শেষ বলে জয় রংপুরের

দুর্ভাগ্য চিটাগং কিংসের। নতুবা শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল। সে ১৬ রান করে জিতে যাবে রংপুর? কেভিন ও’ব্রেইন ও ড্যানজা হায়াতকে খাটো করে দেখার উপায় নেই।
কিন্তু শেষ ওভারে অমন টেনশনের মধ্যে এত রান সংগ্রহ করা সহজসাধ্য নয়। আসলে ব্যাড লাক। নতুবা রুবেলের করা প্রথম বল থেকে যেখানে ১ রানের বেশি হয় না, সেটা নাঈম ইসলাম ধরেও ফেলে দিয়ে বাউন্ডারি করে দেবেন? প্রথম বলের এ অ্যাডভান্টেজ পেয়ে আস্থা বেড়ে যায় কেভিনের। পরের বলটিও বাউন্ডারি পার করান তিনি। শেষ চার বলে প্রয়োজন ৮ রান। তৃতীয় বলে রান হয়নি। চতুর্থ বল থেকে এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন কেভিন। পঞ্চম বলটি ড্যানজা আর মাটিতে পরতে দেননি। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সীমানা পার। ছক্কা। এরপর শেষ বলটি পায়ে লাগিয়ে এক রান নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে রংপুর রাইডার্স। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে জয় শেষ বলে ৫ উইকেটে। শেরেবাংলায় গতকাল চিটাগং ও রংপুর রাইডার্সের মধ্যকার খেলার শেষ মুহূর্ত এটি।

এর আগে প্রথম ব্যাটিং করে চিটাগং রায়ান ডয়েসচেটের ৩২ বলে করা ৫০ রানের ওপর ভর করে সংগ্রহ করেছিল ১৬০/৬ রান। ২টি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। এ ছাড়া শেষ দিকে আরিফুল হকের ২০ বলে অপরাজিত ৩৩ রান ইনিংসের উল্লেখযোগ্য। এর আগে নাঈম ইসলাম ২৯ ও ব্রেন্ডন টেইলরের ১১ ও মিলার করেন ১৯ রান। রাজ্জাক ও নাসির নেন ২টি করে উইকেট।

১৬১ রানের লক্ষ্যে শেষের ওই চিত্রের আগে জুনায়েদ ৯ ও শামছুর ১৭ রান করে আউট হওয়ার পর ইমরুল কায়েস ও বরগাস দু’জনই করেন ৪৮ করে। এর মধ্যে ইমরুল হাঁকান তিনটি ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারি। আর বরগাস হাঁকান দু’টি ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারি। এতেই ম্যাচটা হাতে থাকে রাইডার্সের। টেইট ও কুপার নেন দু’টি করে উইকেট। ড্যানজা হায়াত ৮ বলে ২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ে ভূমিকা রেখে ম্যান অব দ্য ম্যাচের জন্য নির্বাচিত 
 হন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর

 চিটাগং কিংসঃ ৬০/৬ (২০ ওভার)। ডয়েসচেট ৫০, আরিফুল ৩৩ অপ:, নাঈম ২৯, মিলার ১৯; রাজ্জাক ২/৩৫, নাসির ২/২৫।

রংপুর রাইডার্স :
১৬১/৫ (২০ ওভার)। ইমরুল ৪৮, বরগাস ৪৮, ড্যানজা হায়াত ২০ অপ:, শামছুর ১৭, কেভিন ১৩ অপ:; টেইট ২/২৫, কুপার ২/২৭।

ফল : রংপুর রাইডার্স ৫ উইকেটে জয়ী।

No comments

Powered by Blogger.