স্বতঃস্ফূর্ত হরতালে স্থবির চট্টগ্রাম
বিপ্তি ঘটনার মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জামায়াতে
ইসলামীর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হয়েছে।
হরতালে
স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। হরতাল-সমর্থকেরা বিভিন্ন
স্থানে যানবাহন ভাঙচুর ও গাড়ির টায়ার পুড়িয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। সকাল
থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পিকেটাররা মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করেছে। পুলিশ
হরতাল-সমর্থকদের রাস্তায় দেখামাত্র লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।
কয়েকটি স্থানে হরতালকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। এ দিকে সরকারি
দলের চাপে খাগড়াছড়িতে দিগন্ত টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ সরকারের আমলে অন্যান্য হরতালের চেয়ে গতকালের হরতালে চট্টগ্রামে যানচলাচল ছিল অনেক কম। কিছু সড়কে অল্পসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। বরাবরের মতো এই হরতালেও নগরের প্রধান সড়কগুলো ছিল রিকশার দখলে। চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। তবে লঞ্চ ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সব শিাপ্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান বন্ধ ছিল। বেশির ভাগ দোকানপাট খোলেনি। নগরীর সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই খাতুনগঞ্জে সব দোকানপাট ও ব্যবসাকেন্দ্র বন্ধ ছিল। সিইপিজেডে প্রায় সব কারখানাও বন্ধ ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে বার্থিং নেয়া জাহাজে পণ্য ওঠানামা চললেও পণ্য নিয়ে কোনো পরিবহনও বন্দর থেকে বের হয়নি। ফলে জীবনযাত্রা প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত অভিযোগ করেছে, হরতালকে কেন্দ্র করে তাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া অনেকে পুলিশের পিটুনিতে আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হরতাল চলাকালে চট্টগ্রামে আটক করা হয়েছে সাতজনকে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল, সম্প্রতি নগরীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে চার জামায়াত-ছাত্রশিবির কর্মীসহ নিহত এবং সভা-সমাবেশে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা এ হরতালের ডাক দিয়েছে। অপর দিকে চট্টগ্রামে হরতাল প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছিল ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। কিন্তু গতকাল হরতাল চলাকালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কয়েকজনকে শতাধিক পুলিশ বেষ্টনী অবস্থায় চট্টগ্রাম প্রেস কাব চত্বরে সমাবেশ করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া নগরীর আর কোনো জায়গায় তাদের দেখা যায়নি। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ জামালখান এলাকার প্রধান সড়কটি অবরোধ করে রাখে। পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দেয়ার নামে রাস্তা ব্লক করে রাখায় হাসপাতালসহ অর্ধশতাধিক কিনিকে রোগীরা যাওয়া আসা করতে দুর্ভোগে পড়েন।
গতকাল সকাল থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য আর্মার্ড কার, প্রিজনভ্যান নিয়ে নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, দেওয়ানহাট, দিদার মার্কেট, মুরাদপুর, লালখানবাজার, কাজীর দেউরী মোড় ও লালদীঘি পাড় এলাকায় অবস্থান নেন। ওই সব এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত তল্লাশির কারণে হরতাল চলাকালে তেমন লোকজন ও গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি।
হরতাল চলাকালে কোতোয়ালি থানা জামায়াত লালদীঘির পূর্বপাড়ে বিােভ মিছিল শেষে এক পথসভা করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
পথসভায় তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন থেকে জনগণ বাঁচতে চায়। বারবার হরতাল স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করে ব্যর্থ সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন দেশবাসী। আজকের হরতাল সফল করে জনগণ চট্টগ্রামে আওয়ামী-ছাত্রলীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত চারজন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, অবিলম্বে বিতর্কিত রায় এবং ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানিয়েছেন।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, শনিবার ভোরে মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েকটি স্পটে, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দেয়, বিােভ মিছিল করে হরতাল সমর্থকেরা। এ ছাড়া ধুমঘাট এলাকায় দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে। উপজেলার বড়তাকিয়ায় জামায়াতের আমির নুরুল করিম ও ধুমঘাট এলাকায় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল কবির, বারইয়ারহাট পৌরসভা জামায়াতের আমির কাউন্সিলর নুরুল হুদা হামিদীর নেতৃত্বে একটি বিােভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, নাশকতা এড়াতে উপজেলাব্যাপী ব্যাপকভাবে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছেন।
পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, গতকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ দণি চট্টগ্রামের ১৯ রুট ও সংশ্লিষ্ট সাত উপজেলা এবং নগরীর কর্ণফুলী থানা এলাকায় কোনো দূরপাল্লার ভারী যানবাহন, যাত্রীবাহী বাস চলাচল করেনি। তবে মাঝে মধ্যে দু-একটি ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেলেও বেশির ভাগ উপজেলার অফিস আদালতগুলোয় উপস্থিতি ছিল কম। এ দিকে চন্দনাইশে গ্রেফতারকৃত উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম (৪০), মসজিদের ইমাম মনিরুল হক (৪৭), মাওলানা সরোয়ার আলম (৪২), মোহাম্মদ ইরফান (২০), মোহাম্মদ মোরশেদ (২২)। জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮ ফেব্র“য়ারি দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই দিন ফজরের নামাজের পর পুলিশ তাদের উপজেলার হারালা গ্রাম থেকে আটক করে।
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা জানান, সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে তিন পার্বত্য জেলাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবির আহূত হরতাল খাগড়াছড়িতে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে।
হরতালের পক্ষে কোনো ধরনের পিকেটিংও দেখা যায়নি। তবে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম দূরপাল্লার সড়কে ভোর থেকে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি। মানিকছড়ির স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানান, হরতালের কারণে বন্ধ ছিল লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ির অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগও।
এ দিকে গত শুক্রবার রাত থেকে সরকারি দলের চাপে খাগড়াছড়িতে দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে দুপুরে দিগন্ত টিভির দর্শকেরা দ্রুত এর সম্প্রচার চালু করতে অনুরোধ করেছেন। অন্য দিকে রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা পত্রিকা এজেন্টদেরকে নয়া দিগন্ত ও আমার দেশ পত্রিকা খাগড়াছড়িতে না আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করলেও পাঠকদের তীব্র আকাক্সার কারণে তা বন্ধ করতে পারেনি।
এ সরকারের আমলে অন্যান্য হরতালের চেয়ে গতকালের হরতালে চট্টগ্রামে যানচলাচল ছিল অনেক কম। কিছু সড়কে অল্পসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। বরাবরের মতো এই হরতালেও নগরের প্রধান সড়কগুলো ছিল রিকশার দখলে। চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। তবে লঞ্চ ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সব শিাপ্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান বন্ধ ছিল। বেশির ভাগ দোকানপাট খোলেনি। নগরীর সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই খাতুনগঞ্জে সব দোকানপাট ও ব্যবসাকেন্দ্র বন্ধ ছিল। সিইপিজেডে প্রায় সব কারখানাও বন্ধ ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে বার্থিং নেয়া জাহাজে পণ্য ওঠানামা চললেও পণ্য নিয়ে কোনো পরিবহনও বন্দর থেকে বের হয়নি। ফলে জীবনযাত্রা প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত অভিযোগ করেছে, হরতালকে কেন্দ্র করে তাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া অনেকে পুলিশের পিটুনিতে আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হরতাল চলাকালে চট্টগ্রামে আটক করা হয়েছে সাতজনকে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল, সম্প্রতি নগরীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে চার জামায়াত-ছাত্রশিবির কর্মীসহ নিহত এবং সভা-সমাবেশে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা এ হরতালের ডাক দিয়েছে। অপর দিকে চট্টগ্রামে হরতাল প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছিল ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। কিন্তু গতকাল হরতাল চলাকালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কয়েকজনকে শতাধিক পুলিশ বেষ্টনী অবস্থায় চট্টগ্রাম প্রেস কাব চত্বরে সমাবেশ করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া নগরীর আর কোনো জায়গায় তাদের দেখা যায়নি। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ জামালখান এলাকার প্রধান সড়কটি অবরোধ করে রাখে। পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দেয়ার নামে রাস্তা ব্লক করে রাখায় হাসপাতালসহ অর্ধশতাধিক কিনিকে রোগীরা যাওয়া আসা করতে দুর্ভোগে পড়েন।
গতকাল সকাল থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য আর্মার্ড কার, প্রিজনভ্যান নিয়ে নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, দেওয়ানহাট, দিদার মার্কেট, মুরাদপুর, লালখানবাজার, কাজীর দেউরী মোড় ও লালদীঘি পাড় এলাকায় অবস্থান নেন। ওই সব এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত তল্লাশির কারণে হরতাল চলাকালে তেমন লোকজন ও গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি।
হরতাল চলাকালে কোতোয়ালি থানা জামায়াত লালদীঘির পূর্বপাড়ে বিােভ মিছিল শেষে এক পথসভা করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
পথসভায় তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন থেকে জনগণ বাঁচতে চায়। বারবার হরতাল স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করে ব্যর্থ সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন দেশবাসী। আজকের হরতাল সফল করে জনগণ চট্টগ্রামে আওয়ামী-ছাত্রলীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত চারজন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, অবিলম্বে বিতর্কিত রায় এবং ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানিয়েছেন।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, শনিবার ভোরে মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েকটি স্পটে, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দেয়, বিােভ মিছিল করে হরতাল সমর্থকেরা। এ ছাড়া ধুমঘাট এলাকায় দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে। উপজেলার বড়তাকিয়ায় জামায়াতের আমির নুরুল করিম ও ধুমঘাট এলাকায় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল কবির, বারইয়ারহাট পৌরসভা জামায়াতের আমির কাউন্সিলর নুরুল হুদা হামিদীর নেতৃত্বে একটি বিােভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, নাশকতা এড়াতে উপজেলাব্যাপী ব্যাপকভাবে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছেন।
পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, গতকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ দণি চট্টগ্রামের ১৯ রুট ও সংশ্লিষ্ট সাত উপজেলা এবং নগরীর কর্ণফুলী থানা এলাকায় কোনো দূরপাল্লার ভারী যানবাহন, যাত্রীবাহী বাস চলাচল করেনি। তবে মাঝে মধ্যে দু-একটি ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেলেও বেশির ভাগ উপজেলার অফিস আদালতগুলোয় উপস্থিতি ছিল কম। এ দিকে চন্দনাইশে গ্রেফতারকৃত উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম (৪০), মসজিদের ইমাম মনিরুল হক (৪৭), মাওলানা সরোয়ার আলম (৪২), মোহাম্মদ ইরফান (২০), মোহাম্মদ মোরশেদ (২২)। জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮ ফেব্র“য়ারি দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করে তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই দিন ফজরের নামাজের পর পুলিশ তাদের উপজেলার হারালা গ্রাম থেকে আটক করে।
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা জানান, সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে তিন পার্বত্য জেলাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবির আহূত হরতাল খাগড়াছড়িতে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে।
হরতালের পক্ষে কোনো ধরনের পিকেটিংও দেখা যায়নি। তবে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম দূরপাল্লার সড়কে ভোর থেকে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি। মানিকছড়ির স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানান, হরতালের কারণে বন্ধ ছিল লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ির অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগও।
এ দিকে গত শুক্রবার রাত থেকে সরকারি দলের চাপে খাগড়াছড়িতে দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে দুপুরে দিগন্ত টিভির দর্শকেরা দ্রুত এর সম্প্রচার চালু করতে অনুরোধ করেছেন। অন্য দিকে রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা পত্রিকা এজেন্টদেরকে নয়া দিগন্ত ও আমার দেশ পত্রিকা খাগড়াছড়িতে না আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করলেও পাঠকদের তীব্র আকাক্সার কারণে তা বন্ধ করতে পারেনি।
No comments