হোমিওপ্যাথি- যা জানতে চেয়েছেন
১। প্রশ্ন : আমার একজন রোগীর কাশির সাথে রক্ত যায়। সব সময় হালকা জ্বরও
থাকে। রোগী ধূমপায়ী। আমি তাকে ফসফরাস-৩০, ২০০ প্রয়োগ করেছি।
কিন্তু কোনো উপকার পাইনি। এ রোগীটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাই।
ডা: শহীদুল্লাহ, ঢাকা।
উত্তর : রোগীর কাশির সাথে রক্ত যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেসব কারণে রক্ত যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, যক্ষ্মা, ফুসফুসের ক্যান্সার, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হার্টের রোগ, মাইট্রাল স্টেনোসিস, অ্যাকিউট লেফট ভেন্ট্রিকুলার ফেইলিউর ইত্যাদি। এ জন্য রোগীর বুকের এক্স-রে, কাশি পরীক্ষা, ইকোকার্ডিওগ্রাফিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে। রোগীর পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জেনে সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিতে হবে। অবস্থা বুঝে রোগীকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে হবে। তবে এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতেও সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যোগ্যতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে যেসব হোমিওপ্যাথি ওষুধ বেশি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে রয়েছে একোনাইট, আর্নিকা, আর্সেনিক ক্যাক্টাস, চেলিডোনিয়াম, চায়না, ফেরাম, হ্যামামেলিস, নাইট্রিক এসিড, ফসফরাস, স্টেনাম ইত্যাদি। এসব ওষুধ রোগীর পূর্ণাঙ্গ চিত্রের সাদৃশ্য হলেই শুধু প্রয়োগ করা যাবে।
২। প্রশ্ন : রোগীর বয়স ৪০। বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ বলেছেন, তার ‘ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস’। কী কী কারণে এ রোগ হয়? হোমিওপ্যাথিতে এ রোগের কোনো চিকিৎসা আছে কি?
Ñডা: সামছুল আলম, ঢাকা
উত্তর : ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের প্রধান কারণ ধূমপান। হ্যাঁ, এ ধরনের রোগীর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্ভব। যেসব ওষুধ এ ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে রয়েছেÑ এন্টিম টার্ট, আর্সেনিক, ব্রায়োজিয়া, ড্রসেরা, হিপার সালফ, লাইকোপোডিয়াম, ন্যাট্রাম সালফ, ফসফরাস, পালস, স্পঞ্জিয়া, স্টেনাম টিউরারকুলিনাম ইত্যাদি। আপনার অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষণতা অনুযায়ী ওই ওষুধগুলোর মধ্য থেকে ওষুধ নির্বাচন করতে পারেন।
৩। প্রশ্ন : রোগীর বয়স ৩২। মহিলা। শুকনো কাশি। মাসিকের পূর্বে। যেহেতু মাসিকের পূর্বে কাশি বাড়ে, তাই তাকে আমি Pulsalilla-30 প্রয়োগ করি। সামান্য উপকার হলেও রোগী ভালো হচ্ছে না। তার এ কাশির কারণ কী এবং তার জন্য কী ওষুধ নির্বাচন করা যায়?
Ñ ডা: শামিম, ঢাকা
উত্তর : আমাদের গলার পেছন থেকে স্বরযন্ত্র পর্যন্ত অঞ্চলে রোগ হলে কাশির সাথে শ্লেষ্মা বের হবে না। কারণ এ অঞ্চলে শ্লেষ্মা তৈরি করার মতো কোনো গ্লান্ড নেই। এ ধরনের কাশির প্রধান কারণ, ফ্যারিনজাইটিস (Pharyngitis), j¨vwibRvBwUm (laryngitis), UbwmjvBwUm (tonsilitis। এসব রোগে সাধারণত কাশি শুকনো থাকে। কোনো কিছু বের হয় না। টনসিলাইটিস ও ফ্যারিনজাইটিস হলে কাশির সাথে ঢোক গিলতে অসুবিধা হবে। ল্যারিনজাইটিস হলে কাশির সাথে সাথে গলার আওয়াজও বসে যাবে।
আপনার রোগীর শুকনো কাশি। মাসিকের পূর্বে বাড়ে। এর জন্য প্রধানত জিঙ্কাম মেটেলিকাম (Zincum Metallicum) এবং পরে ব্যবহার করতে পারেন।
৪। প্রশ্ন : আমার একজন রোগীর শরীর ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে। কেন এ রকম হচ্ছে? এ ব্যাপারে হোমিওপাথি চিকিৎসায় কোনো উপকার পাওয়া যাবে কী?
Ñ ডা: আবদুস শাকুর, ঢাকা।
উত্তর : শরীর ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। আমাদের দেশে যেসব কারণে এমনটি হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে, (১) যক্ষ্মা, (২) ডায়াবেটিস, (৩) ক্রনিক লিভার রোগ, (৪) ক্রনিক কিডনি রোগ, (৫) ক্রনিক ডায়েরিয়া, (৬) থাইরোটক্সিক রোগ, (৭) ক্রনিক ইনফেকশন, (৮) ক্যান্সারজাতীয় রোগ, (৯) অপুষ্টি ও (১০) মানসিক চাপ।
রোগীর বিস্তারিত ইতিহাস ও কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসা দিতে হবে। কারণ অনুযায়ী হোমিপ্যাথি চিকিৎসা দিলে রোগী উপকার পেতে পারেন।
৫। প্রশ্ন : আমার বয়স ২৪। ছাত্র। আমার বারবার প্রস্রাব হয়। কী কারণে এ রকম হচ্ছে? হোমিওপ্যাথিতে এর কোনো ওষুধ আছে কী?
সুমন, ঢাকা।
উত্তর : বারবার প্রস্রাব হওয়ার কারণের মধ্যে রয়েছেÑ (১) ডায়াবেটিস মেলাইটাস, (২) প্রস্রাব ই-কলাই ইনফেকশন, (৩) টেনশান ও (৪) ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস।
আপনি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার দ্বারা সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিলে আপনার কষ্ট কমে যাবে। এসব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ওষুধ বেশ কার্যকর।
উত্তরদাতা : নির্বাহী পরিচালক
ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ রোড-১১, বাড়ি-৩৮, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯। ফোন : ৮৯০০৫৩৮, ০১৭১২৮১৭১৪৪।
ডা: শহীদুল্লাহ, ঢাকা।
উত্তর : রোগীর কাশির সাথে রক্ত যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেসব কারণে রক্ত যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, যক্ষ্মা, ফুসফুসের ক্যান্সার, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হার্টের রোগ, মাইট্রাল স্টেনোসিস, অ্যাকিউট লেফট ভেন্ট্রিকুলার ফেইলিউর ইত্যাদি। এ জন্য রোগীর বুকের এক্স-রে, কাশি পরীক্ষা, ইকোকার্ডিওগ্রাফিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে। রোগীর পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জেনে সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিতে হবে। অবস্থা বুঝে রোগীকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে হবে। তবে এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতেও সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যোগ্যতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে যেসব হোমিওপ্যাথি ওষুধ বেশি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে রয়েছে একোনাইট, আর্নিকা, আর্সেনিক ক্যাক্টাস, চেলিডোনিয়াম, চায়না, ফেরাম, হ্যামামেলিস, নাইট্রিক এসিড, ফসফরাস, স্টেনাম ইত্যাদি। এসব ওষুধ রোগীর পূর্ণাঙ্গ চিত্রের সাদৃশ্য হলেই শুধু প্রয়োগ করা যাবে।
২। প্রশ্ন : রোগীর বয়স ৪০। বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ বলেছেন, তার ‘ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস’। কী কী কারণে এ রোগ হয়? হোমিওপ্যাথিতে এ রোগের কোনো চিকিৎসা আছে কি?
Ñডা: সামছুল আলম, ঢাকা
উত্তর : ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের প্রধান কারণ ধূমপান। হ্যাঁ, এ ধরনের রোগীর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্ভব। যেসব ওষুধ এ ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে রয়েছেÑ এন্টিম টার্ট, আর্সেনিক, ব্রায়োজিয়া, ড্রসেরা, হিপার সালফ, লাইকোপোডিয়াম, ন্যাট্রাম সালফ, ফসফরাস, পালস, স্পঞ্জিয়া, স্টেনাম টিউরারকুলিনাম ইত্যাদি। আপনার অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষণতা অনুযায়ী ওই ওষুধগুলোর মধ্য থেকে ওষুধ নির্বাচন করতে পারেন।
৩। প্রশ্ন : রোগীর বয়স ৩২। মহিলা। শুকনো কাশি। মাসিকের পূর্বে। যেহেতু মাসিকের পূর্বে কাশি বাড়ে, তাই তাকে আমি Pulsalilla-30 প্রয়োগ করি। সামান্য উপকার হলেও রোগী ভালো হচ্ছে না। তার এ কাশির কারণ কী এবং তার জন্য কী ওষুধ নির্বাচন করা যায়?
Ñ ডা: শামিম, ঢাকা
উত্তর : আমাদের গলার পেছন থেকে স্বরযন্ত্র পর্যন্ত অঞ্চলে রোগ হলে কাশির সাথে শ্লেষ্মা বের হবে না। কারণ এ অঞ্চলে শ্লেষ্মা তৈরি করার মতো কোনো গ্লান্ড নেই। এ ধরনের কাশির প্রধান কারণ, ফ্যারিনজাইটিস (Pharyngitis), j¨vwibRvBwUm (laryngitis), UbwmjvBwUm (tonsilitis। এসব রোগে সাধারণত কাশি শুকনো থাকে। কোনো কিছু বের হয় না। টনসিলাইটিস ও ফ্যারিনজাইটিস হলে কাশির সাথে ঢোক গিলতে অসুবিধা হবে। ল্যারিনজাইটিস হলে কাশির সাথে সাথে গলার আওয়াজও বসে যাবে।
আপনার রোগীর শুকনো কাশি। মাসিকের পূর্বে বাড়ে। এর জন্য প্রধানত জিঙ্কাম মেটেলিকাম (Zincum Metallicum) এবং পরে ব্যবহার করতে পারেন।
৪। প্রশ্ন : আমার একজন রোগীর শরীর ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে। কেন এ রকম হচ্ছে? এ ব্যাপারে হোমিওপাথি চিকিৎসায় কোনো উপকার পাওয়া যাবে কী?
Ñ ডা: আবদুস শাকুর, ঢাকা।
উত্তর : শরীর ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। আমাদের দেশে যেসব কারণে এমনটি হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে, (১) যক্ষ্মা, (২) ডায়াবেটিস, (৩) ক্রনিক লিভার রোগ, (৪) ক্রনিক কিডনি রোগ, (৫) ক্রনিক ডায়েরিয়া, (৬) থাইরোটক্সিক রোগ, (৭) ক্রনিক ইনফেকশন, (৮) ক্যান্সারজাতীয় রোগ, (৯) অপুষ্টি ও (১০) মানসিক চাপ।
রোগীর বিস্তারিত ইতিহাস ও কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসা দিতে হবে। কারণ অনুযায়ী হোমিপ্যাথি চিকিৎসা দিলে রোগী উপকার পেতে পারেন।
৫। প্রশ্ন : আমার বয়স ২৪। ছাত্র। আমার বারবার প্রস্রাব হয়। কী কারণে এ রকম হচ্ছে? হোমিওপ্যাথিতে এর কোনো ওষুধ আছে কী?
সুমন, ঢাকা।
উত্তর : বারবার প্রস্রাব হওয়ার কারণের মধ্যে রয়েছেÑ (১) ডায়াবেটিস মেলাইটাস, (২) প্রস্রাব ই-কলাই ইনফেকশন, (৩) টেনশান ও (৪) ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস।
আপনি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার দ্বারা সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিলে আপনার কষ্ট কমে যাবে। এসব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ওষুধ বেশ কার্যকর।
উত্তরদাতা : নির্বাহী পরিচালক
ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ রোড-১১, বাড়ি-৩৮, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯। ফোন : ৮৯০০৫৩৮, ০১৭১২৮১৭১৪৪।
No comments