স্মৃতিসৌধে যাওয়ার অধিকার খালেদার আছে
স্মৃতিসৌধে যাওয়ার অধিকার খালেদা জিয়ার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি মন্তব্য করেন।খালেদা জিয়ার স্মৃতিসৌধে যাওয়া প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদের দেওয়া বক্তব্যের এসময় তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি।
মওদুদ বলেন, “স্মৃতিসৌধে যদি কারো যাওয়ার অধিকার থাকে তবে খালেদা জিয়ারও আছে। খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একটি দল। সে হিসেবে তার যাওয়ার অধিকার আছে।”
বিশ্বজিত নিহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এ সরকারের কোনো লজ্জা নেই। বিশ্বজিতকে দিনের আলোয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ছেলেরা কুপিয়ে মেরেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী হলে দুঃখ প্রকাশ করতাম। জাতির কাছে ক্ষমা চাইতাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বা তার কোনো মন্ত্রী এটি করেননি। বিশ্বজিত যেন কোনো মানুষই না।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষাতর কথা মুখে বললেও বাস্তবে তা বিশ্বাস করে না। বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তারই প্রমাণ।”
মওদুদ বলেন, “বাংলাদেশ যেন কোনোদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে তারই অংশ হিসেবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল।”
এসময় তিনি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করার আহবান জানান।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ড. মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “বিজয়ের মাসে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর নামে আন্দোলনের ডাক দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের নৈতিকতা হারিয়েছে।”
No comments