ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ত্রুটি
আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তৈরিকৃত ভোটার তালিকা ও জাতীয়
পরিচয়পত্র ত্রুটিমুক্ত নয় বলে দাবি করেছে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ
(ইডব্লিউজি)।
তাদের পর্যবেক্ষণে ভোটার তালিকা অনেকাংশে
ত্রুটিমুক্ত হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র ১৫ শতাংশ ভুলে ভরা। তালিকায় প্রতি
সাতজনের মধ্যে একজনেরও বেশি ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সঠিকভাবে
লিপিবদ্ধ হয়নি। ইডব্লিউজি ভোটার তালিকাসহ পর্যবেক্ষণ নীতিমালা পরিবর্তন,
মহিলা, প্রান্তিক ও সংখ্যালঘু ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইসির কাছে
পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভোটার তালিকা নিয়ে গতকাল ইডব্লিউজি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে বক্তৃতা করেন ডরপের এ এইচ এম নোমান, জানিপপর অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকার ও কামরুল ইসলাম মঞ্জু। ইডব্লিউজি বলছে, নতুন করে তালিকা করার পর নির্বাচনী কার্যালয়গুলোতে ভোটার তালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন করা হয়নি। ফলে খসড়া তালিকা দেখতে এবং যাচাই করতে ভোটারদের সমস্যা হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তারা যথাযথ সঙ্গতির সাথে ১০ নম্বর ফরম পূরণ করতে পারছিলেন না। যার ফলে ভোটাররা তাদের নিজ নিজ তথ্য সংশোধনের জন্য যে আবেদন করছিলেন তাও সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি। কারণ ১০ নম্বর ফরম ছিল একজন ভোটারের যাবতীয় সংশোধনী অনুরোধের সারসংপে। সুপারিশে সংগঠনটি বলেছে, নির্বাচন পর্যবেণের জন্য বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের যে নীতিমালা আছে তাতে স্থিরিকৃত/নিশ্চল পর্যবেণের কোনো সুযোগ নেই। এ নীতিমালা পরিবর্তন করে ভোটার তালিকাভুক্ত যেকোনো বয়সের, যেকোনো এলাকার নিরপে ব্যক্তিকে নির্বাচন পর্যবেণের সুযোগ দেয়া উচিত। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের গতিবিধি পর্যবেণ এবং কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণের জন্য পর্যবেকদের দিনব্যাপী নির্বাচন কেন্দ্রে অবস্থান করা সবচেয়ে অর্থবহ পন্থা। স্থিরিকৃত/নিশ্চল পর্যবেণ ছাড়া নির্বাচনী দিনের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বোঝার অন্য কোনো উপায় নেই। তারা বলছেন, ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রের বাইরে সংশ্লিষ্ট ভোটার তালিকা টাঙিয়ে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভোটাররা ওই তালিকা থেকে নিজেরাই প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশনা নিয়ে ভোট দিতে পারেন এবং রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করতে না হয়।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভোটার তালিকা নিয়ে গতকাল ইডব্লিউজি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে বক্তৃতা করেন ডরপের এ এইচ এম নোমান, জানিপপর অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকার ও কামরুল ইসলাম মঞ্জু। ইডব্লিউজি বলছে, নতুন করে তালিকা করার পর নির্বাচনী কার্যালয়গুলোতে ভোটার তালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন করা হয়নি। ফলে খসড়া তালিকা দেখতে এবং যাচাই করতে ভোটারদের সমস্যা হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তারা যথাযথ সঙ্গতির সাথে ১০ নম্বর ফরম পূরণ করতে পারছিলেন না। যার ফলে ভোটাররা তাদের নিজ নিজ তথ্য সংশোধনের জন্য যে আবেদন করছিলেন তাও সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি। কারণ ১০ নম্বর ফরম ছিল একজন ভোটারের যাবতীয় সংশোধনী অনুরোধের সারসংপে। সুপারিশে সংগঠনটি বলেছে, নির্বাচন পর্যবেণের জন্য বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের যে নীতিমালা আছে তাতে স্থিরিকৃত/নিশ্চল পর্যবেণের কোনো সুযোগ নেই। এ নীতিমালা পরিবর্তন করে ভোটার তালিকাভুক্ত যেকোনো বয়সের, যেকোনো এলাকার নিরপে ব্যক্তিকে নির্বাচন পর্যবেণের সুযোগ দেয়া উচিত। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের গতিবিধি পর্যবেণ এবং কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণের জন্য পর্যবেকদের দিনব্যাপী নির্বাচন কেন্দ্রে অবস্থান করা সবচেয়ে অর্থবহ পন্থা। স্থিরিকৃত/নিশ্চল পর্যবেণ ছাড়া নির্বাচনী দিনের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বোঝার অন্য কোনো উপায় নেই। তারা বলছেন, ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রের বাইরে সংশ্লিষ্ট ভোটার তালিকা টাঙিয়ে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভোটাররা ওই তালিকা থেকে নিজেরাই প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশনা নিয়ে ভোট দিতে পারেন এবং রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করতে না হয়।
No comments