পিছু হটলেন এরদোয়ান-গেজি পার্কের উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ
এরদোয়ান ইস্তাম্বুলে গেজি পার্কে উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা স্থগিত করতে
রাজি হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রথম দফা আলোচনার
পর গতকাল শুক্রবার এরদোয়ানের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা স্থগিতের কথা জানানো হয়।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে গণবিক্ষোভের পর সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
বাণিজ্যনগরী ইস্তাম্বুলের গেজি পার্কে প্রায় ৬০০ গাছ কেটে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক ছাউনির আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে তুরস্কের সরকার। এর প্রতিবাদে গত ২৭ মে গেজি পার্কের লাগোয়া তাকসিম স্কয়ারে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। গত ৩১ মে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হলে সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এবং তা এরদোয়ানবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০০২ সাল থেকে ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয় এ আন্দোলনকে। পুলিশ বিক্ষোভ দমনে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে বলেও অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও জল কামান ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীরা পটকা, পাথর ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এ আন্দোলনে চার বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। পশ্চিমা দেশগুলোও বিক্ষোভ দমনের পন্থা নিয়ে এরদোয়ান সরকারের সমালোচনা করে।
গত বৃহস্পতিবার গেজি পার্কের বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণের পর পরই আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন এরদোয়ান। প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা হয়। গতকাল তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী হুসেইন সেলিক জানান, আদালত চূড়ান্ত ফয়সালা না দেওয়া পর্যন্ত গেজি পার্কে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হবে না। আদালতের যেকোনো সিদ্ধান্তই সরকার শ্রদ্ধার সঙ্গে বিবেচনা করবে। তবে এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গণভোট আয়োজনের ব্যাপারেও সরকার কাজ চালিয়ে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, গেজি পার্কে নির্মাণকাজের ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত পেতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। সারা দেশে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের যে অভিযোগ রয়েছে, সরকার সে ব্যাপারে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অবিলম্বে আন্দোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সেলিক।
বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠন তাকসিম সলিডারিটি প্লাটফর্ম (টিএসপি) সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে গতকালও ভারি বৃষ্টিপাত ও কড়া পুলিশি উপস্থিতি উপেক্ষা করে গেজি পার্কে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
বাণিজ্যনগরী ইস্তাম্বুলের গেজি পার্কে প্রায় ৬০০ গাছ কেটে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক ছাউনির আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে তুরস্কের সরকার। এর প্রতিবাদে গত ২৭ মে গেজি পার্কের লাগোয়া তাকসিম স্কয়ারে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। গত ৩১ মে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হলে সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এবং তা এরদোয়ানবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০০২ সাল থেকে ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয় এ আন্দোলনকে। পুলিশ বিক্ষোভ দমনে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে বলেও অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও জল কামান ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীরা পটকা, পাথর ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এ আন্দোলনে চার বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। পশ্চিমা দেশগুলোও বিক্ষোভ দমনের পন্থা নিয়ে এরদোয়ান সরকারের সমালোচনা করে।
গত বৃহস্পতিবার গেজি পার্কের বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণের পর পরই আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন এরদোয়ান। প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা হয়। গতকাল তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী হুসেইন সেলিক জানান, আদালত চূড়ান্ত ফয়সালা না দেওয়া পর্যন্ত গেজি পার্কে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হবে না। আদালতের যেকোনো সিদ্ধান্তই সরকার শ্রদ্ধার সঙ্গে বিবেচনা করবে। তবে এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গণভোট আয়োজনের ব্যাপারেও সরকার কাজ চালিয়ে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, গেজি পার্কে নির্মাণকাজের ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত পেতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। সারা দেশে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের যে অভিযোগ রয়েছে, সরকার সে ব্যাপারে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অবিলম্বে আন্দোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সেলিক।
বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠন তাকসিম সলিডারিটি প্লাটফর্ম (টিএসপি) সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে গতকালও ভারি বৃষ্টিপাত ও কড়া পুলিশি উপস্থিতি উপেক্ষা করে গেজি পার্কে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments