ওয়াশিংটন সফরে হিনা-আফগান সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
আফগানিস্তানে বিদ্যমান সমস্যার জন্য আংশিকভাবে পাকিস্তান দায়ী_এ ভুল ধারণাকে শোধরানোর প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। ওয়াশিংটনে মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে গত বুধবার তিনি এ কথা বলেন।
হিনা জানান, প্রতিবেশী দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তাঁরা।
চার দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। বুধবার ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে সিনেট গোয়েন্দা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তিনি। পাকিস্তানের দূতাবাসের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বৈঠককে 'মতামতের সরল বিনিময়' বলে অভিহিত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল হিনার। আজ শুক্রবার তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মার্কিন আইনপ্রণেতাদের হিনা বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা সম্পর্ক আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্ববহ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাকিস্তানিরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি এবং মূল্যায়ন চায়। আমাদের কাছে কোন বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে, কোনটি নিয়ে আমার উদ্বিগ্ন_যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে তা অনুধাবনের বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।' আফগানিস্তান প্রসঙ্গে হিনা বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা সত্যিকার অর্থেই ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে চায়। 'আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতা বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে পাকিস্তানের জন্য বড় হুমকি। আফগান সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকা রয়েছে। তবে আফগান সমস্যার একটি বড় অংশ পাকিস্তান_এটা ভুল ধারণা। এই ধারণা অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।' পাকিস্তানের নিজ স্বার্থেই আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তায় পরিচালিত ইউএসএআইডির কার্যক্রম পাকিস্তানে পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রশাসক ড. রাজিব শাহ। বিষয়টি তিনি ওবামা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার জন্য পাকিস্তান সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : ডন।
চার দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। বুধবার ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে সিনেট গোয়েন্দা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তিনি। পাকিস্তানের দূতাবাসের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বৈঠককে 'মতামতের সরল বিনিময়' বলে অভিহিত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল হিনার। আজ শুক্রবার তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মার্কিন আইনপ্রণেতাদের হিনা বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা সম্পর্ক আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্ববহ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাকিস্তানিরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি এবং মূল্যায়ন চায়। আমাদের কাছে কোন বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে, কোনটি নিয়ে আমার উদ্বিগ্ন_যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে তা অনুধাবনের বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।' আফগানিস্তান প্রসঙ্গে হিনা বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা সত্যিকার অর্থেই ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে চায়। 'আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতা বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে পাকিস্তানের জন্য বড় হুমকি। আফগান সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকা রয়েছে। তবে আফগান সমস্যার একটি বড় অংশ পাকিস্তান_এটা ভুল ধারণা। এই ধারণা অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।' পাকিস্তানের নিজ স্বার্থেই আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তায় পরিচালিত ইউএসএআইডির কার্যক্রম পাকিস্তানে পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রশাসক ড. রাজিব শাহ। বিষয়টি তিনি ওবামা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার জন্য পাকিস্তান সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : ডন।
No comments