সাবধান! জাঙ্কফুড মাথার ঘিলু কমায়
আধুনিক প্রজন্ম বর্তমানে অনেকটাই ফার্স্টফুড নির্ভর। দিন যাপনের ব্যস্ততার বেড়াজালে এই নির্ভরতা কখনও কখনও রূপান্তরিত হয় আসক্তিতে। আর এই আসক্তি আপনার শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপর তৈরি করতে পারে মারাত্মক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার। এমনকি মনের ওপরও ফেলতে পারে ক্ষতিকর প্রভাব।
সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানালেন গবেষকরা।
পশ্চিমা বিশ্বে ফার্স্টফুডকে আজকাল জাঙ্কফুড বলে ডাকা হয়। জাঙ্ক মানে আবর্জনা আর জাঙ্কফুড মানে আবর্জনা খাবার।
তবে ফার্স্টফুড বা জাঙ্কফুড যে নামেই ডাকা হোক না কেন উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ এসব খাবারে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি ও চিনির উপস্থিতি।
অতিরিক্ত মাত্রায় জাঙ্কফুড গ্রহণ মানুষের মস্তিস্কের গঠনে আনতে পারে নেতিবাচক পরিবর্তন। উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় থাকার প্রবণতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হতাশা ও বিষন্নতাও সৃষ্টি করতে পারে এসব খাবার। এমনকি এসব খাদ্যগ্রহণ হঠাৎ বন্ধ করে দিলেও নিস্তার নেই, দেখা দিতে পারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।
সম্প্রতি গবেষণাগারে একপাল ইদুরের ওপর করা গবেষণা থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
মানসিক আচরণ ও মস্তিষ্কের ওপর জাঙ্কফুডের প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পেতে ইদুরের ওপর গবেষণা চালান মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
গবেষণায় দেখা গেছে যেসব ইদুরকে উচ্চ চিনি ও চর্বিজাত খাদ্য টানা খাওয়ানো হচ্ছে তাদের মস্তিষ্কে নতুন ধরণের রাসায়নিক পরিবর্তন সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি খাওয়ানো বন্ধ হলে ওই লক্ষণগুলো প্রকটিত হচ্ছে আরও লক্ষণীয়ভাবে।
গবেষক দলের প্রধান ড. স্টেফানি ফুলটন বলেন, “এর ফলে যেসব রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত হয় সেগুলো সরাসরি বিষন্নতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।”
যদি এসব খাবার যদি হঠাৎ বন্ধ করা হয় তবে মানসিকতার ওপর আরও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এমনকি এর ফলে ক্ষুধা মন্দারও একটি দুষ্টচক্রও তৈরি হতে পারে বলে উল্লেখ করলেন ড. ফুলটন।
গবেষণাগারে প্রথমে একদল ইদুরকে ছয় সপ্তাহ সাধারণ খাবার খাওয়ানো হয়। একই সময়ে আর একদল ইদুরকে ছয়সপ্তাহ ধরে খেতে দেওয়া হয় উচ্চ ক্যালোরি ও উচ্চ চর্বিজাত খাবার।
ছয় সপ্তাহ পর দেখা গেলো সাধারণ খাবার খাওয়া ইদুরগুলোর থেকে উচ্চ চর্বিজাত খাবার গ্রহণকারী ইদুরগুলোর পেট বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ।
গবেষকরা এরপর নজর দেন ইদুরগুলোর মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তনের দিকে।
সাধারণ খাবার গ্রহণকারী ইদুরগুলোর আচরণে তেমন কোনো পরিবর্তন খুঁজে পেলেন না গবেষকরা। কিন্তু দেখা গেলো স্বাভাবিক সময়ের থেকে অধিক অস্থিরতা প্রদর্শণ করছে উচ্চ ক্যালরির খাবার খাওয়া ইদুরগুলো।
এসব ইদুরের মস্তিষ্কে সিআরইবি বা ক্রেব অনুর উচ্চ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলো। ধারণা করা হয় এসব ক্রেব অনু শরীরে ডোপামিন নিঃসরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ডোপামিন মানুষের মনে নেতিবাচক উদ্দীপনার সৃষ্টি করে, পরবর্তীতে যা বিষণ্নতায় রূপ নেয়।
পাশাপাশি এসব ইদুরের রক্তে কোরটিকোসটেরোন নামক এক ধরণের হরমোনের উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া গেলো উচ্চ হারে। এই হরমোনও মনের ওপর চাপ এবং বিষণ্নতার সৃষ্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
স্থূল হওয়ার আগেই ইদুরগুলোর মস্তিষ্ক ও মানসিকতায় এ সব রূপান্তর সংঘটিত হয় বলে জানালেন গবেষকরা।
তবে মস্তিষ্কের ওপর জাঙ্কফুড গ্রহণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে এটাই সর্ব প্রথম প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন নয়। গত বছরও এক গবেষণায় দেখা যায়, রক্তে ট্রান্স ফ্যাটের উচ্চ উপস্থিতি মস্তিষ্কের কার্যক্রম ও ক্ষমতাকে হ্রাস করে। এর ফলে এমনকি মস্তিষ্কের (মগজ) আকারও কমে যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট গবেষক ড. জেন বোমান বলেন, “এটা পরিস্কার যে ট্রান্স ফ্যাট হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এটি মস্তিষ্কের জন্যও খারাপ।”
তাই তিনি এ সব খাবার বিশেষ করে ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার থেকে দূরে থেকে এর পরিবর্তে শাক সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বর্তমানে ফার্স্টফুড নামে যা খাওয়া হচ্ছে মূলত এসব খাবারেই রয়েছে ট্রান্সফ্যাটসহ সব ধরণের ক্ষতিকর উপাদান যা আপনার শরীর ও মনের ওপর ফেলতে পারে স্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব।
তবে ফার্স্টফুড বা জাঙ্কফুড যে নামেই ডাকা হোক না কেন উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ এসব খাবারে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি ও চিনির উপস্থিতি।
অতিরিক্ত মাত্রায় জাঙ্কফুড গ্রহণ মানুষের মস্তিস্কের গঠনে আনতে পারে নেতিবাচক পরিবর্তন। উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় থাকার প্রবণতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হতাশা ও বিষন্নতাও সৃষ্টি করতে পারে এসব খাবার। এমনকি এসব খাদ্যগ্রহণ হঠাৎ বন্ধ করে দিলেও নিস্তার নেই, দেখা দিতে পারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।
সম্প্রতি গবেষণাগারে একপাল ইদুরের ওপর করা গবেষণা থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
মানসিক আচরণ ও মস্তিষ্কের ওপর জাঙ্কফুডের প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পেতে ইদুরের ওপর গবেষণা চালান মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
গবেষণায় দেখা গেছে যেসব ইদুরকে উচ্চ চিনি ও চর্বিজাত খাদ্য টানা খাওয়ানো হচ্ছে তাদের মস্তিষ্কে নতুন ধরণের রাসায়নিক পরিবর্তন সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি খাওয়ানো বন্ধ হলে ওই লক্ষণগুলো প্রকটিত হচ্ছে আরও লক্ষণীয়ভাবে।
গবেষক দলের প্রধান ড. স্টেফানি ফুলটন বলেন, “এর ফলে যেসব রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত হয় সেগুলো সরাসরি বিষন্নতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।”
যদি এসব খাবার যদি হঠাৎ বন্ধ করা হয় তবে মানসিকতার ওপর আরও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এমনকি এর ফলে ক্ষুধা মন্দারও একটি দুষ্টচক্রও তৈরি হতে পারে বলে উল্লেখ করলেন ড. ফুলটন।
গবেষণাগারে প্রথমে একদল ইদুরকে ছয় সপ্তাহ সাধারণ খাবার খাওয়ানো হয়। একই সময়ে আর একদল ইদুরকে ছয়সপ্তাহ ধরে খেতে দেওয়া হয় উচ্চ ক্যালোরি ও উচ্চ চর্বিজাত খাবার।
ছয় সপ্তাহ পর দেখা গেলো সাধারণ খাবার খাওয়া ইদুরগুলোর থেকে উচ্চ চর্বিজাত খাবার গ্রহণকারী ইদুরগুলোর পেট বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ।
গবেষকরা এরপর নজর দেন ইদুরগুলোর মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তনের দিকে।
সাধারণ খাবার গ্রহণকারী ইদুরগুলোর আচরণে তেমন কোনো পরিবর্তন খুঁজে পেলেন না গবেষকরা। কিন্তু দেখা গেলো স্বাভাবিক সময়ের থেকে অধিক অস্থিরতা প্রদর্শণ করছে উচ্চ ক্যালরির খাবার খাওয়া ইদুরগুলো।
এসব ইদুরের মস্তিষ্কে সিআরইবি বা ক্রেব অনুর উচ্চ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলো। ধারণা করা হয় এসব ক্রেব অনু শরীরে ডোপামিন নিঃসরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ডোপামিন মানুষের মনে নেতিবাচক উদ্দীপনার সৃষ্টি করে, পরবর্তীতে যা বিষণ্নতায় রূপ নেয়।
পাশাপাশি এসব ইদুরের রক্তে কোরটিকোসটেরোন নামক এক ধরণের হরমোনের উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া গেলো উচ্চ হারে। এই হরমোনও মনের ওপর চাপ এবং বিষণ্নতার সৃষ্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
স্থূল হওয়ার আগেই ইদুরগুলোর মস্তিষ্ক ও মানসিকতায় এ সব রূপান্তর সংঘটিত হয় বলে জানালেন গবেষকরা।
তবে মস্তিষ্কের ওপর জাঙ্কফুড গ্রহণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে এটাই সর্ব প্রথম প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন নয়। গত বছরও এক গবেষণায় দেখা যায়, রক্তে ট্রান্স ফ্যাটের উচ্চ উপস্থিতি মস্তিষ্কের কার্যক্রম ও ক্ষমতাকে হ্রাস করে। এর ফলে এমনকি মস্তিষ্কের (মগজ) আকারও কমে যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট গবেষক ড. জেন বোমান বলেন, “এটা পরিস্কার যে ট্রান্স ফ্যাট হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এটি মস্তিষ্কের জন্যও খারাপ।”
তাই তিনি এ সব খাবার বিশেষ করে ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার থেকে দূরে থেকে এর পরিবর্তে শাক সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বর্তমানে ফার্স্টফুড নামে যা খাওয়া হচ্ছে মূলত এসব খাবারেই রয়েছে ট্রান্সফ্যাটসহ সব ধরণের ক্ষতিকর উপাদান যা আপনার শরীর ও মনের ওপর ফেলতে পারে স্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব।
No comments