এপার-ওপার-মোদির পিআরও রাজনাথ by অমিত বসু
বিজেপির জন্ম ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল অটল
বিহারি বাজপেয়ির হাতে। আবির্ভাবের পর দীর্ঘদিন স্থির হয়ে ছিল। হাত-পা
নাড়তেই সময় নিয়েছে অনেক। কংগ্রেসও নবজাতককে প্রতিপক্ষ মনে করেনি।
আগে বড় হোক, তারপর দেখা যাবে ভেবে পাশ কাটিয়েছে। কিছুটা অহংকারেই। তাদের
এখন শতবর্ষ পূর্ণ হতে মাত্র পাঁচ বছর বাকি। বাচ্চাকে সাচ্চা মানুষ করে তোলা
কম কথা নয়। পিতাশ্রী বাজপেয়ির চিন্তার অন্ত ছিল না। ১০ বছর বাদে এক ঝটকায়
শিশুকে সাবালক করে দিলেন লালকৃষ্ণ আদভানি। ১৯৯০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর
বিজেপির সভাপতি হিসেবে কর্তৃত্ব হাতে নিয়ে সোমনাথ থেকে অযোধ্যা রথযাত্রা
শুরু করলেন। রথে রামচন্দ্রের মতো দণ্ডায়মান তিনি। তোলপাড় সারা দেশ।
হিন্দুত্বের নবজাগরণ। সাম্প্রদায়িক সচেতনতার সংকেত। সংখ্যালঘুদের মনে সংশয়।
দোলাচলের মধ্যেই আদভানির রথ চলল এগিয়ে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং
অসহায়। বিজেপির ভরসাতেই চলছে তাঁর সরকার। আদভানিকে আটকালে সরকার ছিটকাবে।
সংবিধানের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে রথ থামাতেই হলো তাঁকে। বিহারের
সমাপ্তিপুরে গ্রেপ্তার হলেন আদভানি। তার ঠিক ১৫ দিন বাদে ভিপি সিং সরকার
ভেঙে দিল বিজেপি। যে দল সরকার ভাঙার ক্ষমতা রাখে তাকে অস্বীকার করার ক্ষমতা
কার!
করাচিতে জন্ম আদভানির। রাজনীতির হাতেখড়ি সেখানেই। ছাত্র-আন্দোলনে জেলও খেটেছেন। মাটি-মানুষ চিনেছেন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায়। রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যমণি বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংকে মাঠের বাইরে বার করতে সময় নেননি, যিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েই মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করেন। যাতে অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য ২৭ শতাংশ চাকরি সংরক্ষিত ছিল। যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে দেশ উত্তাল হয়েছে। হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। নিচে পড়ে থাকা মানুষ কংগ্রেসের আভিজাত্যের রাজনীতিতে ভাঙন ধরিয়েছে। এমন একটা ঐতিহাসিক কাণ্ডের নায়ক বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিলেন আদভানি।
কংগ্রেস বুঝল, তাদের প্রতিপক্ষ আর বিশ্বনাথ নন। আদভানি বিজেপির পালে বাতাস লাগান। জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে যাত্রা শুরু করল। আরএসএস পাশে ছিল বলে সদস্য সংখ্যা বা সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে অসুবিধা হলো না। বাজপেয়ি-আদভানির যুগলবন্দি অবস্থান বিপাকে ফেলল কংগ্রেসকে। কংগ্রেসে নেতৃত্বের অভাবে অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ বাড়ল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র হলো। বিজেপি নিশ্চিন্তে ক্ষমতায় পৌঁছার রাস্তা নির্মাণে মন দিল। সংঘ পরিবার বিজেপির সাহস বাড়াল। রেজিমেন্টেড পার্টি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল বিজেপি। তাদের ভিত শক্ত। নেতৃত্ব সক্রিয়। কর্মীরা উদ্বুদ্ধ।
কংগ্রেস বরাবরই নেতানির্ভর দল। দল না বলে মঞ্চ বলা ভালো। সেই মঞ্চ এখন শূন্য। ১৯৭৬ সালের ২ নভেম্বর কংগ্রেসের তৎপরতায় ভারতকে সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। সংবিধান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাস্তা খুলে দেয়। তাকেই চ্যালেঞ্জ জানায় বিজেপি। হিন্দুত্বের নিশান উড়িয়ে এগোনোর পরিকল্পনা নেয়। তাদের আন্দোলন অন্ধকার রাস্তায় পা রাখে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়। এটাই দেশের সবচেয়ে কালো দিন। লালকৃষ্ণ আদভানি আগুন নিয়ে খেলতে খেলতে দেশের সংস্কৃতিকে পুড়িয়ে ছাই করে দেন। করসেবকদের উন্মাদনায় বিজেপি প্রচারের তুঙ্গে উঠে ছিল। তারা যে মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে ভাবেননি আদভানি। শেকসপিয়ারের ব্রুটাস জানতেন 'সব ক্যারেক্টার'। তার ভাষণে জুলিয়াস সিজারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ যখন তুঙ্গে, তিনি বারুদে দেশলাই কাঠি ছোড়েননি। নিয়ন্ত্রণ করেছেন রাজনৈতিক কৌশলে। তিনি জানতেন, উম্মত্ত জনতা শুধু শত্রুর ঘর পোড়াবে না, তাঁর আশ্রয়ও নস্যাৎ করবে। আগুন কারো কথা শোনে না। কোনো দিক মানে না।
ভারতীয় সভ্যতা কলঙ্কিত হওয়ায় কপাল চাপড়াচ্ছেন আদভানি। এখন বড় দেরি হয়ে গেছে। আবার এই সমস্যাই বিজেপিকে ক্ষমতার রাস্তায় টেনে এনেছে। চার বছর পর তারা ক্ষমতার অলিন্দে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপির প্রথম সভাপতি অটল বিহারি বাজপেয়ি। প্রথমবার মাত্র ১৩ দিনের প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেন ১৯৯৮ সালে ১৩ মার্চ। ১৩ মাসেই শেষ। ১৯৯৯ সালের ১৭ এপ্রিল এক ভোটে অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে বিদায়। তেরোর গেরোয় আটকালেন বাজপেয়ি। ত্রয়োদশ লোকসভা নির্বাচনে জিতে ১১ অক্টোবর ফের প্রধানমন্ত্রী তিনি। বিরোধী নেত্রী হলেন সোনিয়া গান্ধী।
সাম্প্রদায়িক ঝাঁজেই বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। তাতে যে স্থায়িত্ব আসবে না, বুঝে যান বাজপেয়ি। মুক্তপথের যাত্রী হলেন তিনি। বিজেপি একা সরকার গঠন করতে পারেনি। শরিকদের সমর্থনে এনডিএ জোট গড়তে হয়েছে। জোট সরকারের নেতা হয়েও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছেন বাজপেয়ি। তাঁর ইমেজের উজ্জ্বলতা বলিউডের হিরোদের ক্যারিশমা ছাপিয়েছে। তবু চতুর্দশ লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেনি বিজেপি। দোষ তাঁর নয়। সোনিয়ার স্বচ্ছ নেতৃত্ব কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফিরিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ ছেড়ে সোনিয়া ত্যাগের নজির গড়েছেন। এ মুহূর্তে কংগ্রেসের বেস্ট অ্যাসেট সোনিয়া। ২০০৯ সালের নির্বাচনেও কংগ্রেসের জয় তাঁর জন্যই।
বিজেপির দুর্বলতা এখানেই। দলে এমন কেউ নেই যিনি দলটাকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। দলে সভাপতির পদটি আলংকারিক। অটল বিহারি বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আদভানির পর যাঁরা সভাপতি হয়েছিলেন, তাঁরা ছেঁড়া কাগজ। উড়ে বেরিয়েছেন দিকশূন্য হয়ে। দেয়ালে সাঁটা পোস্টারের দাগও কাটতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিজেপিকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বাজপেয়ি। আদভানির অ্যাকশন ছেড়ে সংহত সংঘকে প্রগতির রাস্তা ধরিয়েছিলেন। ২০০২ সালে মোদির দাঙ্গা কাণ্ডে গর্জে উঠেছিলেন। মোদির নেতৃত্বে বিজেপি আবার পুরনো রাস্তাতেই পা রাখল। পাশে আরএসএস। ২০১৪ সালের নির্বাচনে রেজিমেন্টেড ফোর্স নিয়ে এগোবে। কংগ্রেসের কেন্দ্রভূমিতে স্ট্যাচু অব লিবার্টির মতো দাঁড়িয়ে সোনিয়া গান্ধী। রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কোনো তুলনাই চলে না। রাজনাথের তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই। সব ঘাটতি পুষিয়ে দেবে আরএসএস।
লেখক : কলকাতার সাংবাদিক
করাচিতে জন্ম আদভানির। রাজনীতির হাতেখড়ি সেখানেই। ছাত্র-আন্দোলনে জেলও খেটেছেন। মাটি-মানুষ চিনেছেন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায়। রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যমণি বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংকে মাঠের বাইরে বার করতে সময় নেননি, যিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েই মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করেন। যাতে অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য ২৭ শতাংশ চাকরি সংরক্ষিত ছিল। যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে দেশ উত্তাল হয়েছে। হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। নিচে পড়ে থাকা মানুষ কংগ্রেসের আভিজাত্যের রাজনীতিতে ভাঙন ধরিয়েছে। এমন একটা ঐতিহাসিক কাণ্ডের নায়ক বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিলেন আদভানি।
কংগ্রেস বুঝল, তাদের প্রতিপক্ষ আর বিশ্বনাথ নন। আদভানি বিজেপির পালে বাতাস লাগান। জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে যাত্রা শুরু করল। আরএসএস পাশে ছিল বলে সদস্য সংখ্যা বা সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে অসুবিধা হলো না। বাজপেয়ি-আদভানির যুগলবন্দি অবস্থান বিপাকে ফেলল কংগ্রেসকে। কংগ্রেসে নেতৃত্বের অভাবে অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ বাড়ল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র হলো। বিজেপি নিশ্চিন্তে ক্ষমতায় পৌঁছার রাস্তা নির্মাণে মন দিল। সংঘ পরিবার বিজেপির সাহস বাড়াল। রেজিমেন্টেড পার্টি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল বিজেপি। তাদের ভিত শক্ত। নেতৃত্ব সক্রিয়। কর্মীরা উদ্বুদ্ধ।
কংগ্রেস বরাবরই নেতানির্ভর দল। দল না বলে মঞ্চ বলা ভালো। সেই মঞ্চ এখন শূন্য। ১৯৭৬ সালের ২ নভেম্বর কংগ্রেসের তৎপরতায় ভারতকে সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। সংবিধান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাস্তা খুলে দেয়। তাকেই চ্যালেঞ্জ জানায় বিজেপি। হিন্দুত্বের নিশান উড়িয়ে এগোনোর পরিকল্পনা নেয়। তাদের আন্দোলন অন্ধকার রাস্তায় পা রাখে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়। এটাই দেশের সবচেয়ে কালো দিন। লালকৃষ্ণ আদভানি আগুন নিয়ে খেলতে খেলতে দেশের সংস্কৃতিকে পুড়িয়ে ছাই করে দেন। করসেবকদের উন্মাদনায় বিজেপি প্রচারের তুঙ্গে উঠে ছিল। তারা যে মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে ভাবেননি আদভানি। শেকসপিয়ারের ব্রুটাস জানতেন 'সব ক্যারেক্টার'। তার ভাষণে জুলিয়াস সিজারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ যখন তুঙ্গে, তিনি বারুদে দেশলাই কাঠি ছোড়েননি। নিয়ন্ত্রণ করেছেন রাজনৈতিক কৌশলে। তিনি জানতেন, উম্মত্ত জনতা শুধু শত্রুর ঘর পোড়াবে না, তাঁর আশ্রয়ও নস্যাৎ করবে। আগুন কারো কথা শোনে না। কোনো দিক মানে না।
ভারতীয় সভ্যতা কলঙ্কিত হওয়ায় কপাল চাপড়াচ্ছেন আদভানি। এখন বড় দেরি হয়ে গেছে। আবার এই সমস্যাই বিজেপিকে ক্ষমতার রাস্তায় টেনে এনেছে। চার বছর পর তারা ক্ষমতার অলিন্দে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপির প্রথম সভাপতি অটল বিহারি বাজপেয়ি। প্রথমবার মাত্র ১৩ দিনের প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেন ১৯৯৮ সালে ১৩ মার্চ। ১৩ মাসেই শেষ। ১৯৯৯ সালের ১৭ এপ্রিল এক ভোটে অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে বিদায়। তেরোর গেরোয় আটকালেন বাজপেয়ি। ত্রয়োদশ লোকসভা নির্বাচনে জিতে ১১ অক্টোবর ফের প্রধানমন্ত্রী তিনি। বিরোধী নেত্রী হলেন সোনিয়া গান্ধী।
সাম্প্রদায়িক ঝাঁজেই বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। তাতে যে স্থায়িত্ব আসবে না, বুঝে যান বাজপেয়ি। মুক্তপথের যাত্রী হলেন তিনি। বিজেপি একা সরকার গঠন করতে পারেনি। শরিকদের সমর্থনে এনডিএ জোট গড়তে হয়েছে। জোট সরকারের নেতা হয়েও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছেন বাজপেয়ি। তাঁর ইমেজের উজ্জ্বলতা বলিউডের হিরোদের ক্যারিশমা ছাপিয়েছে। তবু চতুর্দশ লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেনি বিজেপি। দোষ তাঁর নয়। সোনিয়ার স্বচ্ছ নেতৃত্ব কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফিরিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ ছেড়ে সোনিয়া ত্যাগের নজির গড়েছেন। এ মুহূর্তে কংগ্রেসের বেস্ট অ্যাসেট সোনিয়া। ২০০৯ সালের নির্বাচনেও কংগ্রেসের জয় তাঁর জন্যই।
বিজেপির দুর্বলতা এখানেই। দলে এমন কেউ নেই যিনি দলটাকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। দলে সভাপতির পদটি আলংকারিক। অটল বিহারি বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আদভানির পর যাঁরা সভাপতি হয়েছিলেন, তাঁরা ছেঁড়া কাগজ। উড়ে বেরিয়েছেন দিকশূন্য হয়ে। দেয়ালে সাঁটা পোস্টারের দাগও কাটতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিজেপিকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বাজপেয়ি। আদভানির অ্যাকশন ছেড়ে সংহত সংঘকে প্রগতির রাস্তা ধরিয়েছিলেন। ২০০২ সালে মোদির দাঙ্গা কাণ্ডে গর্জে উঠেছিলেন। মোদির নেতৃত্বে বিজেপি আবার পুরনো রাস্তাতেই পা রাখল। পাশে আরএসএস। ২০১৪ সালের নির্বাচনে রেজিমেন্টেড ফোর্স নিয়ে এগোবে। কংগ্রেসের কেন্দ্রভূমিতে স্ট্যাচু অব লিবার্টির মতো দাঁড়িয়ে সোনিয়া গান্ধী। রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কোনো তুলনাই চলে না। রাজনাথের তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই। সব ঘাটতি পুষিয়ে দেবে আরএসএস।
লেখক : কলকাতার সাংবাদিক
No comments