌতুকের অভিযোগে আটক করা হয়। প্রধানমন্ত্রী যখন পুলিশের উদ্দেশে বলছিলেন যে দায়িত্ব পালনে পুলিশকে হতে হবে ধৈর্যশীল ও মানবিক, সে সময়ই ওই রিকশাচালক জয়নালকে রাস্তা থেকে পেটাতে পেটাতে থানায় ঢোকানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেছে। রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জয়নালকে মৃত অবস্থায়ই থানায় আনা হয়। জীবিত একজন মানুষ কী রকম প্রহারে বাড়ি থেকে থানার যাওয়ার রাস্তায়ই মারা যেতে পারেন, তা অনুমান করা কঠিন নয়।
পুলিশের ‘এই মানবিকতা ও ধৈর্যের’ পরিচয় আমরা এর আগেও অনেকবার পেয়েছি। আইন ও সালিশ কেন্দ্র গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে ১৩ জনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিয়েছে। এগুলো পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে নেওয়া সংখ্যা। প্রকৃত সংখ্যা এর বেশিই হওয়ার কথা। গত মাসেও নারায়ণগঞ্জে এক যুবককে থানায় হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। মাত্র তিন মাসে যদি ১৩ জন নির্যাতনে মারা গিয়ে থাকে কেবল পুলিশ বাহিনীর হাতেই, তাহলে বছরে এই সংখ্যা তো চার গুণ হওয়ার কথা! এ রকম ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সংস্থা কীভাবে জনগণের বন্ধু হতে পারে?
অথচ কিনা প্রস্তাবিত সন্ত্রাস দমন (সংশোধিত) আইনে পুলিশের হাতে আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, সম্পত্তি জব্দ এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ সরবরাহের একচেটিয়া ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। গত বছর অর্থের বিনিময়ে আসামি বানিয়ে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে কিছু পুলিশ সদস্য আইনের অপপ্রয়োগসহ অপরাধমূলক কাজে জড়িত। পুলিশ বাহিনীর ভেতরে দুর্নীতি ও দলীয়করণের সংক্রমণও কম নয়। এ রকম প্রেক্ষাপটে, সন্ত্রাস দমনের নামে পুলিশের হাতে অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা তুলে দেওয়া গুরুতর অশনিসংকেত।
সারদার ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যে সদিচ্ছা থেকে বলেছিলেন, ‘যেখানে শৃঙ্খলাজনিত বিষয় সংশ্লিষ্ট, সেখানে সরকার কাউকে ছাড় দেবে না।’ এটাই যদি সুশাসনের চেতনা হয়, তাহলে সন্ত্রাস দমন আইনে পুলিশের ক্ষমতাকে সংযত করা এবং থানা হেফাজতে হত্যার অভিযোগগুলোর নিরাপস তদন্ত হওয়া উচিত।
গত বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর সারদায় নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে যখন বক্তৃতা করছেন, সেদিনই লক্ষ্মীপুরের রামপুর থানায় এক দরিদ্র রিকশাচালককে যৌতুকের অভিযোগে আটক করা হয়। প্রধানমন্ত্রী যখন পুলিশের উদ্দেশে বলছিলেন যে দায়িত্ব পালনে পুলিশকে হতে হবে ধৈর্যশীল ও মানবিক, সে সময়ই ওই রিকশাচালক জয়নালকে রাস্তা থেকে পেটাতে পেটাতে থানায় ঢোকানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেছে। রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জয়নালকে মৃত অবস্থায়ই থানায় আনা হয়। জীবিত একজন মানুষ কী রকম প্রহারে বাড়ি থেকে থানার যাওয়ার রাস্তায়ই মারা যেতে পারেন, তা অনুমান করা কঠিন নয়।
পুলিশের ‘এই মানবিকতা ও ধৈর্যের’ পরিচয় আমরা এর আগেও অনেকবার পেয়েছি। আইন ও সালিশ কেন্দ্র গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে ১৩ জনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিয়েছে। এগুলো পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে নেওয়া সংখ্যা। প্রকৃত সংখ্যা এর বেশিই হওয়ার কথা। গত মাসেও নারায়ণগঞ্জে এক যুবককে থানায় হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। মাত্র তিন মাসে যদি ১৩ জন নির্যাতনে মারা গিয়ে থাকে কেবল পুলিশ বাহিনীর হাতেই, তাহলে বছরে এই সংখ্যা তো চার গুণ হওয়ার কথা! এ রকম ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সংস্থা কীভাবে জনগণের বন্ধু হতে পারে?
অথচ কিনা প্রস্তাবিত সন্ত্রাস দমন (সংশোধিত) আইনে পুলিশের হাতে আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, সম্পত্তি জব্দ এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ সরবরাহের একচেটিয়া ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। গত বছর অর্থের বিনিময়ে আসামি বানিয়ে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে কিছু পুলিশ সদস্য আইনের অপপ্রয়োগসহ অপরাধমূলক কাজে জড়িত। পুলিশ বাহিনীর ভেতরে দুর্নীতি ও দলীয়করণের সংক্রমণও কম নয়। এ রকম প্রেক্ষাপটে, সন্ত্রাস দমনের নামে পুলিশের হাতে অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা তুলে দেওয়া গুরুতর অশনিসংকেত।
সারদার ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যে সদিচ্ছা থেকে বলেছিলেন, ‘যেখানে শৃঙ্খলাজনিত বিষয় সংশ্লিষ্ট, সেখানে সরকার কাউকে ছাড় দেবে না।’ এটাই যদি সুশাসনের চেতনা হয়, তাহলে সন্ত্রাস দমন আইনে পুলিশের ক্ষমতাকে সংযত করা এবং থানা হেফাজতে হত্যার অভিযোগগুলোর নিরাপস তদন্ত হওয়া উচিত।
No comments