বহুজাতিক আগ্রাসন ঠেকাতে পোলট্রি খাতে নীতিমালা দাবি
বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রাসন ঠেকাতে দেশের সম্ভাবনাময় পোলট্রি খাতে
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্রুত একটি নীতিমালা তৈরির দাবি জানিয়েছেন ব্রিডার্স
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) নেতারা।
তাদের
দাবি, পোলট্রিশিল্পে যে অসম প্রতিযোগিতা চলছে তার অবসান ঘটাতে বিদেশি
বিনিয়োগের েেত্র বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার পরিবর্তন একান্ত জরুরি হয়ে
পড়েছে। প্রাইমারি প্রসেসিংয়ে বিদেশি কোম্পানিকে বিনিয়োগ করার সুযোগ দিলে
দেশের ুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরা তাদের সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসবেন বলেও
আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
গুলশানে অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে গতকাল তারা বিদেশী কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধে সরকারের হস্তপে কামনা করেন। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মশিউর রহমান, সহসভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ অঞ্জন ও ফজলে রহিম খান শাহ্রিয়ার, মহাসচিব সাইদুর রহমান বাবু প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিদেশী কোম্পানিগুলো একের পর এক বাংলাদেশী খামার ও ফ্যাক্টরি কিনে নিচ্ছে কিংবা লিজ নিচ্ছে জানিয়ে পোলট্রি নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা এমন কোনো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে না যা দেশীয় কোম্পানির কাছে নেই। বরং দেশীয় কোম্পানির কাছে বিদেশী কোম্পানির চেয়ে উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। বিনিয়োগ বোর্ডকে আর যুগোপযোগী এবং দেশীয় শিল্পবান্ধব করার তাগিদ দেন তারা ।
বিদেশী বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে সরকার উদারীকরণের যে নীতি গ্রহণ করেছে, সেটি দেশীয় স্বার্থ পরিপন্থী দাবি করে মশিউর রহমান বলেন, বিদেশী কোম্পানিগুলো কিভাবে রেগুলেটেড হবে সে বিষয়ে অস্পষ্টতার সুযোগে বিদেশী কোম্পানিগুলো যথেচ্ছাচার করছে। তিনি বলেন, শুধু পোলট্রি সেক্টর নয়, অন্য সেক্টরগুলোতেও দেশীয় উদ্যোক্তারা মার খাচ্ছেন। সরকারি কর্মকর্তারা আইনি সীমাবদ্ধতার কথা বলে তাদের দায়িত্ব পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার পরিবর্তন ঘটাতে ব্যর্থ হলে দেশীয় শিল্প মুখথুবড়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
শামসুল আরেফিন খালেদ অঞ্জন বলেন, বিদেশী কোম্পানিগুলো বিদেশী ব্যাংক থেকে তিন থেকে চার শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে এ দেশে বিনিয়োগ করছে। সেখানে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুদের হার ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ। এ অবস্থায় বহুজাতিক পুঁজির কাছে দেশীয় উদ্যোক্তারা কোনোভাবেই টিকে থাকতে পারবেন না। তাই বিদেশী কোম্পানিগুলোর েেত্র সরকারের দেয়া সুবিধাদি কমিয়ে, ত্রেবিশেষে করের হার বাড়িয়ে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে দেশীয় খামারিরা বিদেশীদের সাথে সমান তালে প্রতিযোগিতা করতে পারেন। ফজলে রহিম খান শাহ্রিয়ার বলেন, বিদেশীরা এক কাজের অনুমতি নিয়ে একাধিক ব্যবসায় করছে। এক দিন বয়সী বাচ্চা উৎপাদন থেকে শুরু করে ব্রয়লার মুরগি পালন, ডিম উৎপাদন, ফিড তৈরি এমনকি বিদেশ থেকে ওষুধ এনে বাজারজাত পর্যন্ত করছে। এভাবে তারা বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করছে এবং সুযোগ বুঝে অভ্যন্তরীণ বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। প্রাইমারি প্রসেসিং খাতে বিদেশী বিনিয়োগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে জেনেটিকস, ভ্যাকসিন তৈরি, প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির মতো অ্যাডভান্সড খাতগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগ বিবেচনা করার আহ্বান জানান তিনি। সারা পৃথিবী যখন নিজেদের শিল্পকে রার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা তৈরি করছে তখন আমাদের সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো কী করছে সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।
সাইদুর রহমান বাবু বলেন, একটি বিদেশী কোম্পানি সর্বোচ্চ কত শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিতে পারবে বিনিয়োগ নীতিমালায় সেটি সুস্পষ্টভাবে না থাকায় বিদেশী কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাজারে আধিপত্য বাড়িয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে পোলট্রি খাতের প্রায় ৪০ শতাংশ বাজার বিদেশীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশী কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ কি পরিমাণ মুনাফা করতে পারবে, মোট লভ্যাংশের কত শতাংশ নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারবে এবং কত শতাংশ এ দেশে খরচ কিংবা বিনিয়োগ করবে সে বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করতে হবে। পৃথিবীর সব দেশেই এ শর্তগুলো স্পষ্ট করা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে উদারনীতি দেখাতে গিয়ে সরকার বিদেশী কোম্পানিগুলোকে অবাধ স্বাধীনতা দিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গুলশানে অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে গতকাল তারা বিদেশী কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধে সরকারের হস্তপে কামনা করেন। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মশিউর রহমান, সহসভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ অঞ্জন ও ফজলে রহিম খান শাহ্রিয়ার, মহাসচিব সাইদুর রহমান বাবু প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিদেশী কোম্পানিগুলো একের পর এক বাংলাদেশী খামার ও ফ্যাক্টরি কিনে নিচ্ছে কিংবা লিজ নিচ্ছে জানিয়ে পোলট্রি নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা এমন কোনো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে না যা দেশীয় কোম্পানির কাছে নেই। বরং দেশীয় কোম্পানির কাছে বিদেশী কোম্পানির চেয়ে উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। বিনিয়োগ বোর্ডকে আর যুগোপযোগী এবং দেশীয় শিল্পবান্ধব করার তাগিদ দেন তারা ।
বিদেশী বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে সরকার উদারীকরণের যে নীতি গ্রহণ করেছে, সেটি দেশীয় স্বার্থ পরিপন্থী দাবি করে মশিউর রহমান বলেন, বিদেশী কোম্পানিগুলো কিভাবে রেগুলেটেড হবে সে বিষয়ে অস্পষ্টতার সুযোগে বিদেশী কোম্পানিগুলো যথেচ্ছাচার করছে। তিনি বলেন, শুধু পোলট্রি সেক্টর নয়, অন্য সেক্টরগুলোতেও দেশীয় উদ্যোক্তারা মার খাচ্ছেন। সরকারি কর্মকর্তারা আইনি সীমাবদ্ধতার কথা বলে তাদের দায়িত্ব পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার পরিবর্তন ঘটাতে ব্যর্থ হলে দেশীয় শিল্প মুখথুবড়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
শামসুল আরেফিন খালেদ অঞ্জন বলেন, বিদেশী কোম্পানিগুলো বিদেশী ব্যাংক থেকে তিন থেকে চার শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে এ দেশে বিনিয়োগ করছে। সেখানে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুদের হার ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ। এ অবস্থায় বহুজাতিক পুঁজির কাছে দেশীয় উদ্যোক্তারা কোনোভাবেই টিকে থাকতে পারবেন না। তাই বিদেশী কোম্পানিগুলোর েেত্র সরকারের দেয়া সুবিধাদি কমিয়ে, ত্রেবিশেষে করের হার বাড়িয়ে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে দেশীয় খামারিরা বিদেশীদের সাথে সমান তালে প্রতিযোগিতা করতে পারেন। ফজলে রহিম খান শাহ্রিয়ার বলেন, বিদেশীরা এক কাজের অনুমতি নিয়ে একাধিক ব্যবসায় করছে। এক দিন বয়সী বাচ্চা উৎপাদন থেকে শুরু করে ব্রয়লার মুরগি পালন, ডিম উৎপাদন, ফিড তৈরি এমনকি বিদেশ থেকে ওষুধ এনে বাজারজাত পর্যন্ত করছে। এভাবে তারা বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করছে এবং সুযোগ বুঝে অভ্যন্তরীণ বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। প্রাইমারি প্রসেসিং খাতে বিদেশী বিনিয়োগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে জেনেটিকস, ভ্যাকসিন তৈরি, প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির মতো অ্যাডভান্সড খাতগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগ বিবেচনা করার আহ্বান জানান তিনি। সারা পৃথিবী যখন নিজেদের শিল্পকে রার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা তৈরি করছে তখন আমাদের সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো কী করছে সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।
সাইদুর রহমান বাবু বলেন, একটি বিদেশী কোম্পানি সর্বোচ্চ কত শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিতে পারবে বিনিয়োগ নীতিমালায় সেটি সুস্পষ্টভাবে না থাকায় বিদেশী কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাজারে আধিপত্য বাড়িয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে পোলট্রি খাতের প্রায় ৪০ শতাংশ বাজার বিদেশীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশী কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ কি পরিমাণ মুনাফা করতে পারবে, মোট লভ্যাংশের কত শতাংশ নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারবে এবং কত শতাংশ এ দেশে খরচ কিংবা বিনিয়োগ করবে সে বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করতে হবে। পৃথিবীর সব দেশেই এ শর্তগুলো স্পষ্ট করা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে উদারনীতি দেখাতে গিয়ে সরকার বিদেশী কোম্পানিগুলোকে অবাধ স্বাধীনতা দিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments