এই নগরীর দিনরাত্রীঃ সরকার বাহাদুরকে অভিনন্দন by রেজোয়ান সিদ্দিকী

নাগরিকদের ওপর এই সরকারের নির্যাতনের কোনো সীমা নেই। ক্রসফায়ার, রিমান্ড, জেল-জুলুম, গ্রেফতার, চিরুনি অভিযান প্রভৃতি নানা অজুহাতে সরকার নাগরিকদের নানাভাবে নির্যাতন করেই যাচ্ছে। তাছাড়া সর্বক্ষেত্রে নির্লজ্জ দলীয়করণ এ পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।

দলীয়করণের ব্যাপারে সরকারের লাজলজ্জা বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। টেন্ডার-সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজিকে মদত দিচ্ছে সরকার। এখন মনে হচ্ছে, এসব গুরুতর অপরাধের সঙ্গে সরকারের মন্ত্রীরাও কোনো না কোনোভাবে জড়িত। তা না হলে অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে কিংবা তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা না দিতে কেন কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি থানায় ফোন করলেন? কেন এক প্রতিমন্ত্রী গিয়ে হাজির হলেন গুলিসহ আটক আসামির বাসায়? নাগরিকরা এসব দৃশ্য দেখেন এবং পড়েন। আর অবিরাম উদ্বেগ-উত্কণ্ঠায় নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেন।
সরকারের খেয়ালিপনা ও আদেখলেপনায় নাগরিকরা অতিষ্ঠ। যেন সরকার পরিচালনাকে সরকার নিছকই একটা ছেলেখেলা হিসেবে নিয়েছে। নাগরিকরা যদি সরকার গঠনে এ দলকে ভোট দিয়েও থাকে তাহলে সরকারকে নিশ্চয়ই যেমন খুশি সাজোর মতো এলোমেলো কাজ করার অনুমোদন দেয়নি। তা সত্ত্বেও এক খামখেয়ালি ও অবাস্তব সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গোটা দেশে চরম এক গণভোগান্তির সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেটি হলো ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে দেয়া। ১২টা বাজার আগেই দেশের বারোটা বাজিয়ে দেয়া। সারা দেশে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভেতর বিস্তর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। শিশুরা ক্লাসে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ছিল। মা-বাবাদের ভোগান্তি সীমাহীন হয়ে উঠেছিল। সমাজ-সচেতন মানুষেরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। পরিস্থিতি এতটাই জটিত হয়েছিল যে শেষ পর্যন্ত সরকার স্বাভাবিক সময়ে ঘড়ির কাঁটা ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছিল। মানুষ খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাসও ফেলেছিল।
কিন্তু ঘড়ির কাঁটা স্বাভাবিক সময়ে ফিরিয়ে আনার ওই ঘোষণার সময় সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, ৩১ মার্চ থেকে আবারও ঘড়ির কাঁটা ১১টায়ই ১২টা বাজিয়ে দেয়া হবে। এ ঘোষণায় আবারও জনমনে আতঙ্ক লেগে ছিল। আবারও কি ঘুমন্ত শিশুকে টেনে তুলে স্কুলে নিয়ে যেতে হবে? আবারও কি ডিজিটাল সময় ৭টা ও ভূগোলের সময় ৬টায় ক্লাস বসবে? আবারও কি ভূগোলের সময় সকাল ৮টায় অফিসে পৌঁছাতে হবে? আবারও কি রাত ৯টায় এশার নামাজের আজান পড়বে? এই আতঙ্কে উত্কণ্ঠিত ছিল সাধারণ মানুষ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে সরকারের কেউই বুঝি জানে না যে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে একেকটা দেশের একেকটা সময়। সেই কারণে ভারতের সঙ্গে আমাদের সময়ের হেরফের আধা ঘণ্টা। কিন্তু নেপালের সঙ্গে মাত্র ১৫ মিনিট। সংশ্লিষ্ট দেশের সময় গ্রিনিচ মান সময় থেকে কয় ঘণ্টা আগে-পিছে সেটা দেখে নির্ণয় করা যায় দেশটির অবস্থান মোটামুটি কোথায়? ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা সামনে ঠেলে দিয়ে সরকার বাংলাদেশকে এ উপমহাদেশ থেকে তুলে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের কাছাকাছি কোথায়ও নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ফলে বাংলাদেশকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়েছিল সেই অঞ্চলে। এক আমলা লিখেছিলেন সরকার ভূগোলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
অবশেষে গত সোমবার মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যদিও ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে দেওয়ায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সাশ্রয় হতো তবুও জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ঘড়ির কাঁটা আর ঠেলে দেওয়া হবে না। সরকার বাহাদুরকে অভিনন্দন। দেরিতে হলেও তাদের মধ্যে সামান্য সুবুদ্ধির যে উদয় হয়েছে, সেজন্য। নাগরিকরা আশা করেন ভবিষ্যতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার খামখেয়ালির বশবর্তী না হয়ে বিজ্ঞানমনস্ক হবে।
স্বদেশের ঠাকুর ফেলি
হঠাত্ করেই সরকার দেশীয় পিএসটিএন টেলিফোন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছে। এসব টেলিফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযোগ এরা অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। এখন বহু নাগরিকই বিওআইপি ব্যবসায়ের বিষয়ে সচেতন। ভয়েজ ওভার ইন্টারনেট প্রোভাইডার (ভিওআইপি) ব্যবসায় টিঅ্যান্ডটি রেটের চেয়ে সস্তায় বিদেশে টেলিফোনে কথা বলা কিংবা বিদেশ থেকে কল রিসিভ করা যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকার বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটক করেছে। অনেকেই টিঅ্যান্ডটির টেলিফোন সংযোগ নিয়ে ছোট্ট রুম নিয়ে ভিওআইপি ব্যবসা করেছে। সেসব অবৈধ ব্যবসায়ীকে সরকার বমাল গ্রেফতার করেছে। এরপর দেশে বেশ কয়েকটি সেলফোন কোম্পানি ব্যবসা শুরু করে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন টেলিফোন কোম্পানিকে টেলিফোন ব্যবসা করার সুবিধা দেয়। নাগরিকরা টিঅ্যান্ডটির ওপর তিতিবিরক্ত হয়ে বেসরকারি টেলিফোন কোম্পানিগুলোর ফোন ব্যবহার করতে শুরু করে। এগুলোর তার টানাটানির ঝামেলা নেই। বাসা বদল করলে দিনের পর দিন টিঅ্যান্ডটির দ্বারে ধরনা দেয়া নেই। সেটটি নিয়ে এসে প্লাগে ঢুকিয়ে সুইচ অন করে দিলেই হলো। বাসা বদল করলে প্লাগ খুলে সঙ্গে নিয়ে গেলেই হলো। বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। ফলে ক্রমেই পিএসটিএন ব্যবসায় নতুন দেশীয় বিনিয়োগকারীরা আসতে শুরু করায় প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে টিঅ্যান্ডটি। এ প্রতিযোগিতায় টিঅ্যান্ডটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য শেষ পর্যন্ত এটাকে কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়। সংযোগ ফিসহ কমিয়ে দেওয়া হয় কলচার্জ। টিঅ্যান্ডটি সেবার মানেও এতে যে কিছুটা উন্নতি হয়নি সে কথা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। মানে উন্নতি হয়েছে। এর আগে বড়-বড় স্যাটেলাইট ফোন কোম্পানিগুলোর অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা ধরা পড়লে সরকার তাদের বিপুল অর্থ জরিমানা করেছে। যদিও ওইসব ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই মুখ্য।
কিন্তু অবৈধ বিওআইপি ব্যবসায়ের অভিযোগে একের পর এক চারটি পিএসটিএন কোম্পানির সুইচ রুম অফ করে দিয়েছে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটর কমিশন) পাঁচটি দেশীয় বিনিয়োগে পরিচালিত কোম্পানির সেবা খাত ও ২১টি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের লিংক বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে লাখ লাখ গ্রাহকের কী হবে সেটা বিবেচনায় আনা হয়নি। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে জরিমানা করে ক্ষমা করা হলেও দেশি বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হবে কোন যুক্তিতে? নাগরিকদের কাছে সেটি মোটেও স্পষ্ট নয়।
পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওয়ারিদের শেয়ার কিনে ভারতীয় কোম্পানি এয়ারটেল বাংলা ঢুকতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বাজারে। এয়ারটেলের পথচলা সহজ করে দিতেই দেশীয় কোম্পানিগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এয়ারটেল বাংলাকে নির্ধারিত ট্যাক্স থেকে রেহাই দিতে বিটিআরসি আইনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাতে দেশ ১১৫ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সংসদীয় কমিটি দেশের এসব টেলিফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের বিরোধিতা করে আসছে। তারা ভিওআইপি ব্যবসা উন্মুক্ত করে দেয়ারও প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া সংবাদপত্রও এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছে। বিটিআরসি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বন্ধ কোম্পানিগুলোর সুইচ আবার অন করে দেয়া হবে। এ সিদ্ধান্তের একদিন পর আবার দুটি কোম্পানির সুইচ রুম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নাগরিকরা বিস্ময়ের সঙ্গে ঘটনাগুলো লক্ষ্য করে যাচ্ছেন। তারা হয়ত এর জন্য অন্তর্বেদনা অনুভব করেন, কিন্তু সব বিষয়ে সব সময় প্রতিবাদ করতে পারেন না। তারা দেশের স্বার্থের জন্য সম্ভবত বেদনা অনুভব করেন, কিন্তু প্রতিকার করতে পারেন না। তারা উপলব্ধি করেন যে ক্ষমতাবানরা নিতান্তই ব্যক্তিস্বার্থে স্বদেশের ঠাকুর ফেলে বিদেশের কুকুর ধরে। তাতে কারও কারও পকেট ভারি হয়। দেশীয় বিনিয়োগ নিরুত্সাহিত হয়। নাগরিক প্রাপ্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ঘরের ভেতরে বসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। তারপর অতিষ্ঠ হলে জীবনপণ করে রাজপথে নেমে আসে। তখন নগরীর এক ভিন্ন চেহারা তৈরি হয়।
বিদ্যুত্ নিয়ে আদিখ্যেতা
নাগরিকদের কতকগুলো বদ-অভ্যাস আছে। যেগুলো সব সময় শাসকগোষ্ঠীকে পীড়া দিতে থাকে। এসব আদিখ্যেতা বিরক্তিকর। নাগরিকদের কেবল চাই আর চাই। ১০ টাকা কেজি চাল চাই। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ চাই। নব ঘোড়ালেই গ্যাস চাই। ট্রাফিকমুক্ত সড়ক চাই। মসৃণ পথ চাই। রাস্তাঘাটে নিরাপদে চলাফেলা করতে চাই, সেতু চাই, ফ্লাইওভার চাই। পাড়ায় পাড়ায় ক্লাস ওয়ান স্কুল চাই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সস্তায় চাই।
কত কী যে চায় নাগরিকেরা! তারা একটিবারের জন্যও ভাবতে চায় না যে, তারা যা চায় তা দেওয়া সম্ভব কিনা। তখন প্রশ্ন করে, তা হলে ওয়াদা করেছিলেন কেন? ফাজিল কোথাকার! কেন, লাউ-তরকারি দিয়ে লেখাপড়া করেছো? টাকা-পয়সা দিয়ে লেখাপড়া করোনি? ঘটে আল্লাহতায়ালা কোনো বুদ্ধি দেয়নি? আক্কেল-পছন্দ একেবারে উবে গেছে? ওয়াদা দিয়েছিলাম কেন? ওরকম ওয়াদা তোমরা শুনতে চেয়েছো বলে। কেন, নিজেরাই বুঝতে পারোনি অমন ওয়াদা পূরণ করা সম্ভব নয়? বেওয়াকুফের দল। নিজেরাই যদি বুঝতে পেরে থাক, অমন ওয়াদা পালন করা সম্ভব নয়, তা হলে কেন অমন কথা শুনতে? সব দোষ সরকারের? নিজেরা বোকা বনবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে বসে আছ। আমরা বোকা বানিয়েছি। তাতে দোষের কী হয়েছে?
এখন বিদ্যুত্ চাইছ। আসমানের বিদ্যুত্ ধরার যন্ত্র নেই যে, খোদার বিদ্যুত্ ধরে রেখে বছরের পর বছর সাপ্লাই দিয়ে যাব। বিদ্যুত্ তৈরি করতে হয়। তার জন্য চার-পাঁচ বছর সময় লাগে। কেন, সত্য কথা কি বলি নাই? বলিনি যে আরও তিন বছর বিদ্যুত্ দেয়ার পারব না? কথা দিয়েছিলাম। কথা দিলেই বিশ্বাস করতে হবে? বুদ্দুর দল কোথাকার! কেন, তোমাদের ঘটে কিছু নেই? জানো না, বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে কত বছর লাগে? এ টার্ম লেগে যাবে। আগামী টার্মে বিদ্যুত্ পাবা। ক’টা বছরই তো! ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্য হলো মুমিনের লক্ষণ। মুমিন হওয়ার চেষ্টা কর। পৃথিবীর সব রাষ্ট্রে অফুরন্ত বিদ্যুত্ নেই। সেখানে মানুষ বিদ্যুতের জন্য এত ফালাফালি করে? লাইবেরিয়ায় তো এক ফোঁটাও বিদ্যুত্ নেই। সেখানে মানুষ থাকে না? শুধু বলো, আমেরিকায় বিদ্যুত্ আছে। দেশকে আমেরিকা বানানোর জন্য ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে। অপেক্ষা করুন। আমরা ২০৯৯ সালে দেশকে আমেরিকা বানিয়ে দেব।
হ্যাঁ, বিদ্যুত্ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির কথা বলেছিলাম। হ্যাঁ, সবকিছুর হিসাব রাখা যায় না। আমরা মাত্র কয়জন। কিন্তু পঙ্গপালের মতো কোটি কোটি তোমরা হিসাব রাখতে পারলে না যে, জোট সরকারের পাঁচ বছরে বিদ্যুত্ খাতে বরাদ্দ ছিল সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বেতন খাতে। কিন্তু বলে ফেলেছি ২০ হাজার কোটি টাকা। ভদ্রলোকের এক কথা। বলেই যাব। কথা তো ঘুরাতে পারি না। তবে বিদ্যুত্ যে আসবে, সেটার রাস্তা তৈরি করে রেখেছি। ৫১ হাজার খাম্বা কিনেছি। জোট সরকার খাম্বা কিনেছিল দুর্নীতি করার জন্য। আর আমরা খাম্বা কিনেছি বিদ্যুত্ দেওয়ার জন্য। বিদ্যুত্ তো আর মাটির সানকিতে দেওয়া যায় না। খাম্বা লাগে। অপেক্ষা করুন। তারা কোনো দিন বিদ্যুত্ দিতে পারবে না জেনেও খাম্বা কিনেছিল। আমরা নিশ্চিত জানি যে বিদ্যুত্ দিতে পারব। সুতরাং জোটের খাম্বার সঙ্গে মহাজোটের খাম্বার তুলনা হতে পারে না। যদি কেউ তুলনা করে, তা নিশ্চিত ধরে নেওয়া যাবে যে সে আল-বদর, আল-শামস, রাজাকার, জেএমবি, জেএমবির অর্থের জোগানদাতা। সে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নস্যাতের ষড়যন্ত্র করছে। তাকে দিগম্বর করে রাজপথে ছেড়ে দেয়া হবে। তার বিষদাঁত উপড়ে ফেলা হবে। সুতরাং বিদ্যুত্ বিদ্যুত্ করে কোনো প্রজা যেন সীমানা লঙ্ঘন না করে। সাবধান!
ফুটনোট
ঘর্মাক্ত কলেবরে এসএসসি পরীক্ষার হল থেকে বের হলো এক পরীক্ষার্থী। মা ও আন্টিরা ছুটে গেলেন কাছে। মা পিঠে হাত দিয়ে কোমল কণ্ঠে জানতে চাইল, ‘বাবা, পরীক্ষা কেমন হয়েছে?’ ছেলেটি পিঠ থেকে মায়ের হাত সরিয়ে দিয়ে বলল, ‘আগে চল, গাড়িতে গিয়ে এসি ছাড়ি। হলে শেষ এক ঘণ্টা বিদ্যুত্ ছিল না।’
নগরপদ্য
কেন দেশের এমন হলো, কেউ জানে না
আক্রা বাজার, চাল কিনি তো ডাল জোটে না
কারেন্ট গেলে আর আসে না
গ্যাস নেই তাই পেট চলে না,
কবে যে ফের মুক্তি হবে, কেউ জানে না।

No comments

Powered by Blogger.