দক্ষিণ কোরিয়ায় ইসলাম by ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
কোরীয় যুদ্ধ-পরবর্র্তী বিগত ৫০ বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ৪০ হাজার স্থায়ী এবং ১ লাখ বিদেশি কর্মজীবী মুসলমান নিজেদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ, ধর্মচর্চা ও ধর্ম প্রচারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছেন। ৫ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত দক্ষিণ কোরিয়ার আয়তন ৯৯,৩৯২ বর্গ কিলোমিটার।
রাজধানী সিউল। নাগরিক সুবিধা ও উন্নত জীবনধারার জন্য প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কোরিয়ার সুখ্যাতি সর্বজনবিদিত। ৯টি প্রদেশ ও ৬টি মেট্রোপলিটন শহর নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া গঠিত। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উচ্চ আয়সম্পন্ন উন্নত দেশ দক্ষিণ কোরিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। ১০২৪ খ্রিস্টাব্দে আরব বণিক ও ধর্ম প্রচারকরা সর্বপ্রথম কোরিয়ায় আসেন। পরবর্তীকালে দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া বিশেষত ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে মুসলমানরা কোরিয়ায় জড়ো হতে থাকেন। এ দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুসলমানরা কর্মরত।
১৯৫০ সালের প্রথম দিকে কোরীয় যুদ্ধ (১৯৫০-৫৩) চলাকালে জাতিসংঘ বাহিনীর অধীনে তুর্কি সেনা ব্রিগেড কোরিয়ায় এলে ইসলাম প্রচার বিশেষ গতি লাভ করে। এ ক্ষেত্রে তুর্কি সেনা ব্রিগেডের ইমাম আবদুল গফুর কারাইমাইলাগলুর ভূমিকা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে ৯টি মসজিদ, ৪টি ইসলামিক সেন্টার ও ৬০টি মুসাল্লা (নামাজের স্বল্প পরিসর স্থান) রয়েছে। ১৯৬৯ সালে কোরিয়ান সরকার প্রদত্ত ১৫০০ বর্গ মিটারের জমিতে গড়ে ওঠে সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার। বিভিন্ন মসজিদে ছুটির দিন রোববারে আরবি ভাষা শিক্ষার কোর্স চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত কোরীয় ভাষায় ইসলামের ওপর লিখিত ১৭টি গ্রন্থ বেরিয়েছে। দ্য মুসলিম উইকলি নিউজ ও আল-ইসলাম নামের দ্বিমাসিক ও দ্বিভাষিক জার্নাল নিয়মিত প্রকাশিত হয়।
দাওয়াতি তৎপরতার অংশ হিসেবে কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশন কর্তৃপক্ষ সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়মিত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানে ধর্ম অনুশীলন ও ধর্ম প্রচারের স্বীকৃতি থাকায় মুসলমানরা স্বচ্ছন্দে দাওয়াতি মেহনত চালিয়ে যাচ্ছেন। এ দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত এবং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ২০০টি। মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে কোনো বাধা নেই। প্রতি বছর বিভিন্ন কাফেলা হজব্রত পালনে সরকারের সহযোগিতা লাভ করে।
২০০১-০২ সালে সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান ইবনে আবদুল আজিজের আর্থিক সহযোগিতায় সিউলে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি মাদ্রাসা। তিনি এর জন্য ৩ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান প্রদান করেন। ১৯৮২ সালে সিউলে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য কোরিয়া সরকার ৪ লাখ ৩০ হাজার বর্গ মিটার জায়গা মুসলমানদের অনুকূলে প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পে সৌদি আরবের প্রিন্স নায়েফ ইবনে আবদুল আজিজ ও মালয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. মাহাথির মোহাম্মদের আর্থিক অনুদান রয়েছে।
১৯৮৩ সালে কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় হালাল খাদ্য সরবরাহের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত কসাইখানা। এখান থেকে বিভিন্ন স্টোরে শরিয়তসম্মত পন্থায় জবাইকৃত পশুর গোশত সরবরাহ করা হয়।
১৯৫০ সালের প্রথম দিকে কোরীয় যুদ্ধ (১৯৫০-৫৩) চলাকালে জাতিসংঘ বাহিনীর অধীনে তুর্কি সেনা ব্রিগেড কোরিয়ায় এলে ইসলাম প্রচার বিশেষ গতি লাভ করে। এ ক্ষেত্রে তুর্কি সেনা ব্রিগেডের ইমাম আবদুল গফুর কারাইমাইলাগলুর ভূমিকা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে ৯টি মসজিদ, ৪টি ইসলামিক সেন্টার ও ৬০টি মুসাল্লা (নামাজের স্বল্প পরিসর স্থান) রয়েছে। ১৯৬৯ সালে কোরিয়ান সরকার প্রদত্ত ১৫০০ বর্গ মিটারের জমিতে গড়ে ওঠে সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার। বিভিন্ন মসজিদে ছুটির দিন রোববারে আরবি ভাষা শিক্ষার কোর্স চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত কোরীয় ভাষায় ইসলামের ওপর লিখিত ১৭টি গ্রন্থ বেরিয়েছে। দ্য মুসলিম উইকলি নিউজ ও আল-ইসলাম নামের দ্বিমাসিক ও দ্বিভাষিক জার্নাল নিয়মিত প্রকাশিত হয়।
দাওয়াতি তৎপরতার অংশ হিসেবে কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশন কর্তৃপক্ষ সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়মিত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানে ধর্ম অনুশীলন ও ধর্ম প্রচারের স্বীকৃতি থাকায় মুসলমানরা স্বচ্ছন্দে দাওয়াতি মেহনত চালিয়ে যাচ্ছেন। এ দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত এবং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ২০০টি। মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে কোনো বাধা নেই। প্রতি বছর বিভিন্ন কাফেলা হজব্রত পালনে সরকারের সহযোগিতা লাভ করে।
২০০১-০২ সালে সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান ইবনে আবদুল আজিজের আর্থিক সহযোগিতায় সিউলে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি মাদ্রাসা। তিনি এর জন্য ৩ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান প্রদান করেন। ১৯৮২ সালে সিউলে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য কোরিয়া সরকার ৪ লাখ ৩০ হাজার বর্গ মিটার জায়গা মুসলমানদের অনুকূলে প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পে সৌদি আরবের প্রিন্স নায়েফ ইবনে আবদুল আজিজ ও মালয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. মাহাথির মোহাম্মদের আর্থিক অনুদান রয়েছে।
১৯৮৩ সালে কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় হালাল খাদ্য সরবরাহের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত কসাইখানা। এখান থেকে বিভিন্ন স্টোরে শরিয়তসম্মত পন্থায় জবাইকৃত পশুর গোশত সরবরাহ করা হয়।
No comments