নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগঃ হঠাৎ গায়েব সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন by সুলতানা ইয়াসমিন মিলি
সিরাজগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা নাটক। নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার পর সিভিল সার্জন স্থানীয় পত্রিকায় ফলাফল তা প্রকাশ না করে বা অফিসের দেওয়ালে টানিয়ে না দেওয়ায় চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।
বৃহস্পতিবার দিনভর ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত চাকরি প্রত্যাশীরা স্থানীয় সিভিল সার্জন অফিসে ভিড় জমিয়েও নিয়োগের ফলাফল জানতে না পেরে অনেকেই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
কেউ কেউ মন্তব্য করছেন সিভিল সার্জন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন নিয়োগ বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন বাইরে রয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন দলীয় লোকজনের চাহিদামত কোঠা পূরণ না করে নিয়োগ বাণিজ্য করায় দু’জনই লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে লাপাত্তা হয়েছেন।
অফিস সূত্র জানায়, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নাজিমুদ্দিন খান এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজে একান্ত সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন গত ৮/১০ দিন হলো কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে অনুপস্থিত থেকে ডাকে নিয়োগপত্র পাঠানোয় স্বাস্থ্য বিভাগসহ শহরে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। গত সপ্তাহ ধরেই সিভিল সার্জন অফিস ঘুরে দুজনার কাউকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অফিসের পিয়ন ও স্টেনোগ্রাফাররা জানান,, সিভিল সার্জন স্যার ট্রেনিং এবং স্বাক্ষী দিতে অফিসের বাইরে রয়েছেন।
আবার ২/১জন জানান, সিভিল সার্জন স্যার ট্রেনিং শেষে অসুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে রয়েছেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
অফিসের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত সিভিল সার্জনের সময় নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি করায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হলেও একমাত্র নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য উচ্চ আদালতে রিট করে তিনি সিরাজগঞ্জেই আছেন।
তার নানা দুর্নীতির বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও উচ্চ আদালতে রিটের কারণে তিনি সিরাজগঞ্জে বহাল তবিয়তে থেকে নানা দুর্নীতি করেই যাচ্ছেন, অথচ কেউই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
একই অফিসের হিসাবরক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন,, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা বা দেওয়ালে টানিয়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তা না করে সিভিল সার্জন স্যার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা অন্যত্র দূরে সরে থাকায় গোটা অফিসের স্টাফরাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।
জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কে.এম.হোসেন আলী এ ধরনের নিয়োগ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ মহাপরিচালকের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে সিভিল সার্জন মোবাইল ফোনে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,, রাতদিন পরিশ্রম করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমি বাড়িতে আছি। কোন ধরনের কারচুপি বা নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি।যারা মূলত নিয়োগ পেয়েছে, তাদের যোগদান পত্র ডাকযোগে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে যাবে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে, জেলার ৯টি উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের সুইপার, আয়া, পিয়ন, বাবুর্চি, মালি, গার্ড, পরিসংখ্যানবিদ,, পরিসংখ্যান সহকারী, টেকনিশিয়ান ও স্বাস্থ্য সহকারী পদে প্রায় দু’শতাধিক জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার দেওয়া হয়। শুরু থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে নানা ধরনের রহস্য তৈরি হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ও উপ-পরিচালক বা তাদের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিয়োগ বোর্ডে থাকলেও মূলত সিভিল সার্জন ও তার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিজেদের পছন্দের লোকজনকে কৌশলে বাছাই করে তাদের নিয়োগ দিতে তৎপর হয়ে উঠেন, এমন অভিযোগও রয়েছে।
অফিস সূত্র জানায়, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নাজিমুদ্দিন খান এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজে একান্ত সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন গত ৮/১০ দিন হলো কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে অনুপস্থিত থেকে ডাকে নিয়োগপত্র পাঠানোয় স্বাস্থ্য বিভাগসহ শহরে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। গত সপ্তাহ ধরেই সিভিল সার্জন অফিস ঘুরে দুজনার কাউকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অফিসের পিয়ন ও স্টেনোগ্রাফাররা জানান,, সিভিল সার্জন স্যার ট্রেনিং এবং স্বাক্ষী দিতে অফিসের বাইরে রয়েছেন।
আবার ২/১জন জানান, সিভিল সার্জন স্যার ট্রেনিং শেষে অসুস্থ হয়ে চুয়াডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে রয়েছেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
অফিসের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত সিভিল সার্জনের সময় নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি করায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হলেও একমাত্র নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য উচ্চ আদালতে রিট করে তিনি সিরাজগঞ্জেই আছেন।
তার নানা দুর্নীতির বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও উচ্চ আদালতে রিটের কারণে তিনি সিরাজগঞ্জে বহাল তবিয়তে থেকে নানা দুর্নীতি করেই যাচ্ছেন, অথচ কেউই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
একই অফিসের হিসাবরক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন,, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা বা দেওয়ালে টানিয়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তা না করে সিভিল সার্জন স্যার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা অন্যত্র দূরে সরে থাকায় গোটা অফিসের স্টাফরাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।
জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কে.এম.হোসেন আলী এ ধরনের নিয়োগ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ মহাপরিচালকের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে সিভিল সার্জন মোবাইল ফোনে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,, রাতদিন পরিশ্রম করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমি বাড়িতে আছি। কোন ধরনের কারচুপি বা নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি।যারা মূলত নিয়োগ পেয়েছে, তাদের যোগদান পত্র ডাকযোগে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে যাবে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে, জেলার ৯টি উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের সুইপার, আয়া, পিয়ন, বাবুর্চি, মালি, গার্ড, পরিসংখ্যানবিদ,, পরিসংখ্যান সহকারী, টেকনিশিয়ান ও স্বাস্থ্য সহকারী পদে প্রায় দু’শতাধিক জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার দেওয়া হয়। শুরু থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে নানা ধরনের রহস্য তৈরি হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ও উপ-পরিচালক বা তাদের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিয়োগ বোর্ডে থাকলেও মূলত সিভিল সার্জন ও তার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিজেদের পছন্দের লোকজনকে কৌশলে বাছাই করে তাদের নিয়োগ দিতে তৎপর হয়ে উঠেন, এমন অভিযোগও রয়েছে।
No comments