জনআকাঙ্খা বিবেচনায় রায়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর by সাজিদুল হক
জনগণের আকাঙ্খা বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে রায় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় সমাপনী বক্তা হিসেবে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, “বিচারের রায় দেবে ট্রাইব্যুনাল। আইন দেখেই বিচার চলবে। মানুষের
আশা-আকাঙ্খা, মানুষ কি চায় তা যাতে বিবেচনা করা হয় সেই অনুরোধ থাকবে।”
শাহবাগের আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “তাদের প্রতিটি কথা আমি শুনেছি। আমরা এই মহান সংসদে তাদের প্রতিটি বাক্যের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি। তারা যে শপথ নিয়েছে তার প্রতিটি বাক্য যুক্তিসঙ্গত। তাদের শপথ বাস্তবায়নে যা যা করার দরকার আমরা করবো। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে আইনগত যদি কোন দুর্বলতা থাকে, সংশোধন করতে হলে করবো। বিচার যাতে সুষ্ঠভাবে হয় সেই পরিবেশ সবাইকে সৃষ্টি করতে হবে। রায় যাতে কার্যকর হয় তার জন্য সবার সহযোগিতা চাই।”
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে স্পিকারের কাছে দেওয়া স্মারকলিপি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, “এই স্মারক লিপির প্রতিটি দাবির সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি।”
তিনি আরো বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে যদি কোনো আইনগত দুর্বলতা থাকে তবে আমরা ব্যবস্থা নেবো।”
দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার জীবন দিয়ে হলেও আমি এ বিচারের কাজ শেষ করে যাবো। যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না। রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।”
সময় নির্দিষ্ট করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমরা পড়াশুনা চালিয়ে যাও। তোমরাই আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব দেবে। সময় নির্দিষ্ট রেখে আন্দোলন অব্যাহত রাখো।”
এর আগে শেখ হাসিনা আরো বলেন, “তারা যা দেখিয়েছে তা অভূতপূর্ব। শুধু শাহবাগ নয়, সারা বাংলাদেশে তারা আন্দোলন গড়ে তুলেছে। সেই আন্দোলনে দল-মত নির্বিশেষে সবাই অংশ নিয়েছে। এতে দল নয়, মত নয়, তরুণ প্রজন্ম স্বাধীনতার চেতনায় জেগে উঠেছে।”
শাহবাগ মোড়ের নতুন নাম ‘প্রজন্ম চত্বর’ সমর্থন করে তিনি বলেন, “শাহবাগ হোটেলের নামে ওই মোড়ের নামকরণ হয়েছিলো। এই শাহবাগ নামের সঙ্গে পাকিস্তান-পাকিস্তান গন্ধ থেকে যায়।”
এর আগে পাকিস্তান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “রাষ্ট্র হিসেবে রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু আমরা ভুলে যেতে পারি না। জাতিসংঘে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে বলেছিলাম, আমরা ক্ষমা করতে পারি কিন্তু ভুলে যেতে পারি না।”
তিনি আরো বলেন, “স্বাধীনতার পর সামরিক অর্ডিনেন্স জারি করে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়। এর আগে অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যায়। যে বিচারের কাজ জাতির পিতা শুরু করে গিয়েছিলেন সে বিচার বন্ধ হয় ’৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা ও ৪ নেতাকে হত্যার পর। তারপর সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। যারা দেশ ছেড়ে গিয়েছিল তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। যাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল তাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। সংবিধানে যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের ভোটাধিকার ছিল না, রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল- তাদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়, অধিকার দেওয়া হয়।। লাখো শহীদের রক্তেভেজা পতাকা উড়িয়ে তারা চলতো। মনে হতো পরাজিত শক্তি ক্ষমতায়। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী, তারা পরাজিত। ’৭৫ পর এদেশে ফিরতে পারিনি। ’৮১তে ফিরে আসি । যুদ্ধাপরাধীদের কথা বলা, সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতায় আসার কথা বলতে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। বারবার মুত্যুর মুখোমুখি হয়েছি।”
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা ভোট দিয়েছেন বলে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছি। এবার এসে কার্যকর করেছি। সংবিধান সংশোধন করে স্বাধীনতার চেতনা প্রতিষ্ঠা করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি।”
শাহবাগের আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “তাদের প্রতিটি কথা আমি শুনেছি। আমরা এই মহান সংসদে তাদের প্রতিটি বাক্যের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি। তারা যে শপথ নিয়েছে তার প্রতিটি বাক্য যুক্তিসঙ্গত। তাদের শপথ বাস্তবায়নে যা যা করার দরকার আমরা করবো। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে আইনগত যদি কোন দুর্বলতা থাকে, সংশোধন করতে হলে করবো। বিচার যাতে সুষ্ঠভাবে হয় সেই পরিবেশ সবাইকে সৃষ্টি করতে হবে। রায় যাতে কার্যকর হয় তার জন্য সবার সহযোগিতা চাই।”
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে স্পিকারের কাছে দেওয়া স্মারকলিপি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, “এই স্মারক লিপির প্রতিটি দাবির সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি।”
তিনি আরো বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে যদি কোনো আইনগত দুর্বলতা থাকে তবে আমরা ব্যবস্থা নেবো।”
দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার জীবন দিয়ে হলেও আমি এ বিচারের কাজ শেষ করে যাবো। যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না। রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।”
সময় নির্দিষ্ট করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমরা পড়াশুনা চালিয়ে যাও। তোমরাই আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব দেবে। সময় নির্দিষ্ট রেখে আন্দোলন অব্যাহত রাখো।”
এর আগে শেখ হাসিনা আরো বলেন, “তারা যা দেখিয়েছে তা অভূতপূর্ব। শুধু শাহবাগ নয়, সারা বাংলাদেশে তারা আন্দোলন গড়ে তুলেছে। সেই আন্দোলনে দল-মত নির্বিশেষে সবাই অংশ নিয়েছে। এতে দল নয়, মত নয়, তরুণ প্রজন্ম স্বাধীনতার চেতনায় জেগে উঠেছে।”
শাহবাগ মোড়ের নতুন নাম ‘প্রজন্ম চত্বর’ সমর্থন করে তিনি বলেন, “শাহবাগ হোটেলের নামে ওই মোড়ের নামকরণ হয়েছিলো। এই শাহবাগ নামের সঙ্গে পাকিস্তান-পাকিস্তান গন্ধ থেকে যায়।”
এর আগে পাকিস্তান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “রাষ্ট্র হিসেবে রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু আমরা ভুলে যেতে পারি না। জাতিসংঘে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে বলেছিলাম, আমরা ক্ষমা করতে পারি কিন্তু ভুলে যেতে পারি না।”
তিনি আরো বলেন, “স্বাধীনতার পর সামরিক অর্ডিনেন্স জারি করে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়। এর আগে অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যায়। যে বিচারের কাজ জাতির পিতা শুরু করে গিয়েছিলেন সে বিচার বন্ধ হয় ’৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা ও ৪ নেতাকে হত্যার পর। তারপর সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। যারা দেশ ছেড়ে গিয়েছিল তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। যাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল তাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। সংবিধানে যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের ভোটাধিকার ছিল না, রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল- তাদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়, অধিকার দেওয়া হয়।। লাখো শহীদের রক্তেভেজা পতাকা উড়িয়ে তারা চলতো। মনে হতো পরাজিত শক্তি ক্ষমতায়। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী, তারা পরাজিত। ’৭৫ পর এদেশে ফিরতে পারিনি। ’৮১তে ফিরে আসি । যুদ্ধাপরাধীদের কথা বলা, সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতায় আসার কথা বলতে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। বারবার মুত্যুর মুখোমুখি হয়েছি।”
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা ভোট দিয়েছেন বলে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছি। এবার এসে কার্যকর করেছি। সংবিধান সংশোধন করে স্বাধীনতার চেতনা প্রতিষ্ঠা করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি।”
No comments