জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা সুবহান গ্রেফতার- পাবনায় শিবির-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ২০
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির মওলানা আব্দুস সুবহানকে গ্রেফতার করা করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় দিকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্ত গোলচত্বর এলাকা থেকে তাকে প্রথমে একটি গোয়েন্দা সংস্থা আটক করে।
দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে তাকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় সোপর্দ করা হয়। পাবনা সদর থানায় বিগত ২০০৩ সালে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় আব্দুস সুবহানসহ ৩০জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় আব্দুস সুবহান ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, এই গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে পাবনায় শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।
গোয়েন্দা সূত্র, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুছ আলী মিয়া জানান, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির মওলানা আব্দুস সুবহান বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা থেকে নিজ গাড়িযোগে বের হয়ে পাবনার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তার দুই ছেলে নেছার আহম্মেদ নান্নু ও মুজাহিদ সঙ্গে ছিলেন। মুজাহিদ বলেন, একটি মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য ভোরে আমরা বাসা থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে বের হই।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আব্দুস সুবহান দুই ছেলে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে এমন খবর পায় সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর থেকেই তারা সুবহানের গাড়ির গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল। গোয়েন্দা সংস্থা তার গাড়ি নজরদারি করছে বুঝতে পারে আব্দুস সুবহান। তাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে তার গাড়ি গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে ভুঞাপুরের গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রোডে ঢুকে পড়ে। সেখানে তার গাড়িটি এক ঘণ্টা ঘোড়াঘুরির পর সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বহন করা জিপটি আবার বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় আসে। এ সময় পূর্ব থেকে অবস্থান নেয়া গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, র্যাব ও পুলিশ তাকে আটক করে। পরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেতুর টোল প্লুাজার একটি কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে উক্ত গোয়েন্দা সংস্থা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় তাকে সোপর্দ করে। এরপর সুববহানের ছেলে মুজাহিদ ও গাড়ির চালককে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। অপর ছেলে নেছার আহম্মেদ নান্নু পিতার সঙ্গেই থানায় অবস্থান নেয়। তবে তাকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছেন। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাবনা জেলা পুলিশের কাছে আব্দুস সুবহানকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা থেকে জানান, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সুবহানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে জামায়াত শিবিরের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শহরের দই বাজার মোড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংঘর্ষে তিন সাংবাদিক ও তিন পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক শিবির ক্যাডারকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস সুবহান টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার হলে জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীরা দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে শহরের চাঁপা মসজিদ মোড় এলাকা থেকে আকস্মিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে ।
এ সময় মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে সরকার বিরোধী বিভিন্ন সেøাগানসহ গ্রেফতার হওয়া জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও মাওলানা আব্দুস সুবহানের মুক্তির দাবি করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোড প্রদক্ষিণ করে দই বাজার মোড় অতিক্রমকালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করলে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মি ও সমর্থকদের সংঘর্ষ বাঁধে।
এদিকে, এই গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে পাবনায় শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।
গোয়েন্দা সূত্র, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুছ আলী মিয়া জানান, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির মওলানা আব্দুস সুবহান বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা থেকে নিজ গাড়িযোগে বের হয়ে পাবনার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তার দুই ছেলে নেছার আহম্মেদ নান্নু ও মুজাহিদ সঙ্গে ছিলেন। মুজাহিদ বলেন, একটি মামলায় হাজিরা দেয়ার জন্য ভোরে আমরা বাসা থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে বের হই।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আব্দুস সুবহান দুই ছেলে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে এমন খবর পায় সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর থেকেই তারা সুবহানের গাড়ির গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল। গোয়েন্দা সংস্থা তার গাড়ি নজরদারি করছে বুঝতে পারে আব্দুস সুবহান। তাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে তার গাড়ি গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে ভুঞাপুরের গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রোডে ঢুকে পড়ে। সেখানে তার গাড়িটি এক ঘণ্টা ঘোড়াঘুরির পর সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বহন করা জিপটি আবার বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় আসে। এ সময় পূর্ব থেকে অবস্থান নেয়া গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, র্যাব ও পুলিশ তাকে আটক করে। পরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেতুর টোল প্লুাজার একটি কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে উক্ত গোয়েন্দা সংস্থা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় তাকে সোপর্দ করে। এরপর সুববহানের ছেলে মুজাহিদ ও গাড়ির চালককে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। অপর ছেলে নেছার আহম্মেদ নান্নু পিতার সঙ্গেই থানায় অবস্থান নেয়। তবে তাকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছেন। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাবনা জেলা পুলিশের কাছে আব্দুস সুবহানকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা থেকে জানান, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সুবহানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে জামায়াত শিবিরের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শহরের দই বাজার মোড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংঘর্ষে তিন সাংবাদিক ও তিন পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক শিবির ক্যাডারকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস সুবহান টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার হলে জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীরা দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে শহরের চাঁপা মসজিদ মোড় এলাকা থেকে আকস্মিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে ।
এ সময় মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে সরকার বিরোধী বিভিন্ন সেøাগানসহ গ্রেফতার হওয়া জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও মাওলানা আব্দুস সুবহানের মুক্তির দাবি করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোড প্রদক্ষিণ করে দই বাজার মোড় অতিক্রমকালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করলে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মি ও সমর্থকদের সংঘর্ষ বাঁধে।
No comments