ঐক্য ও সাহসের বিকল্প নেইঃ আজ মহান স্বাধীনতা দিবস
বাংলাদেশের ৪০তম স্বাধীনতা দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমরা হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। ২৫ মার্চ কালরাত্রির গণহত্যায় স্বজন হারানোর শোক আর রক্ত ঝেড়ে ফেলে জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা রক্ষায় অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল।
অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। লাখ লাখ মানুষের অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়েই আজ আমরা এক স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক। তাই ২৬ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিন আমরা নানা আয়োজনে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। স্মরণ করি জানা-অজানা শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐতিহাসিক অবদান। মুক্তিকামী জনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে আবারও সমগ্র জাতি নতুন করে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে এবারের স্বাধীনতা দিবসে। বিরাজমান অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা, অনৈক্য দূর করে দেশি-বিদেশি শত্রুদের মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব অনস্বীকার্য, বলার অপেক্ষা রাখে না।
নির্বাচিত সরকারের ১৫ মাসের শাসনে সৃষ্ট হতাশা-বিশৃঙ্খলার মধ্যেই এবার সারাদেশে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে। অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দু’বছরের দুঃশাসনের পরও মানুষের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দেখা মেলেনি, এটা এখন না বলে পারা যায় না। জনজীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলোর সমাধান দূরে থাক, তার সঙ্গে নিত্যনতুন সমস্যা সৃষ্টি করে দেশকে এক মহাসঙ্কটের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, এমন আশঙ্কা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মনে। আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ও জননিরাপত্তাহীন অবস্থা, অনিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্য, ভয়াবহ বিদ্যুত্ ঘাটতি, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা, শিল্প ও কৃষিতে বিভ্রাট, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক-সামাজিক বিপর্যয় রোধে সরকারের ব্যর্থতা এখন সর্বত্রই দৃশ্যমান। কার্যকর জাতীয় সংসদ ও দেশ পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশের আকাঙ্ক্ষা যে এত অল্প সময়েই মুখ থুবড়ে পড়বে, সেটা অনেকের কাছে ছিল অকল্পনীয়। সরকারের সমালোচনা ও বিরোধী মতের প্রতি এমন অসহিষ্ণুতা গণতন্ত্রমনা কেউই আশা করেনি। ফলে একের পর এক হামলা-মামলার মুখে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে।
এমন পরিস্থিতিতেও মানুষ আশায় বুক বাঁধে, কারণ অতীতে একাধিকবার এর চেয়ে কঠিন সময় পার হতে হয়েছে জাতিকে। জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করে কোনো শক্তিই বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি এদেশের ক্ষমতায়। জনগণ সব বিভ্রান্তি, বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আন্দোলনের জোয়ারে ভেসে গেছে গণবিরোধী শক্তি। অগণতান্ত্রিক ও ক্ষমতালোভীদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার কোনো কৌশলই মানুষ বরদাশত করেনি। তবে এজন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঠিক ভূমিকা অপরিহার্য। সময়ের প্রয়োজনে জনগণ যেমন নেতৃত্ব খুঁজে নেয়, তেমনি দূরদর্শী নেতৃত্বকেও এগিয়ে আসতে হয় কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা ছিল পালনে—এমনটাই দেখা গেছে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে। তাই হতাশার অন্ধকার ভেদ করে মুক্তির লালসূর্য জনগণকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করবে, সাহসী করে তুলবে—এমন আশা জাগাই স্বাভাবিক।
মানুষ যেমন ১৯৭১ সালে সব বিভেদ-বিভ্রান্তি ভুলে স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্ররক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য একইভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব ভীরুতা ও ক্ষুদ্র স্বার্থ চিন্তা ত্যাগ করে গণতন্ত্রবিরোধী লুটেরা শক্তিকে মোকাবিলায় সাহসী হতে হবে। এটাই হোক এবারের স্বাধীনতা দিবসের আহ্বান।
নির্বাচিত সরকারের ১৫ মাসের শাসনে সৃষ্ট হতাশা-বিশৃঙ্খলার মধ্যেই এবার সারাদেশে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে। অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দু’বছরের দুঃশাসনের পরও মানুষের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দেখা মেলেনি, এটা এখন না বলে পারা যায় না। জনজীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলোর সমাধান দূরে থাক, তার সঙ্গে নিত্যনতুন সমস্যা সৃষ্টি করে দেশকে এক মহাসঙ্কটের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, এমন আশঙ্কা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মনে। আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ও জননিরাপত্তাহীন অবস্থা, অনিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্য, ভয়াবহ বিদ্যুত্ ঘাটতি, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা, শিল্প ও কৃষিতে বিভ্রাট, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক-সামাজিক বিপর্যয় রোধে সরকারের ব্যর্থতা এখন সর্বত্রই দৃশ্যমান। কার্যকর জাতীয় সংসদ ও দেশ পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশের আকাঙ্ক্ষা যে এত অল্প সময়েই মুখ থুবড়ে পড়বে, সেটা অনেকের কাছে ছিল অকল্পনীয়। সরকারের সমালোচনা ও বিরোধী মতের প্রতি এমন অসহিষ্ণুতা গণতন্ত্রমনা কেউই আশা করেনি। ফলে একের পর এক হামলা-মামলার মুখে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে।
এমন পরিস্থিতিতেও মানুষ আশায় বুক বাঁধে, কারণ অতীতে একাধিকবার এর চেয়ে কঠিন সময় পার হতে হয়েছে জাতিকে। জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করে কোনো শক্তিই বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি এদেশের ক্ষমতায়। জনগণ সব বিভ্রান্তি, বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আন্দোলনের জোয়ারে ভেসে গেছে গণবিরোধী শক্তি। অগণতান্ত্রিক ও ক্ষমতালোভীদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার কোনো কৌশলই মানুষ বরদাশত করেনি। তবে এজন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঠিক ভূমিকা অপরিহার্য। সময়ের প্রয়োজনে জনগণ যেমন নেতৃত্ব খুঁজে নেয়, তেমনি দূরদর্শী নেতৃত্বকেও এগিয়ে আসতে হয় কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা ছিল পালনে—এমনটাই দেখা গেছে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে। তাই হতাশার অন্ধকার ভেদ করে মুক্তির লালসূর্য জনগণকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করবে, সাহসী করে তুলবে—এমন আশা জাগাই স্বাভাবিক।
মানুষ যেমন ১৯৭১ সালে সব বিভেদ-বিভ্রান্তি ভুলে স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্ররক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য একইভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব ভীরুতা ও ক্ষুদ্র স্বার্থ চিন্তা ত্যাগ করে গণতন্ত্রবিরোধী লুটেরা শক্তিকে মোকাবিলায় সাহসী হতে হবে। এটাই হোক এবারের স্বাধীনতা দিবসের আহ্বান।
No comments