ব্যারিস্টার রাজ্জাকের চেম্বারে পুলিশের অভিযান
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের চেম্বারে
অভিয্না চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার
মধ্যে ডিবি পুলিশের এডিসি নুরুন্নবীর নেতৃত্বে,
একটি
টিম রাজধানীর নয়াপল্টনে সিটি হার্ট ভবনে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের চেম্বারে
এই অভিযান চালায়। তবে তারা কাউকে গ্রেফতার বা আটক না করেই ফিরে যায়। আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গতকাল
বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মিটিং
ছিল, যে কারণে বিকেলে আইনজীবীরা ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেবের চেম্বারে যান।
বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ভবনের নিচ থেকে জানানো হয় শতাধিক পুলিশ পুরো
ভবনটিকে ঘিরে ফেলেছে। এর কিছু সময়ের মধ্যে ডিবি পুলিশের এডিসি নুরুন্নবীর
নেতৃত্বে পুলিশের ১০-১৫ জনের একটি দল আবদুর রাজ্জাকের চেম্বারে প্রবেশ করলে
আবদুর রাজ্জাক তার রুম থেকে বেরিয়ে জানতে চান কি কারণে তারা এসেছে। জবাবে
এডিসি নুরুন্নবী জানান, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও শফিকুল ইসলাম
মাসুদকে তারা ধরতে এসেছে। আবদুর রাজ্জাক তাকে বলেন, ডিফেন্সের একজন
আইনজীবীকে গ্রেফতার করলে দেশবাসী ও আমরা মনে করব ট্রাইবুন্যালের বিচারকাজ
বাধাগ্রস্ত করতে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এর পরও কি আপনারা তাকে গ্রেফতার
করবেন? এ কথা শোনার পর এডিসি নুরুন্নবী বলেন, ‘ঠিক আছে তাহলে ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আসি’। এই বলে তারা চলে যান।
তাজুল ইসলাম আরো জানান, পুলিশ চেম্বারের বিভিন্ন রুমে তল্লাশি চালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যারিস্টার রাজ্জাক তাদের তল্লাশির অনুমতিপত্র আনতে বলায় আর তল্লাশি করেনি। প্রায় ৫-৬ মিনিট অবস্থান করেছিল। যার পুরো দৃশ্য চেম্বারের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চাননি। কেন পুলিশ এই অভিযানে গিয়েছিল তার কারণ জানতে চাইলে এডিসি নুরুন্নবীকেও পাওয়া যায়নি। এমনকি ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
তাজুল ইসলাম আরো জানান, পুলিশ চেম্বারের বিভিন্ন রুমে তল্লাশি চালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যারিস্টার রাজ্জাক তাদের তল্লাশির অনুমতিপত্র আনতে বলায় আর তল্লাশি করেনি। প্রায় ৫-৬ মিনিট অবস্থান করেছিল। যার পুরো দৃশ্য চেম্বারের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চাননি। কেন পুলিশ এই অভিযানে গিয়েছিল তার কারণ জানতে চাইলে এডিসি নুরুন্নবীকেও পাওয়া যায়নি। এমনকি ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
No comments