আ.লীগ নেতাদের হাতে কৃষকের গমের রসিদ by মজিবর রহমান খান
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় সরকারি
খাদ্যগুদামে গম কেনায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষি কর্মকর্তাদের তৈরি
করা তালিকা অনুযায়ী রসিদ চাষিদের মধ্যে বিতরণ না করে আওয়ামী লীগের
নেতা-কর্মীরা তা হাতিয়ে নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
উপজেলা
খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে উপজেলায় প্রতি
কেজি ২৫ টাকা দরে তিন হাজার ২১৪ মেট্রিক টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
সরকারের ক্রয় নীতিমালা অনুয়ায়ী, সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে গম কেনার কথা। এ
ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রকৃত চাষিদের গম
বিক্রির রসিদ (স্লিপ) দেবেন। গত ৭ মে থেকে গম কেনা শুরু হয়েছে, চলবে ৩০
জুন পর্যন্ত।
কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা খাদ্য ক্রয় কমিটির সদস্যরা বরাদ্দের তিন হাজার ২১৪ মেট্রিক টন গমের মধ্যে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদ, খাদ্য অফিস ও উপজেলা গম ক্রয় কমিটির সদস্যদের জন্য দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন গমের রসিদ আগাম সরিয়ে রাখেন। বাকি এক হাজার ১৪ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের রসিদ ছয়টি ইউনিয়নে সমান হারে ভাগ করে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ১৬৯ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের রসিদ বিতরণ করা হয়। দলীয়ভাবে গম ক্রয়ের রসিদ পেলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রহমত আলীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ে চাষিদের জন্য তৈরি করা রসিদ ভয়ভীতি দেখিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে নিয়ে নেন। এরপর তাঁরা সেসব রসিদ ব্যবসায়ীদের কাছে টনপ্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
গুদামে গম সরবরাহ করতে না পেরে তোররা গ্রামের গমচাষি সলিম উদ্দিন, শাহজাহান কবীর, মো. নওশাদ; হরিপুর গ্রামের কাজী রয়েল, মাহবুব আলম; ভবানন্দপুর গ্রামের সাদেক হোসেনসহ অনেক চাষি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
হরিপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগের মাধ্যমে হরিপুর ইউনিয়নে ৫৩৪ মেট্রিক টন গম কেনার জন্য কৃষকদের মধ্যে রসিদ বিতরণের কথা। কিন্তু তিনি মাত্র ১৪২ জন কৃষককের বিপরীতে ১৬৯ টন গম কেনার রসিদ বিতরণ করতে পেরেছেন। বরাদ্দের বাকি অংশ গত ২২ মে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে ক্রয় কমিটির কাছে হস্তান্তর করে দেন। তিনি অভিযোগ করেন, রহমত আলী নামের উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে গম ক্রয়ের রসিদ নিয়ে গেছেন। তাঁর কাছ থেকে হরিপুর ইউনিয়নের ২৮ জন কৃষকের বিপরীতে দেওয়া ৩৪ টন গমের রসিদ নিয়ে গেছেন। তোররা গ্রামের সলিম উদ্দিন জানান, রসিদ নিয়ে খাদ্যগুদামে যোগাযোগ করলে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা লক্ষ্যমাত্রার সব গম কেনা হয়ে গেছে বলে তাঁকে জানিয়ে দেন। হাতে বৈধ রসিদ থাকার পরও গুদাম কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছ থেকে গম কেনেনি। এ ব্যাপারে তিনি ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে হরিপুরের ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আবদুল ওয়াহেদ দাবি করেন, কৃষি বিভাগের তালিকা অনুযায়ী নীতিমালা মেনেই গম কেনা হচ্ছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা রহমত আলী বলেন, ‘উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিজে গমের স্লিপ জাল করে বিতরণের অপরাধ ঢাকতে স্লিপ কেড়ে নেওয়ার গল্প সাজিয়েছেন। দলীয়ভাবে গম ক্রয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি।’
হরিপুরের ইউএনও আবু ছালেহ মোহামঞ্চদ মুসা জঙ্গী জানান, খাদ্যগুদামে গম সরবরাহ করতে পারেননি—এমন অভিযোগ করে কৃষকেরা তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা খাদ্য ক্রয় কমিটির সদস্যরা বরাদ্দের তিন হাজার ২১৪ মেট্রিক টন গমের মধ্যে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদ, খাদ্য অফিস ও উপজেলা গম ক্রয় কমিটির সদস্যদের জন্য দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন গমের রসিদ আগাম সরিয়ে রাখেন। বাকি এক হাজার ১৪ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের রসিদ ছয়টি ইউনিয়নে সমান হারে ভাগ করে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ১৬৯ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের রসিদ বিতরণ করা হয়। দলীয়ভাবে গম ক্রয়ের রসিদ পেলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রহমত আলীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ে চাষিদের জন্য তৈরি করা রসিদ ভয়ভীতি দেখিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে নিয়ে নেন। এরপর তাঁরা সেসব রসিদ ব্যবসায়ীদের কাছে টনপ্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
গুদামে গম সরবরাহ করতে না পেরে তোররা গ্রামের গমচাষি সলিম উদ্দিন, শাহজাহান কবীর, মো. নওশাদ; হরিপুর গ্রামের কাজী রয়েল, মাহবুব আলম; ভবানন্দপুর গ্রামের সাদেক হোসেনসহ অনেক চাষি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
হরিপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগের মাধ্যমে হরিপুর ইউনিয়নে ৫৩৪ মেট্রিক টন গম কেনার জন্য কৃষকদের মধ্যে রসিদ বিতরণের কথা। কিন্তু তিনি মাত্র ১৪২ জন কৃষককের বিপরীতে ১৬৯ টন গম কেনার রসিদ বিতরণ করতে পেরেছেন। বরাদ্দের বাকি অংশ গত ২২ মে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে ক্রয় কমিটির কাছে হস্তান্তর করে দেন। তিনি অভিযোগ করেন, রহমত আলী নামের উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে গম ক্রয়ের রসিদ নিয়ে গেছেন। তাঁর কাছ থেকে হরিপুর ইউনিয়নের ২৮ জন কৃষকের বিপরীতে দেওয়া ৩৪ টন গমের রসিদ নিয়ে গেছেন। তোররা গ্রামের সলিম উদ্দিন জানান, রসিদ নিয়ে খাদ্যগুদামে যোগাযোগ করলে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা লক্ষ্যমাত্রার সব গম কেনা হয়ে গেছে বলে তাঁকে জানিয়ে দেন। হাতে বৈধ রসিদ থাকার পরও গুদাম কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছ থেকে গম কেনেনি। এ ব্যাপারে তিনি ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে হরিপুরের ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আবদুল ওয়াহেদ দাবি করেন, কৃষি বিভাগের তালিকা অনুযায়ী নীতিমালা মেনেই গম কেনা হচ্ছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা রহমত আলী বলেন, ‘উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিজে গমের স্লিপ জাল করে বিতরণের অপরাধ ঢাকতে স্লিপ কেড়ে নেওয়ার গল্প সাজিয়েছেন। দলীয়ভাবে গম ক্রয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি।’
হরিপুরের ইউএনও আবু ছালেহ মোহামঞ্চদ মুসা জঙ্গী জানান, খাদ্যগুদামে গম সরবরাহ করতে পারেননি—এমন অভিযোগ করে কৃষকেরা তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments