যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এনিয়ে বিভ্রান্ত ছাড়ানোর কথা উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে। তারা মনে করে, বিচারে কোনো রকম কালিমা লাগাতে পারলেই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে পারবে। এ জন্য ষড়যন্ত্র করছে, বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। চেষ্টা যতোই করুক, কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।
প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ৭৫’এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ধুয়ে মুছে কলুষমুক্ত করার চেষ্টা করেন জিয়াউর রহমান। তিনি তাদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছেন। রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের হাতে তুলে দেন শহীদের রক্তে রঞ্জিত জাতীয় পতাকা। তাদের মন্ত্রী বানানো হয়। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, এর সমর্থন করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের ধুয়ে-মুছে কলুষমুক্ত করার চেষ্টা করেছেÑ তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। তারা নানাভাবে ব্যতিব্যস্ত করবে যাতে বিচার না হয়, বিচার বিলম্বিত হয়। তাদের ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান। বলেন, আমরা এখন ক্ষমতায়। অনেকেই ভোল পাল্টে দলে আসতে চাইবে। অপকর্ম করে নানাভাবে অপবাদ দেবে। কাকে দলে নেবেন, আর কাকে নেবেন না সে ব্যাপারে সজাগ থাকবেন।
অ্যাম্বুলেন্সে হামলা, গাড়ির ভেতরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে, অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে রোগী মারা যান। তাদের হাত থেকে অ্যাম্বুলেন্সও রেহাই পায়নি। অ্যাম্বুলেন্সে হামলা হলো। কিন্তু সংবাদপত্রে ভালোভাবে তুলে ধরা হলো না। কোনো সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক পত্রিকায় দেখি, আমাদের একটা কিছু হলেই বড় করে সংবাদ ছাপে। একই ঘটনা ছাত্রদল, যুবদল করলে পেছনের পাতায় দেয়া হয়। বিজয়ের মাসে তারা হরতাল দিয়ে মানুষ মারছে, পেট্রল ঢেলে গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে। একটি পত্রিকায় একই রকম সংবাদ একটি প্রথম পাতায় ও অন্যটি ভেতরের পাতায় দেয়া হয়েছে। এটা কোন খেলা? কাদের মদদ দেয়া? যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই এই খেলা।
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া, শহীদ বুদ্ধিজীবী আব্দুল আলিমের স্ত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।
অ্যাম্বুলেন্সে হামলা, গাড়ির ভেতরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে, অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে রোগী মারা যান। তাদের হাত থেকে অ্যাম্বুলেন্সও রেহাই পায়নি। অ্যাম্বুলেন্সে হামলা হলো। কিন্তু সংবাদপত্রে ভালোভাবে তুলে ধরা হলো না। কোনো সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক পত্রিকায় দেখি, আমাদের একটা কিছু হলেই বড় করে সংবাদ ছাপে। একই ঘটনা ছাত্রদল, যুবদল করলে পেছনের পাতায় দেয়া হয়। বিজয়ের মাসে তারা হরতাল দিয়ে মানুষ মারছে, পেট্রল ঢেলে গাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে। একটি পত্রিকায় একই রকম সংবাদ একটি প্রথম পাতায় ও অন্যটি ভেতরের পাতায় দেয়া হয়েছে। এটা কোন খেলা? কাদের মদদ দেয়া? যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই এই খেলা।
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া, শহীদ বুদ্ধিজীবী আব্দুল আলিমের স্ত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।
No comments