পলাশী ব্যারাকে ভাষা আন্দোলন
১৯৪৭ সালের ১২ ডিসেম্বর একদল দুর্বৃত্ত বাস ও ট্রাকে চড়ে উর্দুকে
পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে পলাশী ব্যারাকে
উপস্থিত হয়।
তারা
আহ্ছানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমান বুয়েট) শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য
করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এমনকি তারা কয়েক রাউন্ড গুলিও করে। এতে বেশ
ক’জন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ আহত হন। দুর্বৃত্তরা যে বাসে চড়ে পলাশী
আসে তার নাম ছিল ‘মুকুল’। বাসে দু’টি মাইক্রোফোন সংযুক্ত ছিল। মাইকে তারা
‘রাষ্ট্রভাষা উর্দু চাই’ স্লোগান দেয়। অন্তত ৪০ জন দুর্বৃত্ত সে দিন বেলা
১১টায় বাসে এসে পলাশীতে হামলা চালায়। হামলার সময় লালবাগ থানা পুলিশ
ঘটনাস্থলে এলে তারা পালিয়ে যায়। বেলা দেড়টার দিকে তারা আবার বাসে এসে
আহ্ছানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হোস্টেল ও পলাশী ব্যারাকে আক্রমণ
চালায়। কলেজ হোস্টেলে তারা লুটপাট চালায়। কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের
স্ত্রী এই হামলায় আহত হন। কলেজের সেই সময়কার ভিপি নুরুল হুদার নেতৃত্বে
দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করেন ছাত্ররা। নুরুল হুদা ভাইস প্রিন্সিপালের লাইসেন্স
করা বন্দুক তাক করে দুর্বৃত্তদের দিকে এগিয়ে গেলে একপর্যায়ে তারা তারা
পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাসেমের নেতৃত্বে একটি মিছিল শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে এবং পরে পলাশী ব্যারাকের সামনে পথসভা করে। এ মিছিলটি পরে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে সচিবালয়ের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাসেমের নেতৃত্বে একটি মিছিল শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে এবং পরে পলাশী ব্যারাকের সামনে পথসভা করে। এ মিছিলটি পরে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে সচিবালয়ের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
No comments