আজকের ফল আগামীর সংকেত অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য by জাহাঙ্গীর আলম
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটের ফলাফল আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ ও সরকার।
তবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
তবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
একাধিক নীতিনির্ধারক বলেন, তাঁরা এমনভাবে নির্বাচনটি শেষ করতে চান, যাতে
নির্বাচনের পর বলতে পারেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ
নির্বাচন সম্ভব। তাঁরা বলেন, এই নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ
করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ নির্বাচনে বিরোধী দলের আনুষ্ঠানিক অংশগ্রহণ এবং
জাতীয় সংসদে যোগদান আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিজয়। সংবিধান অনুযায়ী
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করা সরকারের মূল লক্ষ্য থাকায়
সিটি নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।
নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে সরকার ভাবছে না।
জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবাই চেষ্টা করে নির্বাচনে জয়ী হতে। কিন্তু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করাকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচন হলেও এবার চার সিটি নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতি গুরুত্ব পাচ্ছে। স্থানীয় বিষয় বা স্থানীয় রাজনীতি এ নির্বাচনে প্রভাব ফেলছে কম। বরং নির্বাচনী প্রচারণায় জাতীয় রাজনীতিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ নির্বাচনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের আভাস পাওয়া যেতে পারে। এই চার সিটির নির্বাচন হয়েছিল গত জাতীয় নির্বাচনের চার মাস আগে। তখন এই চার সিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা জানান, অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিতর্ক সামনে রেখেই সরকার তার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যেকোনো রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচনী ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ হলেও এ মুহূর্তে সরকারের কাছে তা গৌণ। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ফলাফলের চেয়ে রাজনৈতিকভাবে জেতার কৌশল নিয়েছে।
যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক, সরকার কোনো নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ করবে না। কে হারল বা কে জিতল, এটা সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই মূল লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলগতভাবে চার সিটিতে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়েছে। গত নির্বাচনে চারটি সিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এবারের নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এতটা আত্মবিশ্বাসী নয়। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে খুব আশাবাদী হতে পারছেন না।
দলীয় নেতারা জানান, এ নির্বাচনে নতুন ভোটারদের প্রতি তাঁদের সবচেয়ে বেশি আশা। পাশাপাশি নারী ভোটারদের ভোট বেশি পাবেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতকে সামনে রেখেই তাঁরা এ হিসাব-নিকাশ করছেন। তবু অন্তত দুটি সিটিতে তাঁরা জয়ের আশা করছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারলেই তাঁদের বিজয় হবে বলে মনে করেন নেতারা।
জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবাই চেষ্টা করে নির্বাচনে জয়ী হতে। কিন্তু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করাকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচন হলেও এবার চার সিটি নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতি গুরুত্ব পাচ্ছে। স্থানীয় বিষয় বা স্থানীয় রাজনীতি এ নির্বাচনে প্রভাব ফেলছে কম। বরং নির্বাচনী প্রচারণায় জাতীয় রাজনীতিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ নির্বাচনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের আভাস পাওয়া যেতে পারে। এই চার সিটির নির্বাচন হয়েছিল গত জাতীয় নির্বাচনের চার মাস আগে। তখন এই চার সিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা জানান, অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিতর্ক সামনে রেখেই সরকার তার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যেকোনো রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচনী ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ হলেও এ মুহূর্তে সরকারের কাছে তা গৌণ। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ফলাফলের চেয়ে রাজনৈতিকভাবে জেতার কৌশল নিয়েছে।
যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক, সরকার কোনো নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ করবে না। কে হারল বা কে জিতল, এটা সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই মূল লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলগতভাবে চার সিটিতে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়েছে। গত নির্বাচনে চারটি সিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এবারের নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এতটা আত্মবিশ্বাসী নয়। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে খুব আশাবাদী হতে পারছেন না।
দলীয় নেতারা জানান, এ নির্বাচনে নতুন ভোটারদের প্রতি তাঁদের সবচেয়ে বেশি আশা। পাশাপাশি নারী ভোটারদের ভোট বেশি পাবেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতকে সামনে রেখেই তাঁরা এ হিসাব-নিকাশ করছেন। তবু অন্তত দুটি সিটিতে তাঁরা জয়ের আশা করছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারলেই তাঁদের বিজয় হবে বলে মনে করেন নেতারা।
No comments