গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ইন্টারনেট উৎসব- বিশ্বকে জয় করার প্রত্যয়
‘বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে জয় করার প্রত্যয় হোক আমাদের সবার। আমরা
সুস্থধারার চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করব। ভালোকে বেছে
নেব। খারাপকে বয়কট করব।’ গতকাল বৃহস্পতিবার
গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ইন্টারনেট উৎসবে এসব কথা বলেন
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম
হোসেন। এর আগে তিনি উৎসবের উদ্বোধন করে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান।
একই কথা বলেছে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বাংলা হিলি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অন্তর রাজা শেখ। আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হওয়ার পর সে বলে, ‘তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আমরাও একদিন এ বিশ্বকে জয় করব।’
‘এসো পৃথিবীর পাঠশালায়...’—বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আহ্বান জানিয়ে গতকাল ইন্টারনেট উৎসব হয় পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এগুলো হলো: গোয়ালন্দের কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ, দিনাজপুরের বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বাগেরহাটের মংলা কলেজ ও নাটোরের লালপুর উপজেলার শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়।
সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসব শুরু হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ জনকে আই-জিনিয়াস প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হয়ে একজন পায় পদক ও প্রথম আলোর উপহার। অন্য নয়জনকে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। উৎসবের কেন্দ্রপ্রধানকে দেওয়া হয় একটি ঘড়ি ও প্রথম আলোর লোগোসংবলিত একটি মগ।
যেসব শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেনি, তাদের জন্য ছিল হ্যাপিনেস মেশিন, ম্যাজিক মিরর ও এক্সপেরিয়েন্স জোন। কেন্দ্রগুলোতে ছিল প্রথম আলো, গ্রামীণফোন, নকিয়া, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের স্টল।
উৎসবের খবর জানাচ্ছেন ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী): উৎসবে অংশ নেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো: গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ, রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজ, গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, প্রপার হাইস্কুল, জামতলা উচ্চবিদ্যালয়, শাহজদ্দিন মণ্ডল ইনস্টিটিউট, দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল, গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুল, চৌধুরী আবদুল হামিদ একাডেমি ও চৌধুরী মাহাবুব হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হয় কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ইনতিসার আউয়াল।
এর আগে ঢাকা বন্ধুসভার হাসান ইমাম ও গ্রামীণফোনের মীর আবু সায়েমের উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা আবদুল কাদের শেখ, গ্রামীণফোনের রাজবাড়ীর আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. ফারহানুজ্জামান খান, আউয়াল আনোয়ার, এম রাশেদুল হক, বন্ধুসভার সভাপতি প্রণব ঘোষ ও গত বছরের আই-জিনিয়াস গোলাম সাইফুল্লাহ।
বিরামপুর (দিনাজপুর): বিরামপুর উপজেলা ছাড়াও পাশের হাকিমপুর, ফুলবাড়ী ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো: বিরামপুর উপজেলার বিরামপুর ডিগ্রি কলেজ, বিরামপুর মহিলা কলেজ, বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও আদর্শ স্কুল, হাকিমপুর উপজেলার হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও বাংলা হিলি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, ফুলবাড়ী উপজেলার শহীদ সঞ্চৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ ও সুজাপুর উচ্চবিদ্যালয় এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ডিগ্রি কলেজ ও নবাবগঞ্জ মহিলা কলেজ। উৎসবে যোগ দেয় ওই সব উপজেলার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ করান বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলমাজ উদ্দিন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রিয় দেশকে বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের দিনাজপুর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক আসাদুল্লা হাবিব খান, এ এস এম আলমগীর, মো. সারোয়ার রাশেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বন্ধুসভার ওমর ফারুক।
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): সকালে বেলুন উড়িয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (ভারপ্রাপ্ত) ফৌজিয়া নাজমা বেগম। পরে তিনি শপথবাক্য পাঠ করান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন ম নাজিম উদ্দীন, প্রথম আলোর ব্র্যান্ড অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন-প্রধান অরূপ কুমার ঘোষ, গ্রামীণফোনের চাঁদপুর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক আহসান হাবিব ও বন্ধুসভার মোস্তাফিজুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন গৌরাঙ্গ দেবনাথ।
উৎসবে অংশ নেওয়া ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো: নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নবীনগর সরকারি কলেজ, নবীনগর মহিলা কলেজ, নবীনগর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, সলিমগঞ্জ কলেজ, খাগাতুয়া তোফায়েল আলী কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলাচং উচ্চবিদ্যালয়, ইব্রাহিমপুর উচ্চবিদ্যালয়, জিনোদপুর ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়, ফতেপুর কেজি উচ্চবিদ্যালয়, লাউর ফতেহপুর আরএনটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নারায়ণপুর ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা, ইব্রাহিমপুর শাহ্ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ সিনিয়র মাদ্রাসা ও নবীনগর হযরত আমেনা পৌর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা।
আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হয় নবীনগর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসান নাজিব মাহমুদ।
মংলা (বাগেরহাট): সকাল থেকে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে মংলা কলেজে জড়ো হতে থাকে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। উদ্বোধন করে স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংসদ হাবিবুন নাহার। শপথবাক্য পাঠ করান মংলা কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের মংলা-রামপালের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. আমিনুল ইসলাম, সুমেল সারাফাত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দীপ সরকার।
অংশ নেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো: মংলা কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, মংলা বন্দর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, টি এ ফারুক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেন্ট পলস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মংলা বালিকা বিদ্যালয়, শিরিয়া বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, হলদিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছবেদ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হয় মংলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অমিত কুমার।
লালপুর (নাটোর): প্রতিযোগিতায় ১৬টি বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো: লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, গৌরীপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুল, ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, বালিতিতা ইসলামপুর আশরাফুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা, মঞ্জিলপুকুর উচ্চবিদ্যালয়, বালিতিতা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, রাকসা উচ্চবিদ্যালয়, বিলমাড়ীয়া উচ্চবিদ্যালয়, মোহরকয়া ডিগ্রি কলেজ, গোপালপুর ডিগ্রি কলেজ, লালপুর ডিগ্রি কলেজ, মঞ্জিলপুকুর কৃষি, কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়, গোপালপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ এবং মাজার শরীফ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট উইমেন্স কলেজ।
অনুষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ করান লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মেধা-মননে জাতিকে সমৃদ্ধ করতে হলে গ্রামপর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ ও সহজলভ্য করতে হবে।’
বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের রাজশাহী অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী আবদুল্লাহ আল মামুন, ইমাম হাসান ও বন্ধুসভার জালাল উদ্দীন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা মো. সারোয়ার পারভেজ, বন্ধুসভার আবু তাহের ও নাহিদ মণ্ডল।
আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হয় নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আল রাশেদীন কাওসার।
এ বছর সারা দেশে ১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ইন্টারনেট উৎসব হচ্ছে। গ্রামীণফোন ও প্রথম আলোর যৌথ আয়োজনে এই উৎসবের সহযোগী হিসেবে রয়েছে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি। সহায়তা দিচ্ছে গুগল, অপেরা, নকিয়া, ফেসবুক, চ্যানেল আই ও রেডিও ফুর্তি। উৎসবের ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করছে এশিয়াটিক ইভেন্ট মার্কেটিং লিমিটেড।
আজ একটি স্থানে: আজ শুক্রবার ইন্টারনেট উৎসব হবে শুধু নড়াইলের লোহাগড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে।
একই কথা বলেছে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বাংলা হিলি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অন্তর রাজা শেখ। আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হওয়ার পর সে বলে, ‘তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আমরাও একদিন এ বিশ্বকে জয় করব।’
‘এসো পৃথিবীর পাঠশালায়...’—বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আহ্বান জানিয়ে গতকাল ইন্টারনেট উৎসব হয় পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এগুলো হলো: গোয়ালন্দের কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ, দিনাজপুরের বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বাগেরহাটের মংলা কলেজ ও নাটোরের লালপুর উপজেলার শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়।
সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসব শুরু হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ জনকে আই-জিনিয়াস প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হয়ে একজন পায় পদক ও প্রথম আলোর উপহার। অন্য নয়জনকে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। উৎসবের কেন্দ্রপ্রধানকে দেওয়া হয় একটি ঘড়ি ও প্রথম আলোর লোগোসংবলিত একটি মগ।
যেসব শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেনি, তাদের জন্য ছিল হ্যাপিনেস মেশিন, ম্যাজিক মিরর ও এক্সপেরিয়েন্স জোন। কেন্দ্রগুলোতে ছিল প্রথম আলো, গ্রামীণফোন, নকিয়া, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের স্টল।
উৎসবের খবর জানাচ্ছেন ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী): উৎসবে অংশ নেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো: গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ, রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজ, গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, প্রপার হাইস্কুল, জামতলা উচ্চবিদ্যালয়, শাহজদ্দিন মণ্ডল ইনস্টিটিউট, দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল, গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুল, চৌধুরী আবদুল হামিদ একাডেমি ও চৌধুরী মাহাবুব হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হয় কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ইনতিসার আউয়াল।
এর আগে ঢাকা বন্ধুসভার হাসান ইমাম ও গ্রামীণফোনের মীর আবু সায়েমের উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা আবদুল কাদের শেখ, গ্রামীণফোনের রাজবাড়ীর আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. ফারহানুজ্জামান খান, আউয়াল আনোয়ার, এম রাশেদুল হক, বন্ধুসভার সভাপতি প্রণব ঘোষ ও গত বছরের আই-জিনিয়াস গোলাম সাইফুল্লাহ।
বিরামপুর (দিনাজপুর): বিরামপুর উপজেলা ছাড়াও পাশের হাকিমপুর, ফুলবাড়ী ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো: বিরামপুর উপজেলার বিরামপুর ডিগ্রি কলেজ, বিরামপুর মহিলা কলেজ, বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও আদর্শ স্কুল, হাকিমপুর উপজেলার হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও বাংলা হিলি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, ফুলবাড়ী উপজেলার শহীদ সঞ্চৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ ও সুজাপুর উচ্চবিদ্যালয় এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ডিগ্রি কলেজ ও নবাবগঞ্জ মহিলা কলেজ। উৎসবে যোগ দেয় ওই সব উপজেলার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ করান বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলমাজ উদ্দিন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রিয় দেশকে বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের দিনাজপুর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক আসাদুল্লা হাবিব খান, এ এস এম আলমগীর, মো. সারোয়ার রাশেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বন্ধুসভার ওমর ফারুক।
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): সকালে বেলুন উড়িয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (ভারপ্রাপ্ত) ফৌজিয়া নাজমা বেগম। পরে তিনি শপথবাক্য পাঠ করান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন ম নাজিম উদ্দীন, প্রথম আলোর ব্র্যান্ড অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন-প্রধান অরূপ কুমার ঘোষ, গ্রামীণফোনের চাঁদপুর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক আহসান হাবিব ও বন্ধুসভার মোস্তাফিজুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন গৌরাঙ্গ দেবনাথ।
উৎসবে অংশ নেওয়া ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো: নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নবীনগর সরকারি কলেজ, নবীনগর মহিলা কলেজ, নবীনগর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, সলিমগঞ্জ কলেজ, খাগাতুয়া তোফায়েল আলী কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলাচং উচ্চবিদ্যালয়, ইব্রাহিমপুর উচ্চবিদ্যালয়, জিনোদপুর ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়, ফতেপুর কেজি উচ্চবিদ্যালয়, লাউর ফতেহপুর আরএনটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নারায়ণপুর ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা, ইব্রাহিমপুর শাহ্ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ সিনিয়র মাদ্রাসা ও নবীনগর হযরত আমেনা পৌর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা।
আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হয় নবীনগর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসান নাজিব মাহমুদ।
মংলা (বাগেরহাট): সকাল থেকে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে মংলা কলেজে জড়ো হতে থাকে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। উদ্বোধন করে স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংসদ হাবিবুন নাহার। শপথবাক্য পাঠ করান মংলা কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের মংলা-রামপালের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. আমিনুল ইসলাম, সুমেল সারাফাত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দীপ সরকার।
অংশ নেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো: মংলা কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, মংলা বন্দর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, টি এ ফারুক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেন্ট পলস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মংলা বালিকা বিদ্যালয়, শিরিয়া বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, হলদিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছবেদ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হয় মংলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অমিত কুমার।
লালপুর (নাটোর): প্রতিযোগিতায় ১৬টি বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো: লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, গৌরীপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস হাইস্কুল, ওয়ালিয়া হাকিমুন্নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, বালিতিতা ইসলামপুর আশরাফুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা, মঞ্জিলপুকুর উচ্চবিদ্যালয়, বালিতিতা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, রাকসা উচ্চবিদ্যালয়, বিলমাড়ীয়া উচ্চবিদ্যালয়, মোহরকয়া ডিগ্রি কলেজ, গোপালপুর ডিগ্রি কলেজ, লালপুর ডিগ্রি কলেজ, মঞ্জিলপুকুর কৃষি, কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়, গোপালপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ এবং মাজার শরীফ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট উইমেন্স কলেজ।
অনুষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ করান লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মেধা-মননে জাতিকে সমৃদ্ধ করতে হলে গ্রামপর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ ও সহজলভ্য করতে হবে।’
বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের রাজশাহী অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী আবদুল্লাহ আল মামুন, ইমাম হাসান ও বন্ধুসভার জালাল উদ্দীন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা মো. সারোয়ার পারভেজ, বন্ধুসভার আবু তাহের ও নাহিদ মণ্ডল।
আই-জিনিয়াস নির্বাচিত হয় নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আল রাশেদীন কাওসার।
এ বছর সারা দেশে ১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ইন্টারনেট উৎসব হচ্ছে। গ্রামীণফোন ও প্রথম আলোর যৌথ আয়োজনে এই উৎসবের সহযোগী হিসেবে রয়েছে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি। সহায়তা দিচ্ছে গুগল, অপেরা, নকিয়া, ফেসবুক, চ্যানেল আই ও রেডিও ফুর্তি। উৎসবের ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করছে এশিয়াটিক ইভেন্ট মার্কেটিং লিমিটেড।
আজ একটি স্থানে: আজ শুক্রবার ইন্টারনেট উৎসব হবে শুধু নড়াইলের লোহাগড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে।
No comments