যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে রাজনৈতিক এজেন্ডা বানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফাঁদে পড়েছেনঃ প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুধু আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকারের জন্যই নয়, বরং
গোটা জাতির জন্য মহাসঙ্কটের সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক
ছাত্রলীগ নেতারা।
তাদের
মতে, আওয়ামী লীগ আজ কমিউনিস্টবন্দী হয়ে গেছে। যারা এক দিন বঙ্গবন্ধুকে
সিআইয়ের এজেন্ট, দালাল বলত, যারা তার ফাঁসির দাবি করেছিল, বঙ্গবন্ধুর
চামড়া দিয়ে তবলা বানাতে চেয়েছিল; আজ তারা আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি বনে
গেছেন। তারা বলেন, আমরা বারবার বলেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে রাজনৈতিক
এজেন্ডা বানানো ঠিক হবে না। কিন্তু বামদের প্ররোচনায় এ বিচারকে রাজনৈতিক
এজেন্ডা বানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই ফাঁদে পড়ে গেছেন। আর কাদের
মোল্লার রায় বামবন্দী প্রধানমন্ত্রীর একগুঁয়েমি ও নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মাযহারুল হক বাকী, আবদুর রাজ্জাক ও আবদুর রউফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তারা এ কথা বলেন। সংগঠনের আহ্বায়ক নুরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে রাজধানীর রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খালেদ মোহাম্মদ আলী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুধীর কুমার হাজরা, খন্দকার হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছি যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে রাজনৈতিক এজেন্ডায় পরিণত করবেন না। কিন্তু বামদের প্ররোচনায় তা-ই করা হলো। যে পাখি খাঁচা থেকে উড়ে গেল, সেই পাখির ফাঁসির রায় হলো। আর যে পাখি ৪০০ মানুষ হত্যা করে খাঁচায় বন্দী, তার লঘুদণ্ড হলো। এ রায় বামবন্দী প্রধানমন্ত্রীর একগুঁয়েমি ও নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুধু আওয়ামী লীগ ও সরকারের জন্যই নয়, এটি জাতির জন্য মহাসঙ্কট সৃষ্টি করেছে। এটি সরকারের অপরিণামদর্শিতা।
তিনি বলেন, কোনোভাবে যদি সরকার পরিবর্তন হয় তা হলে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজা ওই দিনই শেষ হয়ে যাবে; কেউ ঠেকাতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে রাজনৈতিক এজেন্ডা বানাতে গিয়ে আপনি নিজেও ফান্দে পড়েছেন, জাতিকেও বিভ্রান্ত করেছেন। বাম রাজনীতিবিদদের খপ্পরে পড়ে আপনি আজ একঘরে হয়ে পড়েছেন। বিশ্বব্যাংক, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দাতা দেশের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। তাই সময় শেষ হওয়ার আগে বামরুদ্ধ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুন, সুপথে ফিরে আসুন, সজ্ঞানে ফিরে আসুন। সারা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা চলতে পারবেন না। ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা করেছে। তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু, তবে তাদের প্রতি কোনো আনুগত্য নয়।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আজ দেশের যুবসমাজ জেগে উঠেছে। তারা আজ পাঁচ দিন হলো সেখানে অবস্থান করছে। কিন্তু তাদের জবাব দেয়ার মতো কেউ নেই। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা শুরুতে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন; কিন্তু কেউ তাদের কোনো জবাব দিতে পারেননি। তরুণ প্রজন্মের যে গণজোয়ার শুরু হয়েছে, তা জনতার পইে থাকবে। তাদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তারা মুক্তিযুদ্ধের পইে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পরবে না বলে সরকার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারক স্কাইপ কেলেঙ্কারির পর পদত্যাগ করেছেন। আরেকজন সরাসরি স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। আজ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম অবস্থান নিয়েছে। এত কিছু কেন হলো সরকারকে এর জবাব দিতে হবে।’
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অযোগ্যতার কারণে আওয়ামী লীগ মানুষের কাছে হেয় হচ্ছে। তারা সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করছে না। যুবসমাজ আজ কাদের মোল্লার কথা বলছে; এক দিন সব দুর্নীতি ও অপকর্মের কথাও বলবে।
মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, পদ্মা সেতু, শেয়ারবাজার, হলমার্ক ও ট্রেন কেলেঙ্কারি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মাযহারুল হক বাকী, আবদুর রাজ্জাক ও আবদুর রউফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তারা এ কথা বলেন। সংগঠনের আহ্বায়ক নুরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে রাজধানীর রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খালেদ মোহাম্মদ আলী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুধীর কুমার হাজরা, খন্দকার হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছি যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে রাজনৈতিক এজেন্ডায় পরিণত করবেন না। কিন্তু বামদের প্ররোচনায় তা-ই করা হলো। যে পাখি খাঁচা থেকে উড়ে গেল, সেই পাখির ফাঁসির রায় হলো। আর যে পাখি ৪০০ মানুষ হত্যা করে খাঁচায় বন্দী, তার লঘুদণ্ড হলো। এ রায় বামবন্দী প্রধানমন্ত্রীর একগুঁয়েমি ও নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুধু আওয়ামী লীগ ও সরকারের জন্যই নয়, এটি জাতির জন্য মহাসঙ্কট সৃষ্টি করেছে। এটি সরকারের অপরিণামদর্শিতা।
তিনি বলেন, কোনোভাবে যদি সরকার পরিবর্তন হয় তা হলে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজা ওই দিনই শেষ হয়ে যাবে; কেউ ঠেকাতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে রাজনৈতিক এজেন্ডা বানাতে গিয়ে আপনি নিজেও ফান্দে পড়েছেন, জাতিকেও বিভ্রান্ত করেছেন। বাম রাজনীতিবিদদের খপ্পরে পড়ে আপনি আজ একঘরে হয়ে পড়েছেন। বিশ্বব্যাংক, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দাতা দেশের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। তাই সময় শেষ হওয়ার আগে বামরুদ্ধ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুন, সুপথে ফিরে আসুন, সজ্ঞানে ফিরে আসুন। সারা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা চলতে পারবেন না। ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা করেছে। তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু, তবে তাদের প্রতি কোনো আনুগত্য নয়।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আজ দেশের যুবসমাজ জেগে উঠেছে। তারা আজ পাঁচ দিন হলো সেখানে অবস্থান করছে। কিন্তু তাদের জবাব দেয়ার মতো কেউ নেই। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা শুরুতে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন; কিন্তু কেউ তাদের কোনো জবাব দিতে পারেননি। তরুণ প্রজন্মের যে গণজোয়ার শুরু হয়েছে, তা জনতার পইে থাকবে। তাদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তারা মুক্তিযুদ্ধের পইে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পরবে না বলে সরকার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারক স্কাইপ কেলেঙ্কারির পর পদত্যাগ করেছেন। আরেকজন সরাসরি স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। আজ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম অবস্থান নিয়েছে। এত কিছু কেন হলো সরকারকে এর জবাব দিতে হবে।’
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অযোগ্যতার কারণে আওয়ামী লীগ মানুষের কাছে হেয় হচ্ছে। তারা সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করছে না। যুবসমাজ আজ কাদের মোল্লার কথা বলছে; এক দিন সব দুর্নীতি ও অপকর্মের কথাও বলবে।
মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, পদ্মা সেতু, শেয়ারবাজার, হলমার্ক ও ট্রেন কেলেঙ্কারি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
No comments