বিবিসির বিশ্লেষণ নানামুখী চাপে সায় দিলেন বারাক ওবামা
সিরিয়ার সরকারবিরোধীদের অস্ত্র সরবরাহের
ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
বারাক ওবামা। কিন্তু দেশটির বিরোধীদের ওপর আসাদ সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র
ব্যবহারের ব্যাপারে ‘নিশ্চিত’ হওয়ার পর ওবামা গত বৃহস্পতিবার জানিয়ে
দিয়েছেন,
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবারহ করবে তাঁর দেশ।
ওবামা প্রায় নিশ্চিতভাবেই জানেন যে সিরিয়ার যুদ্ধে জড়ানোর পরিণাম ওই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থের জন্য ভালো হবে না। কিন্তু এর পরও সিরিয়ার মানবিক সংকট বিবেচনার চাপ এবং পশ্চিমারা ‘ভালো মানুষের’ বিজয় দেখতে ও ইসলামি কট্টরপন্থীদের উত্থান ঠেকাতে চায়—এটা দেখানোর জন্য তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত এমন সময় এল, যখন সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং তাদের মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিদ্রোহীরা। এ অবস্থায় অস্ত্র-সহযোগিতা তাদের জন্য খুবই দরকার ছিল।
বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করতে এবং এর মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমস্যা সমাধানে আলোচনায় নিয়ে আসতে আগে থেকেই আগ্রহী যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘোষণার ফলে যুক্তরাষ্ট্রও এখন পশ্চিমা ওই দুই দেশের সঙ্গে যোগ দিল।
তবে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ভারী কোনো যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ওবামার জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপ-উপদেষ্টা জন রোডস জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত এই যে, বিদ্রোহীদের সামরিক সহযোগিতার ‘মাত্রা ও ব্যাপ্তি’ বাড়ানো হবে। মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সহযোগিতার মাত্রা আপাতত ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সুপ্রিম মিলিটারি কাউন্সিল চায় আরও বেশি সহযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইনও মনে করেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রশাসন সিরিয়ার বিদ্রোহীদের যে ধরনের সহযোগিতার কথা বলছে, তা যথেষ্ট নয়।
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমরাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ওবামার জন্য বেশ কঠিন ছিল। কেননা, ওবামার প্রশাসন এই মুহূর্তে নতুন করে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাইছে না। সেই দিক দিয়ে ওবামার ঘোষণা সিরিয়া প্রশ্নে মার্কিন নীতির বড় পরিবর্তন। এতে করে নতুন যুদ্ধে জড়ানোর ঝুঁকি আছে।
ওবামা প্রায় নিশ্চিতভাবেই জানেন যে সিরিয়ার যুদ্ধে জড়ানোর পরিণাম ওই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থের জন্য ভালো হবে না। কিন্তু এর পরও সিরিয়ার মানবিক সংকট বিবেচনার চাপ এবং পশ্চিমারা ‘ভালো মানুষের’ বিজয় দেখতে ও ইসলামি কট্টরপন্থীদের উত্থান ঠেকাতে চায়—এটা দেখানোর জন্য তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত এমন সময় এল, যখন সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং তাদের মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিদ্রোহীরা। এ অবস্থায় অস্ত্র-সহযোগিতা তাদের জন্য খুবই দরকার ছিল।
বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করতে এবং এর মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমস্যা সমাধানে আলোচনায় নিয়ে আসতে আগে থেকেই আগ্রহী যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘোষণার ফলে যুক্তরাষ্ট্রও এখন পশ্চিমা ওই দুই দেশের সঙ্গে যোগ দিল।
তবে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ভারী কোনো যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ওবামার জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপ-উপদেষ্টা জন রোডস জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত এই যে, বিদ্রোহীদের সামরিক সহযোগিতার ‘মাত্রা ও ব্যাপ্তি’ বাড়ানো হবে। মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সহযোগিতার মাত্রা আপাতত ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সুপ্রিম মিলিটারি কাউন্সিল চায় আরও বেশি সহযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইনও মনে করেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রশাসন সিরিয়ার বিদ্রোহীদের যে ধরনের সহযোগিতার কথা বলছে, তা যথেষ্ট নয়।
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমরাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ওবামার জন্য বেশ কঠিন ছিল। কেননা, ওবামার প্রশাসন এই মুহূর্তে নতুন করে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাইছে না। সেই দিক দিয়ে ওবামার ঘোষণা সিরিয়া প্রশ্নে মার্কিন নীতির বড় পরিবর্তন। এতে করে নতুন যুদ্ধে জড়ানোর ঝুঁকি আছে।
No comments