রাসেলের জন্মবার্ষিকী পালিত-মালালার ওপর হামলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার বিপক্ষে তালেবানি প্রচার-প্রচারণার প্রতিবাদকারী স্কুলছাত্রী মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর তালেবানের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা শিশুদের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের চেষ্টা করছি, যেন তারা নিজেদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারে।'
দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যুব সম্প্রদায় ও পরবর্তী প্রজন্ম দেশকে সুখ-সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৪৯তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবনের হত্যাযজ্ঞে নির্মমভাবে নিহত হন।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, যুব ও কিশোরদের মধ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং এ দেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার সামর্থ্য, সাহস ও উদ্যম রয়েছে।' তিনি সরকারের দেওয়া সব সুযোগ-সুবিধা নিজেদের মেধা ও গুণাবলি বিকাশে কাজে লাগাতে যুব ও কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে জাতির যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে তোমরা লেখাপড়ার প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবে।' তিনি বলেন, 'আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমরা আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম।'
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত, আয়োজক পরিষদের চেয়ারম্যান এম রকিবুর রহমান ও মহাসচিব মাহমুদ-উজ-সামাদ চৌধুরী এমপি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। খবর বাসসের।
শেখ রাসেলের স্মৃতি স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, রাসেল ছোট শিশু হলেও সে নিজের জন্য কখনো কিছু চায়নি। সে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেলে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শিশুর সঙ্গেই বন্ধুত্ব গড়ে তুলত এবং তাদের জন্য ঢাকা থেকে কাপড়, বই ইত্যাদিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যেত।'
রাসেলের হত্যাকারীদের ১৯৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো ইনডেমনিটি দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কেবল নিন্দনীয় ও দুঃখজনক ঘটনাই নয়; এটি লজ্জাজনকও। তারা খুনিদের রক্ষা করতে চেয়েছিল।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি কয়েক দিন আগে পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার বিপক্ষে তালেবানের প্রচারণার প্রতিবাদকারী স্কুলছাত্রী মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর তালেবানি হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা শিশুদের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের চেষ্টা করছি, যেন তারা নিজেদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারে।'
পরে প্রধানমন্ত্রী পরিষদ আয়োজিত সাংস্কৃতিক, চিত্রাঙ্কন ও দাবা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য পরিষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ড শিশুদের মেধা বিকাশে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।
বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে লাভ নেই
কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে লাভ নেই। ক্ষমতার মালিক জনগণ, জনগণের আস্থা অর্জন করুন, জনগণ না চাইলে জীবনেও ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। জনগণ অনেক সচেতন। দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার থাকতে বিদেশিদের কাছে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে উদ্দেশ করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন হানিফ। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শেখ রাসেলের ৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীতে দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। সকালে রাজধানীর বনানীর কবরস্থানে শেখ রাসেলের সমাধিতে আওয়ামী লীগসহ দলের সহযোগী সংগঠনগুলো পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে হানিফ অভিযোগ করেন, দেশের মানুষের প্রতি বিরোধী দলের আস্থা নেই। তাই তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমুখ।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, যুব ও কিশোরদের মধ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং এ দেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার সামর্থ্য, সাহস ও উদ্যম রয়েছে।' তিনি সরকারের দেওয়া সব সুযোগ-সুবিধা নিজেদের মেধা ও গুণাবলি বিকাশে কাজে লাগাতে যুব ও কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে জাতির যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে তোমরা লেখাপড়ার প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবে।' তিনি বলেন, 'আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমরা আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম।'
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত, আয়োজক পরিষদের চেয়ারম্যান এম রকিবুর রহমান ও মহাসচিব মাহমুদ-উজ-সামাদ চৌধুরী এমপি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। খবর বাসসের।
শেখ রাসেলের স্মৃতি স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, রাসেল ছোট শিশু হলেও সে নিজের জন্য কখনো কিছু চায়নি। সে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেলে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শিশুর সঙ্গেই বন্ধুত্ব গড়ে তুলত এবং তাদের জন্য ঢাকা থেকে কাপড়, বই ইত্যাদিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যেত।'
রাসেলের হত্যাকারীদের ১৯৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো ইনডেমনিটি দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কেবল নিন্দনীয় ও দুঃখজনক ঘটনাই নয়; এটি লজ্জাজনকও। তারা খুনিদের রক্ষা করতে চেয়েছিল।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি কয়েক দিন আগে পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার বিপক্ষে তালেবানের প্রচারণার প্রতিবাদকারী স্কুলছাত্রী মালালা ইউসুফজাইয়ের ওপর তালেবানি হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা শিশুদের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের চেষ্টা করছি, যেন তারা নিজেদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারে।'
পরে প্রধানমন্ত্রী পরিষদ আয়োজিত সাংস্কৃতিক, চিত্রাঙ্কন ও দাবা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য পরিষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ড শিশুদের মেধা বিকাশে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।
বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে লাভ নেই
কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে লাভ নেই। ক্ষমতার মালিক জনগণ, জনগণের আস্থা অর্জন করুন, জনগণ না চাইলে জীবনেও ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। জনগণ অনেক সচেতন। দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার থাকতে বিদেশিদের কাছে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে উদ্দেশ করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন হানিফ। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শেখ রাসেলের ৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীতে দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। সকালে রাজধানীর বনানীর কবরস্থানে শেখ রাসেলের সমাধিতে আওয়ামী লীগসহ দলের সহযোগী সংগঠনগুলো পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে হানিফ অভিযোগ করেন, দেশের মানুষের প্রতি বিরোধী দলের আস্থা নেই। তাই তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমুখ।
No comments