‘পরবর্তী প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে এগিয়ে নেয়াই সরকারের দায়িত্ব’
স্টাফ রিপোর্টার: পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ পুনর্বিবেচনার বিষয়টিতে বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ইতিবাচক সমঝোতা হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এ বিষয়ে মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সমঝোতা হয়েছে এটি সুসংবাদ। তবে এখনও কিছুটা পথ বাকি। সমঝোতার জায়গাটি ধরে রেখে পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো যতো দ্রুত সমাধান করা যাবে ততো মঙ্গল। বাকি প্রক্রিয়াগুলো এগিয়ে নিতে এখন আমাদের পরিস্কারভাবে মনস্থির করে এগোতে হবে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এর একটি পক্রিয়াগত কাঠামো সমঝোতার মধ্যে আছে বলেই মনে হয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছা ও স্বচ্ছতা দৃশ্যমান থাকলেই কাজে অগ্রগতি হবে।বিশিষ্ট এ অর্থনীতিবিদ বলেন, অভ্যন্তরীন রাজনীতির কারণে একভাবে কথা বলা আর আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও কুটনৈতির জন্য অন্য ভঙ্গিতে কথা বলা, কাজেকর্মে এ ধরনের বিভ্রান্তি ও অসঙ্গতি দুর করতে পারলে একদিকে যেমন আমাদের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হবে তেমনি সেতু বাস্তবায়নও দ্রুত এবং সহজ হবে। তিনি বলেন, সমঝোতায় আসার ক্ষেত্রে দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হয়েছে। ঋণচুক্তিটি বাতিল করা বিশ্বব্যাংকের জন্য যেমন অতিরিক্ত কঠিন ছিল এই উপলব্ধিও তারা করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের ন্যায়সঙ্গত ঋণপ্রাপ্তির বিষয়ে তাদের সহানুভুতি ছিল এটিও বলা যায়। এর কারণ এ ধরনের বড় প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ঋণ বাতিল করার পর তা পুনরুজ্জীবিত করার নজির খুব বেশি নেই।তিনি বলেন, সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়াটি যার দোষেই হোক থমকে গিয়েছিল। এখন আবার আরও পিছন থেকে শুরু করতে হবে। কারণ ঋণ চুক্তিটি নতুন করে অনুমোদন করার প্রয়োজন হবে। সেতু কখন কার সময়ে হবে এ ধরনের রাজনৈতিক বিতর্কে না গিয়ে এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে সরকারের দায়িত্ব।
No comments