শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বিভক্তি
শিশু ও সশস্ত্র সংঘাতের তদন্তে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদে। গত বুধবার প্রস্তাবটির ওপর ভোটাভুটি হয়। পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১১ সদস্য প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিলেও বিরত থেকেছে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও আজারবাইজান।
তাদের আশঙ্কা, শিশু ও সশস্ত্র সংঘাতের তদন্ত করতে গিয়ে অন্যান্য বিষয়েও তারা তদন্ত করবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের শিশু ও সশস্ত্র সংঘাতবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি লেইলা জেরুগিকে সশস্ত্র সংঘাতের তদন্তের ক্ষমতা অর্পণের প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হলে পরিষদের ১১ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু এটি উত্থাপনের আগেই জেরুগির কাজের পরিধি সম্পর্কে স্পষ্ট বিবরণ প্রস্তাবনায় রাখার আহ্বান জানিয়েছিল চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও আজারবাইজান। কিন্তু তা না করায় ভোটদান থেকে বিরত থাকে এই চার দেশ। রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত সেরগেই কারেভ বলেন, 'সশস্ত্র সহিংসতার মধ্যে শিশুসংক্রান্ত সব বিষয় প্রতিনিধির কাজের পরিধির মধ্যে পড়ে না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এজেন্ডার মধ্যে যেগুলো পড়ে, শুধু সেগুলো তারা তদন্ত করতে পারবে।'
জাতিসংঘ দূত জেরুগির কাজ হচ্ছে, সহিংসতার সময় শিশু অধিকার রক্ষা করা এবং যুদ্ধের সময় যেসব দেশ ও গোষ্ঠী শিশুদের হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ বা শিশুদের সেনা হিসেবে ব্যবহারের সঙ্গে জড়িত, তাদের শনাক্ত করা। সহিংসতাকবলিত ২৩টি দেশে তদন্ত করে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত সম্প্রতি শিশু ও সশস্ত্র যুদ্ধের ওপর একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬টি দেশে তদন্ত নিরাপত্তা পরিষদের কার্যসূচির আওতায় রয়েছে। বাকি সাতটি আওতার বাইরে। এই সাতটি দেশ হচ্ছে কলম্বিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ইয়েমেন।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি বাওদং বলেন, 'পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে সশস্ত্র সংঘাতের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলার একতরফা ক্ষমতা নিরাপত্তা পরিষদকে দেওয়া হয়নি। সমস্যা এবং বাধা সৃষ্টি না করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত পাকিস্তানকে জঙ্গি দমনে আরো সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়া।'
তবে মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে, রাশিয়া, চীন, আজারবাইজান ও পাকিস্তান বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে। সূত্র : রয়টার্স।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের শিশু ও সশস্ত্র সংঘাতবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি লেইলা জেরুগিকে সশস্ত্র সংঘাতের তদন্তের ক্ষমতা অর্পণের প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হলে পরিষদের ১১ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু এটি উত্থাপনের আগেই জেরুগির কাজের পরিধি সম্পর্কে স্পষ্ট বিবরণ প্রস্তাবনায় রাখার আহ্বান জানিয়েছিল চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও আজারবাইজান। কিন্তু তা না করায় ভোটদান থেকে বিরত থাকে এই চার দেশ। রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত সেরগেই কারেভ বলেন, 'সশস্ত্র সহিংসতার মধ্যে শিশুসংক্রান্ত সব বিষয় প্রতিনিধির কাজের পরিধির মধ্যে পড়ে না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এজেন্ডার মধ্যে যেগুলো পড়ে, শুধু সেগুলো তারা তদন্ত করতে পারবে।'
জাতিসংঘ দূত জেরুগির কাজ হচ্ছে, সহিংসতার সময় শিশু অধিকার রক্ষা করা এবং যুদ্ধের সময় যেসব দেশ ও গোষ্ঠী শিশুদের হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ বা শিশুদের সেনা হিসেবে ব্যবহারের সঙ্গে জড়িত, তাদের শনাক্ত করা। সহিংসতাকবলিত ২৩টি দেশে তদন্ত করে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত সম্প্রতি শিশু ও সশস্ত্র যুদ্ধের ওপর একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬টি দেশে তদন্ত নিরাপত্তা পরিষদের কার্যসূচির আওতায় রয়েছে। বাকি সাতটি আওতার বাইরে। এই সাতটি দেশ হচ্ছে কলম্বিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ইয়েমেন।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি বাওদং বলেন, 'পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে সশস্ত্র সংঘাতের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলার একতরফা ক্ষমতা নিরাপত্তা পরিষদকে দেওয়া হয়নি। সমস্যা এবং বাধা সৃষ্টি না করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত পাকিস্তানকে জঙ্গি দমনে আরো সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়া।'
তবে মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে, রাশিয়া, চীন, আজারবাইজান ও পাকিস্তান বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে। সূত্র : রয়টার্স।
No comments