ট্রাইব্যুনালের অন্যায় বিচার ব্রাদারহুডের প্রত্যাখ্যান
আরব বসন্তের অগ্রসেনানী মুসলিম ব্রাদারহুড তথা ইখওয়ানুল মুসলিমিন
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে
যে রাজনৈতিক বিচার চলছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
গতকাল
দলের প্রধান ড. মুহাম্মদ বদিই সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক বিবৃতিতে
বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জামায়াত নেতাদের মুক্তি দেয়ার দাবি
জানান পাশাপাশি বিশ্বের সব মানবাধিকার সংগঠনকেও বিচারের নামে মানবাধিকার
লঙ্ঘন বন্ধে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে। বর্তমান দুনিয়ার
স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণজাগরণের প্রতীক মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান তার
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সর্ব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দুনিয়াব্যাপী স্বাধীনতার সুবাতাস বইছে। নাগরিক ও
ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সনদ
সত্ত্বেও বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সাতজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে একটি
ব্যতিক্রমী আদালতে ফৌজদারি অভিযোগের পরিবর্তে রাজনৈতিক অভিযোগ
বিচারকার্যক্রম অব্যাহত আছে।
মিসরের ক্ষমতাসীন দলের মূল সংগঠন ব্রাদারহুডের প্রধানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও সনদ লঙ্ঘন করে এই অন্যায় ও অস্বচ্ছ বিচারের আমরা নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করছি এবং পাশাপাশি বিশ্বের সব দেশ, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি বিচারের নামে এই মানবিক বিপর্যয় বন্ধে রাজনৈতিক ও নৈতিকসহ সব ধরনের চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে করে বাংলাদেশে রাজবন্দীদের ওপর যে অবিচারের খড়গ নেমে আসছে তা রোধ করা যায়। তিনি বলেন, আমাদের শরিয়াহ তথা ইসলামি আইনের একটি লক্ষ্য হচ্ছে, মানুষের জীবন ও সম্মান রক্ষা করা। মহান আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য অন্যায়কে নিষিদ্ধ করেছেন। আমাদের অবশ্যই ইসলামের সুমহান মূল্যবোধ, নীতিমালা ও আদর্শ সমুন্নত রাখতে হবে। কিছু দল এসবের কথা মুখে বলে অথচ প্রয়োগের ক্ষেত্রে শুধু বেছে বেছে চলে। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, এই অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণকৃত মামলায় যারা এখন নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছেন তাদের সবার মুক্তির ব্যাপারে আমরা গুরুত্বারোপ করছি এবং প্রয়োজনে স্বাভাবিক বিচারকদের মাধ্যমে নতুন করে তাদের বিচার চলতে পারে, যে ক্ষেত্রে তারা মুক্ত বিশ্বের সব সংবিধান ও সনদে বর্ণিত সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। প্রতিটি ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের উচিত এই অন্যায় বিচারকার্যক্রম প্রত্যাখ্যান করতে নিজ নিজ ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করা। আমরা আমাদের মুসলিম দেশগুলোর যারা কর্ণধার রয়েছেন তাদের সবাইকে অন্যায়, নিপীড়ন অথবা জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারের ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করছি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আমরা দৃঢ়প্রত্যয়ী যে, গৌরবোজ্জ্বল আরব বিপ্লবের পর মিসরের রাজধানী কায়রোতে সদ্যসমাপ্ত ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হয়েছে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব, যাতে আমাদের মুসলিম দেশগুলো দেশ ও জনগণের স্বার্থে সর্বোত্তম সেবা দিতে পারে এবং জনগণের প্রতি সব ধরনের অন্যায়-অবিচার থেকে নিজেদের হেফাজত করতে পারে।
পবিত্র কুরআনের সূরা ইব্রাহীমের ৪২ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃত্তি দিয়ে ব্রাদারহুড প্রধান তার বক্তব্যে বলেন, হে নবী, আপনি কখনো মনে করবেন না, এ জালেমরা যা কিছু করে যাচ্ছে তা থেকে আল্লাহ তায়ালা গাফেল রয়েছেন, (আসলে) তিনি তাদের সে দিন আসা পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন যে দিন (ভয়ে) তাদের চু স্থির হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, যদি বিচার করতে হয় তা হলে প্রকৃত দোষীদের অপরাধের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীন বিশ্বের সংবিধান ও চুক্তি মতে বিচারাধীন সব নেতার অধিকার ল রাখতে হবে। দলীয় আইনজীবী নয় বরং ট্রাইব্যুনালের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে প্রকাশ্যভাবে বিচার করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজনৈতিকভাবে জামায়াত নেতাদের ওপর হিংসাত্মক আচরণ বন্ধ করুন, না হয় জাতি আপনাদের মা করবে না।
মুসলিম ব্রাদারহুড বা ইখওয়ানুল মুসলিমিনের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষাবিদ হাসান আল বান্নার ছেলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বান্না বলেন, দুনিয়ার সেরা বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী নিধনের ট্রাইব্যুনাল। আমরা এই বিচারকে সমর্থন করি না বরং নিন্দা জানাই। ব্রাদারহুড প্রধানের দেয়া বিবৃতি মিসরের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে। অন্য দিকে গণজাগরণ সৃষ্টিতে মিসরজুড়ে জামায়াত নেতাদের ছবিসংবলিত লিফলেট ও পোস্টার বিলি করছে ইখওয়ানুল মুসলিমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুড।
মিসরের ক্ষমতাসীন দলের মূল সংগঠন ব্রাদারহুডের প্রধানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও সনদ লঙ্ঘন করে এই অন্যায় ও অস্বচ্ছ বিচারের আমরা নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করছি এবং পাশাপাশি বিশ্বের সব দেশ, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি বিচারের নামে এই মানবিক বিপর্যয় বন্ধে রাজনৈতিক ও নৈতিকসহ সব ধরনের চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে করে বাংলাদেশে রাজবন্দীদের ওপর যে অবিচারের খড়গ নেমে আসছে তা রোধ করা যায়। তিনি বলেন, আমাদের শরিয়াহ তথা ইসলামি আইনের একটি লক্ষ্য হচ্ছে, মানুষের জীবন ও সম্মান রক্ষা করা। মহান আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য অন্যায়কে নিষিদ্ধ করেছেন। আমাদের অবশ্যই ইসলামের সুমহান মূল্যবোধ, নীতিমালা ও আদর্শ সমুন্নত রাখতে হবে। কিছু দল এসবের কথা মুখে বলে অথচ প্রয়োগের ক্ষেত্রে শুধু বেছে বেছে চলে। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, এই অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণকৃত মামলায় যারা এখন নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছেন তাদের সবার মুক্তির ব্যাপারে আমরা গুরুত্বারোপ করছি এবং প্রয়োজনে স্বাভাবিক বিচারকদের মাধ্যমে নতুন করে তাদের বিচার চলতে পারে, যে ক্ষেত্রে তারা মুক্ত বিশ্বের সব সংবিধান ও সনদে বর্ণিত সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। প্রতিটি ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের উচিত এই অন্যায় বিচারকার্যক্রম প্রত্যাখ্যান করতে নিজ নিজ ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করা। আমরা আমাদের মুসলিম দেশগুলোর যারা কর্ণধার রয়েছেন তাদের সবাইকে অন্যায়, নিপীড়ন অথবা জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারের ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করছি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আমরা দৃঢ়প্রত্যয়ী যে, গৌরবোজ্জ্বল আরব বিপ্লবের পর মিসরের রাজধানী কায়রোতে সদ্যসমাপ্ত ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হয়েছে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব, যাতে আমাদের মুসলিম দেশগুলো দেশ ও জনগণের স্বার্থে সর্বোত্তম সেবা দিতে পারে এবং জনগণের প্রতি সব ধরনের অন্যায়-অবিচার থেকে নিজেদের হেফাজত করতে পারে।
পবিত্র কুরআনের সূরা ইব্রাহীমের ৪২ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃত্তি দিয়ে ব্রাদারহুড প্রধান তার বক্তব্যে বলেন, হে নবী, আপনি কখনো মনে করবেন না, এ জালেমরা যা কিছু করে যাচ্ছে তা থেকে আল্লাহ তায়ালা গাফেল রয়েছেন, (আসলে) তিনি তাদের সে দিন আসা পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন যে দিন (ভয়ে) তাদের চু স্থির হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, যদি বিচার করতে হয় তা হলে প্রকৃত দোষীদের অপরাধের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীন বিশ্বের সংবিধান ও চুক্তি মতে বিচারাধীন সব নেতার অধিকার ল রাখতে হবে। দলীয় আইনজীবী নয় বরং ট্রাইব্যুনালের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে প্রকাশ্যভাবে বিচার করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজনৈতিকভাবে জামায়াত নেতাদের ওপর হিংসাত্মক আচরণ বন্ধ করুন, না হয় জাতি আপনাদের মা করবে না।
মুসলিম ব্রাদারহুড বা ইখওয়ানুল মুসলিমিনের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষাবিদ হাসান আল বান্নার ছেলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বান্না বলেন, দুনিয়ার সেরা বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী নিধনের ট্রাইব্যুনাল। আমরা এই বিচারকে সমর্থন করি না বরং নিন্দা জানাই। ব্রাদারহুড প্রধানের দেয়া বিবৃতি মিসরের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে। অন্য দিকে গণজাগরণ সৃষ্টিতে মিসরজুড়ে জামায়াত নেতাদের ছবিসংবলিত লিফলেট ও পোস্টার বিলি করছে ইখওয়ানুল মুসলিমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুড।
No comments