ডরে ঘুমাইতে পারি না, বাহে! by আদিত্য আরাফাত
কুড়িগ্রাম জেলার মঙ্গাকবলিত রৌমারী উপজেলা থেকে জীবিকার তাগিদে গত অক্টোবর রাজধানী এসেছেন শাফিয়া আক্তার। সঙ্গে তার ৭ বছরের ছেলে মনছুরও। দিনে কারওয়ান বাজারের একটি হোটেলে থালা-বাসন পরিষ্কার করেন।
হোটেল মালিকের নিষেধ, তাই দিনে ছেলেকে হোটেলের বাইরে রেখে কাজ করেন। দুপুর আর রাতে সবজি-ডালসহ যে খাবার জোটে, তাই-ই হোটেলের বাইরে এসে ছেলেসহ নিজে খান। দিনমজুরি ৮০ টাকা।
শাফিয়ার দিন কাটে থালা বাসন ধুয়ে আর রাত কাটে খোলা কারওয়ান বাজারের খোলা আকাশের নিচে সন্তানকে বুকে নিয়ে ফুটপাতে শুয়ে।
আকাশের নিচেও যে নিশ্চিন্তে ঘুমাবেন, সে অভয় নেই তার। প্রতিরাতের মতো বৃহস্পতিবার দিনগত রাতেও কারওয়ান বাজারের আন্ডারপাসে ঘুমাচ্ছিলেন শাফিয়া। মিনিট কয়েক পর পরই চোখ খুলে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছেন আর সন্তানকে আরও বুকের কাছে টেনে নিচ্ছেন।
গাড়ির হর্নেও বারবার ঘুম ভাঙছে তার। শাফিয়ার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর চোখ খুলেই প্রতিবেদককে বলেন, ‘‘কি চাস্? ঘুমাইতেও দিবি না!’’
পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে শাফিয়া বলেন, ‘‘ঢরে (ভয়ে) ঘুমাইতে পারি না বাহে। খারাপ মানুষরা খারাপ প্রস্তাব দেয়, ঘুমের মধ্যে গায়ে হাত দিবার চায়।’’
শাফিয়া জানান, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় রাতেও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন না তিনি। বলেন, ‘‘হরতালের আগে ও পরে এ কয়দিন এলাকায় বোম ফুটছে। পোলায় আমার কয়-‘মা এখানে বোম ফুটে। ঘুমানোর সময় গায়ে বোম পইরবো। পোলার মনেও ঢর ঢুকছে।’’
জানান শাফিয়া, কুড়িগ্রাম জেলার সদর থেকে রৌমারী উপজেলার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটারের বেশি। জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই। ২৫ কিমি দুর্গম নদীপথ। বর্ষা মৌসুমে রৌমারী উপজেলা সদর থেকে জেলা শহরে পৌঁছাতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টা এবং শুকনো মৌসুমে ৭ থেকে সাড়ে ৭ ঘণ্টা।
‘‘বছর দুয়েক আগে মনছুরের বাপ আরেকটা বিয়ে করে আমারে তালাক দেয়’’ বললেন শাফিয়া।
রাত সোয়া ২টা। আধঘণ্টা আলাপ হয় শাফিয়ার সঙ্গে। কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে চোখ বুজে আসে শাফিয়ার। সন্তানের গায়ে হাল্কা কাঁথাটি ঠিকমতো জড়িয়ে দেন। পরম মমতায় ছেলেকে বুকে টানেন। চোখ বন্ধ করেন শাফিয়া। একটু পরেই সকাল হবে। কর্মব্যস্ত হবে রাজধানী। শুরু হবে শাফিয়ার থালা বাসন ধোয়ার কাজ। বাইরে মনছুর অপেক্ষা করবে মায়ের জন্য।
একপ্লেট ভাত ভাগ করে খাবেন মা-ছেলে। আবার রাস্তায় ঘুমাবেন। এভাবেই রাতের পর রাত ঢাকার ফুটপাতে কেটে যায় শাফিয়াদের...।
আকাশের নিচেও যে নিশ্চিন্তে ঘুমাবেন, সে অভয় নেই তার। প্রতিরাতের মতো বৃহস্পতিবার দিনগত রাতেও কারওয়ান বাজারের আন্ডারপাসে ঘুমাচ্ছিলেন শাফিয়া। মিনিট কয়েক পর পরই চোখ খুলে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছেন আর সন্তানকে আরও বুকের কাছে টেনে নিচ্ছেন।
গাড়ির হর্নেও বারবার ঘুম ভাঙছে তার। শাফিয়ার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর চোখ খুলেই প্রতিবেদককে বলেন, ‘‘কি চাস্? ঘুমাইতেও দিবি না!’’
পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে শাফিয়া বলেন, ‘‘ঢরে (ভয়ে) ঘুমাইতে পারি না বাহে। খারাপ মানুষরা খারাপ প্রস্তাব দেয়, ঘুমের মধ্যে গায়ে হাত দিবার চায়।’’
শাফিয়া জানান, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় রাতেও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন না তিনি। বলেন, ‘‘হরতালের আগে ও পরে এ কয়দিন এলাকায় বোম ফুটছে। পোলায় আমার কয়-‘মা এখানে বোম ফুটে। ঘুমানোর সময় গায়ে বোম পইরবো। পোলার মনেও ঢর ঢুকছে।’’
জানান শাফিয়া, কুড়িগ্রাম জেলার সদর থেকে রৌমারী উপজেলার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটারের বেশি। জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই। ২৫ কিমি দুর্গম নদীপথ। বর্ষা মৌসুমে রৌমারী উপজেলা সদর থেকে জেলা শহরে পৌঁছাতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টা এবং শুকনো মৌসুমে ৭ থেকে সাড়ে ৭ ঘণ্টা।
‘‘বছর দুয়েক আগে মনছুরের বাপ আরেকটা বিয়ে করে আমারে তালাক দেয়’’ বললেন শাফিয়া।
রাত সোয়া ২টা। আধঘণ্টা আলাপ হয় শাফিয়ার সঙ্গে। কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে চোখ বুজে আসে শাফিয়ার। সন্তানের গায়ে হাল্কা কাঁথাটি ঠিকমতো জড়িয়ে দেন। পরম মমতায় ছেলেকে বুকে টানেন। চোখ বন্ধ করেন শাফিয়া। একটু পরেই সকাল হবে। কর্মব্যস্ত হবে রাজধানী। শুরু হবে শাফিয়ার থালা বাসন ধোয়ার কাজ। বাইরে মনছুর অপেক্ষা করবে মায়ের জন্য।
একপ্লেট ভাত ভাগ করে খাবেন মা-ছেলে। আবার রাস্তায় ঘুমাবেন। এভাবেই রাতের পর রাত ঢাকার ফুটপাতে কেটে যায় শাফিয়াদের...।
No comments