বৃহত্তর জামায়াতের মহিলা আমির খালেদা
বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া বৃহত্তর জামায়াতের মহিলা আমির বলে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি। শুক্রবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া বিএনপি নেত্রী নন, বৃহত্তর জামায়াতের মহিলা আমির। বৃহত্তর জামায়াতের মহিলা আমির খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য পাগল হয়ে গেছেন। একবার জামায়াত একবার বিএনপি হরতাল দিচ্ছে। জামায়াত নেতা ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন।”ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “এখন কেউ বিএনপি-জামায়াত বলে না, বলে জামায়াত-বিএনপি। জামায়াতের কথায় বিএনপি চলে।”
মতিয়া চৌধুরী তার বক্তব্যের শুরুতেই মায়ার বক্তব্য ধরে বলেন, “খালেদা জিয়া বিএনপি নেত্রী নন, বৃহত্তর জামায়াতের মহিলা আমির।”
খালেদার উদ্দেশ্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘‘হরতাল, ভাঙচুর, আগুন দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আপনি জামায়াত নেতাদের রক্ষা করতে চান। ৭১ এ আপনি (খালেদা) দোয়া করেছিলেন, ওরা যাতে রক্ষা পায়। ১৪ ডিসেম্বরও আপনি মনে করেছিলেন, পাকিস্তান থাকবে। জানজুয়া, রাও ফরমান আলীরা থাকবেন। কিন্তু রক্ষা হয়নি, ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য অস্ত্রের গুলি খুলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেছিলো। আজও আপনি চেষ্টা করছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে। কিন্তু পারবেন না।”
এ সময় মতিয়া চৌধুরী প্রসঙ্গক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেন।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর র্জর্জ ওয়াশিংটন বলেছিলেন, পরাজিত ব্রিটিশ সৈন্যদের কিছু বলবো না। কিন্তু যারা সৈন্যদের বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছে, তাদের জন্য আমি একটি গুলিও খরচ করতে পারবো না। তাদের গরম আলকাতরায় চুবিয়ে মারা হবে।”
মতিয়া চৌধুরী বলেন, “শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের গরম আলকাতরায় চুবিয়ে মারছেন না। নিজের দেশের উদাহরণ মাথায় রেখে তারপর অন্যদের হেদায়েত করতে আসবেন।”
No comments