ফিরেছে বিশ্বব্যাংক- পদ্মা সেতু- ০ চুক্তি পুনর্বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের সম্মতি- ০ এডিবি ও জাইকাকে জানিয়ে দিয়েছে- ০ বাংলাদেশকে সম্মতিপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়ার জন্য নির্দেশ- ০ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে চিঠি পাওয়া যাবে- ০ বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে এটাই প্রথম by হামিদ-উদ-জামান মামুন
অবশেষে পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে অন্য দাতাদের অংশগ্রহণও নিশ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি দীর্ঘ প্রায় তিন মাসের রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির অবসান ঘটল। বিশ্বব্যাংক ও সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে এরকম ঘটনা এটিই প্রথম বলেও জানা গেছে। তবে এখন শুধু বহুল প্রত্যাশিত সেই ঘোষণাটির অপেক্ষা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন সরকার আগেভাগেই কিছু বলবে না। বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে ঘোষণার পরই আসবে সরকারী ঘোষণা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে উইমেন চেম্বারের এক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ফেরার বিষয়টি দেশের একটি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত এডিবি, জাইকাসহ অন্য দাতাদের জানিয়ে দিয়েছে তারা।
সংস্থাটির দেয়া চার শর্ত পূরণের পর বাতিল ঋণ চুক্তি পুনর্বিবেচনায় সম্মত হয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়াং কিম। তিনি চিঠি তৈরিরও নির্দেশনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। ঋণ চুক্তি পুনর্বিবেচনার এ চিঠিটি তৈরির প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের হাতে এসে পৌঁছাতে পারে আকাক্সিক্ষত বিশ্বব্যাংকের সেই চিঠি।
সূত্র জানায়, বুধবার রাতে ওয়াশিংটনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এ সময় তিনি এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং সর্বশেষ তাদের দেয়া চার শর্ত পূরণের কাগজপত্র জমা দেন এবং তাঁকে অবহিত করেন। সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ্যালেন গোল্ড স্টেইন, বিশ্বব্যাংকে নিযুক্ত বিকল্প সহকারী পরিচালক ড. মোহাম্মদ তারেক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আরস্তু খানসহ বিশ্বব্যাংকের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের এক উপদেষ্টা ওয়শিংটনে বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখান থেকে ইতিবাচক একটি খবর আমাদের কাছে এসেছে। বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা যে কোন মুহূর্তে হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ছুটিতে যাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুসহ সরকারের কোন আর্থিক বিষয়ে মসিউর রহমানের কোন সম্পৃক্ততা থাকবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমঝোতার জন্য সরকারের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকেও কিছু ছাড় দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক প্রথমে বলেছিল পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। আমরা বিষয়টি বার বার অস্বীকার করে তা তাদের কাছে তুলে ধরার পর তারা এখন সম্ভাব্য দুর্নীতির কথা বলছে। আমাদেরও কিছু বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
অন্যদিকে বহুল আলোচিত প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ঘনিষ্ঠজনরা বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইন্টেগ্রেটি এ্যাডভাইজার পদ থেকে বেশ আগেই সরে গেছেন ড. মসিউর রহমান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার পদ থেকে সরে যাননি। সরকার থেকে তাকে মুখ খুলতে নিষেধ করায় বিষয়টি তিনি পরিষ্কার করতে পারেননি।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার। এছাড়া অন্যান্য দাতা সংস্থার মধ্যে ওই বছরের ১৮ মে জাপানের জাইকার সঙ্গে, ২৪ মে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে এবং ৬ জুন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড় স্থগিত করলে অন্য দাতারাও তা স্থগিত করে।
অন্যদিকে বিশ্ব ব্যাংকের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের নানা পর্যায়ে তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম অংশ হচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রেসিডেন্টকে দিয়ে বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের সঙ্গে আলোচনা করাসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ভারত ও ব্রিটেনকে দিয়েও তদবির করা হয়। অবশেষে সব শর্ত পূরণ করেই রবিবার রাতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা দেন ড. গওহর রিজভী ও অপর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। ওয়াশিংটনে গিয়ে দেনদরবারের পর সফল হয়েছেন তাঁরা।
সূত্র জানায়, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে এডিবি ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং জাইকার ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলার, আইডিবির ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা রয়েছে। আর বিশ্বব্যাংকের দেয়ার কথা ছিল ১২০ কোটি টাকা। কিন্তু গত ২৯ জুন ঋণ চুক্তি বাতিল করে সংস্থাটি। এ চুক্তি বাতিলের পক্ষে বিশ্বব্যাংক যুক্তি দেখিয়েছে, এই প্রকল্পে বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ মিলেছে। ‘দুর্নীতির’ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হলেও এক্ষেত্রে যথাযথ সাড়া না পাওয়ায় প্রকল্পের অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে।
চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনেই সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ এবং সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
সংস্থাটির দেয়া চার শর্ত পূরণের পর বাতিল ঋণ চুক্তি পুনর্বিবেচনায় সম্মত হয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়াং কিম। তিনি চিঠি তৈরিরও নির্দেশনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। ঋণ চুক্তি পুনর্বিবেচনার এ চিঠিটি তৈরির প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের হাতে এসে পৌঁছাতে পারে আকাক্সিক্ষত বিশ্বব্যাংকের সেই চিঠি।
সূত্র জানায়, বুধবার রাতে ওয়াশিংটনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এ সময় তিনি এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং সর্বশেষ তাদের দেয়া চার শর্ত পূরণের কাগজপত্র জমা দেন এবং তাঁকে অবহিত করেন। সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ্যালেন গোল্ড স্টেইন, বিশ্বব্যাংকে নিযুক্ত বিকল্প সহকারী পরিচালক ড. মোহাম্মদ তারেক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আরস্তু খানসহ বিশ্বব্যাংকের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের এক উপদেষ্টা ওয়শিংটনে বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখান থেকে ইতিবাচক একটি খবর আমাদের কাছে এসেছে। বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা যে কোন মুহূর্তে হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ছুটিতে যাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুসহ সরকারের কোন আর্থিক বিষয়ে মসিউর রহমানের কোন সম্পৃক্ততা থাকবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমঝোতার জন্য সরকারের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকেও কিছু ছাড় দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক প্রথমে বলেছিল পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। আমরা বিষয়টি বার বার অস্বীকার করে তা তাদের কাছে তুলে ধরার পর তারা এখন সম্ভাব্য দুর্নীতির কথা বলছে। আমাদেরও কিছু বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
অন্যদিকে বহুল আলোচিত প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ঘনিষ্ঠজনরা বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইন্টেগ্রেটি এ্যাডভাইজার পদ থেকে বেশ আগেই সরে গেছেন ড. মসিউর রহমান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার পদ থেকে সরে যাননি। সরকার থেকে তাকে মুখ খুলতে নিষেধ করায় বিষয়টি তিনি পরিষ্কার করতে পারেননি।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার। এছাড়া অন্যান্য দাতা সংস্থার মধ্যে ওই বছরের ১৮ মে জাপানের জাইকার সঙ্গে, ২৪ মে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে এবং ৬ জুন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড় স্থগিত করলে অন্য দাতারাও তা স্থগিত করে।
অন্যদিকে বিশ্ব ব্যাংকের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের নানা পর্যায়ে তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম অংশ হচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রেসিডেন্টকে দিয়ে বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের সঙ্গে আলোচনা করাসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ভারত ও ব্রিটেনকে দিয়েও তদবির করা হয়। অবশেষে সব শর্ত পূরণ করেই রবিবার রাতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা দেন ড. গওহর রিজভী ও অপর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। ওয়াশিংটনে গিয়ে দেনদরবারের পর সফল হয়েছেন তাঁরা।
সূত্র জানায়, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে এডিবি ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং জাইকার ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলার, আইডিবির ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা রয়েছে। আর বিশ্বব্যাংকের দেয়ার কথা ছিল ১২০ কোটি টাকা। কিন্তু গত ২৯ জুন ঋণ চুক্তি বাতিল করে সংস্থাটি। এ চুক্তি বাতিলের পক্ষে বিশ্বব্যাংক যুক্তি দেখিয়েছে, এই প্রকল্পে বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ মিলেছে। ‘দুর্নীতির’ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হলেও এক্ষেত্রে যথাযথ সাড়া না পাওয়ায় প্রকল্পের অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে।
চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনেই সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ এবং সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
No comments