করারোপ নিয়ে দ্বন্দ্ব বিচার বিভাগের হাতে প্রথম ধাক্কা খেল নওয়াজ সরকার
পাকিস্তানে সদ্য ক্ষমতাসীন নওয়াজ সরকার
বিচার বিভাগের হাতে প্রথম ধাক্কা খেল। বাজেট আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হওয়ার
আগেই পেট্রোলিয়াম-সামগ্রীর ওপর কর বাড়ানো নিয়ে সরকার ও বিচার বিভাগ
মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।
নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান
মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার
গঠন করেছে। নওয়াজের অর্থমন্ত্রী ইশহাক দার পার্লামেন্টে তাঁর বাজেট
বক্তৃতায় পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর ওপর কর বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
তবে বাজেট অনুমোদিত হওয়ার আগেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নতুন হারে করারোপ শুরু হয়। এতে পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে। এর প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে (সুয়ো মোটো) নোটিশ জারি করেন। এতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় রাজস্ব বোর্ডের (এফবিআর) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়।
প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চে গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে হাজির হয়ে এফবিআরের চেয়ারম্যান আনসার জাভেদ আদালতকে বলেন, পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর ওপর নতুন কর বাস্তবায়ন বা দাম বাড়ানোর বিষয়ে বোর্ড কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতেই এসবের দাম বেড়েছে।
বাজেট পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হওয়ার আগেই কর বাড়ানোর নতুন সিদ্ধান্ত কীভাবে কার্যকর করা হলো, প্রধান বিচারপতি তা জানতে চান।
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মুনির এ মালিক যুক্তি দেন, ১৯৩১ সালের কর আইন অনুসারে সরকার বাজেট অনুমোদনের আগে কর বাড়াতে পারে।
পাল্টা যুক্তিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই আইন দেশের সংবিধানের ৭৭ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কেননা, ৭৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের করারোপ করা যাবে না।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘এমনকি সরকার যদি এখন কর প্রত্যাহার করেও নেয়, এ পর্যন্ত যে অর্থ আদায় করা হয়েছে, সেগুলো জনগণকে ফেরত দেবে কে?’
আদালতের কার্যক্রম আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
পাকিস্তানের বিচার বিভাগ কয়েক বছর ধরে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বেশ সচেষ্ট হয়ে উঠেছে। সরকারের নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে এ নিয়ে তাদের প্রায়ই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। ডন।
তবে বাজেট অনুমোদিত হওয়ার আগেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নতুন হারে করারোপ শুরু হয়। এতে পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে। এর প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে (সুয়ো মোটো) নোটিশ জারি করেন। এতে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় রাজস্ব বোর্ডের (এফবিআর) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়।
প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চে গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে হাজির হয়ে এফবিআরের চেয়ারম্যান আনসার জাভেদ আদালতকে বলেন, পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর ওপর নতুন কর বাস্তবায়ন বা দাম বাড়ানোর বিষয়ে বোর্ড কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতেই এসবের দাম বেড়েছে।
বাজেট পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হওয়ার আগেই কর বাড়ানোর নতুন সিদ্ধান্ত কীভাবে কার্যকর করা হলো, প্রধান বিচারপতি তা জানতে চান।
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মুনির এ মালিক যুক্তি দেন, ১৯৩১ সালের কর আইন অনুসারে সরকার বাজেট অনুমোদনের আগে কর বাড়াতে পারে।
পাল্টা যুক্তিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই আইন দেশের সংবিধানের ৭৭ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কেননা, ৭৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের করারোপ করা যাবে না।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘এমনকি সরকার যদি এখন কর প্রত্যাহার করেও নেয়, এ পর্যন্ত যে অর্থ আদায় করা হয়েছে, সেগুলো জনগণকে ফেরত দেবে কে?’
আদালতের কার্যক্রম আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
পাকিস্তানের বিচার বিভাগ কয়েক বছর ধরে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বেশ সচেষ্ট হয়ে উঠেছে। সরকারের নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে এ নিয়ে তাদের প্রায়ই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। ডন।
No comments