ইসলাম অবমাননা বিশ্বে অশান্তিই বয়ে আনবে by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র 'দ্য ইনোসেন্স অব মুসলিমসে'র প্রতিবাদে সারাবিশ্বে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিতর্কিত এই সিনেমা নিয়ে উত্তাল বিশ্ব পরিস্থিতি শান্ত না হতেই গত বুধবার ফরাসি ম্যাগাজিন 'শার্লি হেবদো' মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র ছাপিয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ফ্রান্স সরকার ২০ দেশে তাদের দূতাবাসে ছুটি ঘোষণা করেছে। এ ঘটনা যে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে তা বলা যায় নিঃসন্দেহে। বিভিন্ন দেশের সরকার ওই সিনেমার ট্রেইলর প্রকাশের দায়ে সাময়িকভাবে ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছে। সিনেমায় হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) ব্যক্তিগত চরিত্রে কালিমা লেপন করা হয়েছে অত্যন্ত জঘন্যভাবে। সিনেমায় হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) সম্মানিত স্ত্রী এবং সাহাবীদেরও বিকৃত করা হয়েছে। ফলে এই সিনেমা মুসলমানের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
ইহুদি-খ্রিস্টানদের সঙ্গে মুসলমানদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তাদের ইসলামবিদ্বেষ এবং মুসলিমবিরোধী অবস্থান, প্রচারণা ও কর্মকাণ্ড খোদ ইহুদি-খ্রিস্টান ঐতিহাসিকরাও স্বীকার করে থাকেন। আলোচিত সিনেমা তারই একটি উদাহরণ। এই সিনেমা যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বানানো হয়েছে তা স্বীকার করেছেন পরিচালক নিজে। এ ছাড়া ছবির কলাকুশলীরা জানিয়েছেন, তারা প্রতারণার শিকার। ছবিটি নির্মাণকালে নবীকে নিয়ে কোনো দৃশ্য বা সংলাপ ছিল না। পরে ডাবিংয়ের মাধ্যমে এসব যুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে আত্মগোপনে থাকা এই নির্মাতা বলেন, 'এটি একটি রাজনৈতিক চলচ্চিত্র। আমেরিকা ইসলামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে নেমে হাজার হাজার ডলার খরচ করেছে। কিন্তু আমরা যুদ্ধ করছি নতুন নতুন ধারণা দিয়ে। এই ছবি আমার জাতির (ইহুদি) পক্ষ থেকে মুসলিমদের খুঁত ধরতে সহায়তা করবে।' এ ছাড়া সে ইসলামকে বারবার ক্যান্সার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। একটি মহান ধর্ম ও মহামানবকে কলঙ্কিত করা এবং মুসলিমবিরোধী ক্রোধকে উসকে দেওয়ার জন্যই এই সিনেমা তৈরি করা হয়েছে। এটা বিশ্ব শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি। কোনো সভ্য ও বিবেকবান মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। ফলে সিনেমা নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি। আমরা এ ধরনের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) একজন পূত-পবিত্র মানুষ। তার জীবনের কোথাও কোনো কালিমা নেই। তিনি সকলের আদর্শ ও বিশ্ববাসীর জন্য রহমত। তার জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে শুধুই শান্তি, দয়া, সত্যবাদিতা, বিশ্বস্ততা, সহানুভূতি, সহমর্মিতা, প্রজ্ঞা, ক্ষমা এবং মহানুভবতার পরিচয় পাওয়া যায়। সেই নবীজিকে কটাক্ষ করে কখনও তলোয়ার হাতে কার্টুন তৈরি করা হয়, কখনও চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়। যে মানুষটি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গাছপালা, পশু এমনকি ক্ষুদ্র পিঁপড়ার প্রতিও সহানুভূতিশীল হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন, যিনি প্রতিবেশী যেন ক্ষুধার্ত না থাকে সে জন্য তরকারিতে ঝোল বেশি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে এমন অপবাদ কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেছেন, সাদা বা কালো, ভৃত্য বা মালিক কেউ কারও চেয়ে বড় নয়, নিজে আরব হয়ে বলেছেন, আরব অনারবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। এমন একজন মহামানবকে নিয়ে যে ছবি নির্মাণ করা হয়েছে, তা চরম মিথ্যাচার, অবমাননাকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। নবীকে অবমাননা করা হলে কোনো মুমিন-মুসলমান চুপ করে বসে থাকতে পারে না। কিন্তু প্রতিবাদ হবে নবীর দেখিয়ে দেওয়া পথেই।
মুমিন মাত্রই হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) প্রতি ভালোবাসা পোষণ করে থাকে। নবীর প্রতি মহব্বত রাখা ইমানের অপরিহার্য অংশও বটে। এ মহব্বত ও ভালোবাসা কেবল আবেগের বিষয় নয়, দ্বীন ও ইমানের বিষয়। আল্লাহ ও তার রাসূলের (সা.) আদেশ সমর্পিত চিত্তে মেনে নেওয়া ইমানের আলামত। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, 'হে নবী! নিশ্চয় আমিই আপনাকে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্যদাতা ও সুসংবাদবাহক এবং সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি। যাতে তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের ওপর ইমান আনবে। তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করবে। তার প্রতি আদব-সম্মান-শ্রদ্ধা দেখাবে এবং সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করবে।'-সূরা আল ফাতহ : ৯
এ প্রসঙ্গে হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা থেকে, পুত্র থেকে এবং সব মানুষ থেকে অধিক প্রিয় না হই।'_বুখারি শরিফ
কোরআন ও হাদিসের এই নির্দেশনা যুগে যুগে মুমিনের চেতনাকে জাগ্রত রেখেছে। তারা আল্লাহর নবীকে প্রাণের চেয়েও অধিক ভালোবেসেছেন এবং তার আনুগত্য করেছেন। অন্যদিকে ইমানহারা কিছু লোক আল্লাহর নবীকে ত্যাগ করেছে। তারা বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নবীর বিরোধিতা করেছে ও করে যাচ্ছে। তাই ইসলামবিরোধীদের রাসূল অবমাননা ও ব্যঙ্গ করার ঘটনা নতুন নয়। আর তাদের পরিণতিও কারও অজানা নয়। হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) যুগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং নবীপ্রেমিক সাহাবীরা তার জবাব দিয়েছেন।
ইদানীংকালে কোরআনে কারিমের কপি পোড়ানো, রাসূলকে ব্যঙ্গ করে কার্টুন প্রকাশসহ ইসলামকে অবজ্ঞা করে লেখা ও বক্তব্য প্রদানের ঘটনা বেড়েই চলছে। এর কারণও সবার জানা। ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো দুনিয়ার বুক থেকে ইসলামকে উৎখাত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এহেন পরিস্থিতিতে মুসলমানের পা ফেলতে হবে খুব বুঝেশুনে, ধীরস্থীরভাবে। তাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কাজকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। নিয়মতান্ত্রিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবাদ জানাতে হবে। ইসলাম সমর্থন করে না_ এমন কোনো কাজে জড়ানো যাবে না। মনে রাখতে হবে, তারা হাজারো ফাঁদ তৈরি করে রেখেছে। কোনো অবস্থাতেই তাদের পাতা ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না। তাই বিশ্বব্যাপী দায়িত্বশীল প্রত্যেক মুসলমানকে যার যার অবস্থান থেকে ইসলামের নান্দনিক সৌন্দর্য কথা ও কাজের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে। হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) সুন্দর চরিত্রকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে। গণমাধ্যমে ইসলামের পক্ষে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। সব ধরনের প্রচার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে ইসলামের পক্ষে। অন্যায়, অসত্য ও অনৈতিক প্রচারণাকে ধৈর্য ও সত্য দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। শুধু মিটিং-মিছিল, বিবৃতি আর সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করেই আত্মতৃপ্তিতে ভুগলে চলবে না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রত্যেক শাখায় পারদর্শিতা অর্জন করে প্রমাণ করতে হবে, মুসলমানরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি; সহিষ্ণুতা তাদের গায়ের পোশাক। ধৈর্য তাদের মাথার মুকুট। ঐক্যবদ্ধতা তাদের চলার পাথেয়।
muftianaet@gmail.com
ইহুদি-খ্রিস্টানদের সঙ্গে মুসলমানদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তাদের ইসলামবিদ্বেষ এবং মুসলিমবিরোধী অবস্থান, প্রচারণা ও কর্মকাণ্ড খোদ ইহুদি-খ্রিস্টান ঐতিহাসিকরাও স্বীকার করে থাকেন। আলোচিত সিনেমা তারই একটি উদাহরণ। এই সিনেমা যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বানানো হয়েছে তা স্বীকার করেছেন পরিচালক নিজে। এ ছাড়া ছবির কলাকুশলীরা জানিয়েছেন, তারা প্রতারণার শিকার। ছবিটি নির্মাণকালে নবীকে নিয়ে কোনো দৃশ্য বা সংলাপ ছিল না। পরে ডাবিংয়ের মাধ্যমে এসব যুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে আত্মগোপনে থাকা এই নির্মাতা বলেন, 'এটি একটি রাজনৈতিক চলচ্চিত্র। আমেরিকা ইসলামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে নেমে হাজার হাজার ডলার খরচ করেছে। কিন্তু আমরা যুদ্ধ করছি নতুন নতুন ধারণা দিয়ে। এই ছবি আমার জাতির (ইহুদি) পক্ষ থেকে মুসলিমদের খুঁত ধরতে সহায়তা করবে।' এ ছাড়া সে ইসলামকে বারবার ক্যান্সার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। একটি মহান ধর্ম ও মহামানবকে কলঙ্কিত করা এবং মুসলিমবিরোধী ক্রোধকে উসকে দেওয়ার জন্যই এই সিনেমা তৈরি করা হয়েছে। এটা বিশ্ব শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি। কোনো সভ্য ও বিবেকবান মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। ফলে সিনেমা নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি। আমরা এ ধরনের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) একজন পূত-পবিত্র মানুষ। তার জীবনের কোথাও কোনো কালিমা নেই। তিনি সকলের আদর্শ ও বিশ্ববাসীর জন্য রহমত। তার জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে শুধুই শান্তি, দয়া, সত্যবাদিতা, বিশ্বস্ততা, সহানুভূতি, সহমর্মিতা, প্রজ্ঞা, ক্ষমা এবং মহানুভবতার পরিচয় পাওয়া যায়। সেই নবীজিকে কটাক্ষ করে কখনও তলোয়ার হাতে কার্টুন তৈরি করা হয়, কখনও চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়। যে মানুষটি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গাছপালা, পশু এমনকি ক্ষুদ্র পিঁপড়ার প্রতিও সহানুভূতিশীল হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন, যিনি প্রতিবেশী যেন ক্ষুধার্ত না থাকে সে জন্য তরকারিতে ঝোল বেশি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে এমন অপবাদ কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেছেন, সাদা বা কালো, ভৃত্য বা মালিক কেউ কারও চেয়ে বড় নয়, নিজে আরব হয়ে বলেছেন, আরব অনারবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। এমন একজন মহামানবকে নিয়ে যে ছবি নির্মাণ করা হয়েছে, তা চরম মিথ্যাচার, অবমাননাকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। নবীকে অবমাননা করা হলে কোনো মুমিন-মুসলমান চুপ করে বসে থাকতে পারে না। কিন্তু প্রতিবাদ হবে নবীর দেখিয়ে দেওয়া পথেই।
মুমিন মাত্রই হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) প্রতি ভালোবাসা পোষণ করে থাকে। নবীর প্রতি মহব্বত রাখা ইমানের অপরিহার্য অংশও বটে। এ মহব্বত ও ভালোবাসা কেবল আবেগের বিষয় নয়, দ্বীন ও ইমানের বিষয়। আল্লাহ ও তার রাসূলের (সা.) আদেশ সমর্পিত চিত্তে মেনে নেওয়া ইমানের আলামত। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, 'হে নবী! নিশ্চয় আমিই আপনাকে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্যদাতা ও সুসংবাদবাহক এবং সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি। যাতে তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের ওপর ইমান আনবে। তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করবে। তার প্রতি আদব-সম্মান-শ্রদ্ধা দেখাবে এবং সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করবে।'-সূরা আল ফাতহ : ৯
এ প্রসঙ্গে হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা থেকে, পুত্র থেকে এবং সব মানুষ থেকে অধিক প্রিয় না হই।'_বুখারি শরিফ
কোরআন ও হাদিসের এই নির্দেশনা যুগে যুগে মুমিনের চেতনাকে জাগ্রত রেখেছে। তারা আল্লাহর নবীকে প্রাণের চেয়েও অধিক ভালোবেসেছেন এবং তার আনুগত্য করেছেন। অন্যদিকে ইমানহারা কিছু লোক আল্লাহর নবীকে ত্যাগ করেছে। তারা বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নবীর বিরোধিতা করেছে ও করে যাচ্ছে। তাই ইসলামবিরোধীদের রাসূল অবমাননা ও ব্যঙ্গ করার ঘটনা নতুন নয়। আর তাদের পরিণতিও কারও অজানা নয়। হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) যুগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং নবীপ্রেমিক সাহাবীরা তার জবাব দিয়েছেন।
ইদানীংকালে কোরআনে কারিমের কপি পোড়ানো, রাসূলকে ব্যঙ্গ করে কার্টুন প্রকাশসহ ইসলামকে অবজ্ঞা করে লেখা ও বক্তব্য প্রদানের ঘটনা বেড়েই চলছে। এর কারণও সবার জানা। ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো দুনিয়ার বুক থেকে ইসলামকে উৎখাত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এহেন পরিস্থিতিতে মুসলমানের পা ফেলতে হবে খুব বুঝেশুনে, ধীরস্থীরভাবে। তাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কাজকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। নিয়মতান্ত্রিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবাদ জানাতে হবে। ইসলাম সমর্থন করে না_ এমন কোনো কাজে জড়ানো যাবে না। মনে রাখতে হবে, তারা হাজারো ফাঁদ তৈরি করে রেখেছে। কোনো অবস্থাতেই তাদের পাতা ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না। তাই বিশ্বব্যাপী দায়িত্বশীল প্রত্যেক মুসলমানকে যার যার অবস্থান থেকে ইসলামের নান্দনিক সৌন্দর্য কথা ও কাজের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে। হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) সুন্দর চরিত্রকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে। গণমাধ্যমে ইসলামের পক্ষে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। সব ধরনের প্রচার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে ইসলামের পক্ষে। অন্যায়, অসত্য ও অনৈতিক প্রচারণাকে ধৈর্য ও সত্য দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। শুধু মিটিং-মিছিল, বিবৃতি আর সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করেই আত্মতৃপ্তিতে ভুগলে চলবে না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রত্যেক শাখায় পারদর্শিতা অর্জন করে প্রমাণ করতে হবে, মুসলমানরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি; সহিষ্ণুতা তাদের গায়ের পোশাক। ধৈর্য তাদের মাথার মুকুট। ঐক্যবদ্ধতা তাদের চলার পাথেয়।
muftianaet@gmail.com
No comments