ডুবে যাওয়া লঞ্চ সোনারগাঁওয়ের চরকিশোরগঞ্জে উদ্ধার- শিশুসহ ১৪ জনের লাশ উদ্ধার
মেঘনায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ এম এল সারস অবশেষে নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁওয়ের চরকিশোরগঞ্জ এলাকা থেকে গত শুক্রবার মধ্যরাতে উদ্ধার করা
হয়েছে।
লঞ্চ থেকে গত শুক্রবার রাত পৌনে ৩টা পর্যন্ত দু’টি
শিশুসহ ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমে দুইজন, মধ্যরাতে
দুই দফায় তিনজন ও ৯ জনের লাশ পৃথকভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে
১৪টি লাশই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি গতকাল
সকালে মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীর মোহনা সোনারগাঁওয়ের চরহোগলা গ্রামসংলগ্নে
তীরে উঠাতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী জাহাজ রোস্তম ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা।
এ দিকে গতকাল সকাল ৯টা থেকে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল হাসান বাদল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: খোরশেদ আলম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল বাসার ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে সকাল ১০টায় লঞ্চ উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক আবুল বাসার জানান, লঞ্চের ভেতরে আর কোনো লাশ নেই। নিখোঁজ যাত্রীদের লাশ ভেসে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
নৌবাহিনীর কমান্ডার তরিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ৩টা পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার উপপরিদর্শক আজমির জামান জানান, উদ্ধার হওয়া লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি লাশ গতকাল ভোরে ও তিনটি লাশ একই দিন সকালে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, এ ছাড়া পাঁচ যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ দিকে ডুবে যাওয়া ‘এমএল সারস’ নামে লঞ্চের শিশুসহ ১৪ যাত্রীর লাশ উদ্ধার হলেও এখনো অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনদের দাবি। অনেকে গতকালও সকাল থেকে দিনভর মেঘনা নদীর সোনারগাঁওয়ে চরকিশোরগঞ্জ ও চরহোগলা গ্রামে এবং গজারিয়ার ইস্মানীরচর এলাকায় স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
উদ্ধার হওয়া ১৪ লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেনÑ চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বায়েরকান্দি গ্রামে সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শাহজালাল (৩৮), ব্রাহ্মণচর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে সুমন (৩০), চান্দারকান্দি গ্রামের সোলায়মান প্রধানের ছেলে মাওলানা মুজিবর (৪৫), কালিপুরা গ্রামের মুক্তার হোসেন (৩৫), মুক্তারকান্দি গ্রামের মনি আক্তার (১৫), বালুর চর গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী হাজেরা বেগম বেবি (৪৮), আল-আমিন নগরের দুলাল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম খলিল (৮), মোবারক বেপারীর মেয়ে হেলেনা আক্তার (১৮), রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে তানিয়া (১৭) ও চায়না বেগম (২৫), কচুয়া উপজেলা মুক্তার হোসেনের ছেলে সানজিদ (৪) ও তার মেয়ে মীম ( ৮)। এর আগে দুইজন হলেনÑ ময়না (২৬) ও দেড় বছরের শিশু প্রিন্স। তাদের উভয়ের বাড়ি চাঁদপুরের উত্তর মতলবের কালিপুরা গ্রামে বলে জানান স্বজনরা। তাদের মধ্যে ময়না নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে একই পরিবারের সাতজনের মধ্যে ছয়জনের লাশ রয়েছে। অপর একজন এখনো নিখোঁজ বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে নড়াইল জেলা কলাবাড়ী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৬), রাজ্জাক মিয়া মেয়ে শাহনাজ (২০), আবদুল করিমের ছেলে আবুল হাসেম ও আবুল হোসনের স্ত্রী শেফালী বেগমের নাম পাওয়া গেছে। আরো যাত্রী নিখোঁজ থাকলেও তাদের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
অন্য দিকে নদীতে লাশ ভেসে উঠতে পারে, এমন আশঙ্কা থাকায় গজারিয়া থেকে চাঁদপুরের মতলব পর্যন্ত মেঘনায় পুলিশকে টহল দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
সোনারগাঁও থানার ওসি আতিকুর রহমান খান জানান, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইস্মানীরচর ডুবলেও মেঘনার স্রোতে সোনারগাঁওয়ের চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে রাত পৌনে ৩টায় লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। রাতে লঞ্চটি থেকে আরো ৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মোট ১৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নদীতে আরো লাশ ভেসে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা থাকায় গজারিয়া থেকে চাঁদপুরের মতলব পর্যন্ত মেঘনায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলার মধ্যখানে মেঘনা নদীসংলগ্ন চরহোগলা গ্রাম নারায়ণগঞ্জ জেলায় হওয়ায় লঞ্চডুবি ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে বলহেডের মালিক ও চালককে আসামি করে মামলা করা হয়। বলহেডটি জব্দ করা হলেও ঘটনার পর থেকেই চালক পলাতক রয়েছেন।
এমএল সারস নামের লঞ্চটি শুক্রবার সকাল ৭টায় নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে চাঁদপুর মতলবের উদ্দেশে যাচ্ছিল। লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ইস্মানীরচর এলাকায় মেঘনায় মাঝ নদীতে পৌঁছলে একটি বালুবাহী বলহেড জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রায় ৫০ যাত্রীসহ লঞ্চটি ডুবে যায়।
এ দিকে গতকাল সকাল ৯টা থেকে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল হাসান বাদল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: খোরশেদ আলম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল বাসার ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে সকাল ১০টায় লঞ্চ উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক আবুল বাসার জানান, লঞ্চের ভেতরে আর কোনো লাশ নেই। নিখোঁজ যাত্রীদের লাশ ভেসে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
নৌবাহিনীর কমান্ডার তরিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ৩টা পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার উপপরিদর্শক আজমির জামান জানান, উদ্ধার হওয়া লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি লাশ গতকাল ভোরে ও তিনটি লাশ একই দিন সকালে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, এ ছাড়া পাঁচ যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ দিকে ডুবে যাওয়া ‘এমএল সারস’ নামে লঞ্চের শিশুসহ ১৪ যাত্রীর লাশ উদ্ধার হলেও এখনো অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনদের দাবি। অনেকে গতকালও সকাল থেকে দিনভর মেঘনা নদীর সোনারগাঁওয়ে চরকিশোরগঞ্জ ও চরহোগলা গ্রামে এবং গজারিয়ার ইস্মানীরচর এলাকায় স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
উদ্ধার হওয়া ১৪ লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেনÑ চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বায়েরকান্দি গ্রামে সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শাহজালাল (৩৮), ব্রাহ্মণচর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে সুমন (৩০), চান্দারকান্দি গ্রামের সোলায়মান প্রধানের ছেলে মাওলানা মুজিবর (৪৫), কালিপুরা গ্রামের মুক্তার হোসেন (৩৫), মুক্তারকান্দি গ্রামের মনি আক্তার (১৫), বালুর চর গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী হাজেরা বেগম বেবি (৪৮), আল-আমিন নগরের দুলাল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম খলিল (৮), মোবারক বেপারীর মেয়ে হেলেনা আক্তার (১৮), রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে তানিয়া (১৭) ও চায়না বেগম (২৫), কচুয়া উপজেলা মুক্তার হোসেনের ছেলে সানজিদ (৪) ও তার মেয়ে মীম ( ৮)। এর আগে দুইজন হলেনÑ ময়না (২৬) ও দেড় বছরের শিশু প্রিন্স। তাদের উভয়ের বাড়ি চাঁদপুরের উত্তর মতলবের কালিপুরা গ্রামে বলে জানান স্বজনরা। তাদের মধ্যে ময়না নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে একই পরিবারের সাতজনের মধ্যে ছয়জনের লাশ রয়েছে। অপর একজন এখনো নিখোঁজ বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে নড়াইল জেলা কলাবাড়ী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৬), রাজ্জাক মিয়া মেয়ে শাহনাজ (২০), আবদুল করিমের ছেলে আবুল হাসেম ও আবুল হোসনের স্ত্রী শেফালী বেগমের নাম পাওয়া গেছে। আরো যাত্রী নিখোঁজ থাকলেও তাদের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
অন্য দিকে নদীতে লাশ ভেসে উঠতে পারে, এমন আশঙ্কা থাকায় গজারিয়া থেকে চাঁদপুরের মতলব পর্যন্ত মেঘনায় পুলিশকে টহল দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
সোনারগাঁও থানার ওসি আতিকুর রহমান খান জানান, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইস্মানীরচর ডুবলেও মেঘনার স্রোতে সোনারগাঁওয়ের চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে রাত পৌনে ৩টায় লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। রাতে লঞ্চটি থেকে আরো ৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মোট ১৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নদীতে আরো লাশ ভেসে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা থাকায় গজারিয়া থেকে চাঁদপুরের মতলব পর্যন্ত মেঘনায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলার মধ্যখানে মেঘনা নদীসংলগ্ন চরহোগলা গ্রাম নারায়ণগঞ্জ জেলায় হওয়ায় লঞ্চডুবি ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে বলহেডের মালিক ও চালককে আসামি করে মামলা করা হয়। বলহেডটি জব্দ করা হলেও ঘটনার পর থেকেই চালক পলাতক রয়েছেন।
এমএল সারস নামের লঞ্চটি শুক্রবার সকাল ৭টায় নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে চাঁদপুর মতলবের উদ্দেশে যাচ্ছিল। লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ইস্মানীরচর এলাকায় মেঘনায় মাঝ নদীতে পৌঁছলে একটি বালুবাহী বলহেড জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রায় ৫০ যাত্রীসহ লঞ্চটি ডুবে যায়।
No comments