আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে by বিকাশ দত্ত
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকারীদের বিচার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে নিরাপত্তার বলয়ে আনা হচ্ছে। বিচারপতিসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পুরো ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে ১ অক্টোবর থেকে তদন্ত সংস্থার নিজস্ব বাড়ি সার্কিট হাউসের অফিস স্থানান্তর করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এই নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে তদন্তকারী সংস্থার প্রধান, প্রসিকিউটরসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গত দু’বছরে যা হয়নি, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের তিন দিনের মাথায় সে কাজটি করেছেন। এর ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্য মামলাগুলো দ্রুত তদন্ত করা যাবে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি আদালত আছে। সেখানে দুটি ট্রাইব্যুনালে ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়া হয়েছে। অন্যজনকে আরও দু’মাসের জন্য জামিন বাড়ানো হয়েছে। আরেকজন ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সুবহানকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও তদন্তাকারী সংস্থা এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেশ কিছু প্রসিকিউটরের নিরাপত্তার জন্য গানম্যান দেয়া হলেও তাদের গাড়ি দেয়া হয়নি। ফলে ঐ প্রসিকিউটররা গানম্যান পাবার পরও গাড়ির অভাবে তাদের নিয়ে চলাফেরা করতে পারছেন না। প্রসিকিউটরদের মধ্যে সবাই নিরপাত্তার ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও এ ক্ষেত্রে কারও কারও গাড়ি দেয়া হয়েছে। আবার কারও কারও দেয়া হয়নি, যা নিয়ে প্রসিকিউটরদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে প্রসিকিউশন বিভাগে ১৩ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন। ডিএজি, এএজি সমপর্যায়ের যে সমস্ত প্রসিকিউটর আছেন তাঁদের গাড়ি দেয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে এক প্রসিকিউটর তাঁর ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এখানে পদ মর্যাদাটা মুখ্য নয়। সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। গানম্যান আছে সে কিভাবে উঠবে। সবার জন্য সমান সুযোগ করে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাসায় কোন প্রহরা নেই। সেখানে সিকিউরিটির ব্যবস্থা থাকা উচিত। আমরা আশা করছি সরকার এটা নিজ দায়িত্বেই করবে।
তদন্তকারী সংস্থার প্রধান এমএ হান্নান খান জনকণ্ঠকে বলেছেন, তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তাগণ সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তদন্ত সংস্থার দাবি গুরুত্বসহকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর তা শোনেন এবং বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা যা যা বলেছি তা গ্রহণ করা হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি প্রথমে এসেছিল। ট্রাইব্যুনালে অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থাসহ, বিচারপতিদের নিরাপত্তা, প্রসিকিউটর, তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তা, সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়ে কথা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব বিষয়ে অতিসত্বর তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি ও এসপিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তার বিষয়টিকে জোর দেয়া হয়।
তদন্ত সংস্থার প্রধান আরও বলেন, তদন্ত সংস্থার স্থায়ী অফিস বরাদ্দ করা হয়েছে। ১ অক্টোবরে সার্কিট হাউসে তদন্ত সংস্থার অফিস স্থানান্তর করা হবে। তদন্ত সংস্থার লোকবল কাঠামো, গাড়ির বিষয়ে জানালে স্বরাষ্টমন্ত্রী এ বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। এতদিনও হয়নি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২/৩ দিনের মধ্যে জিও হবে বলে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালের বিষয়টি খুব ভালভাবে দেখছেন। তিনি বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন, আমি মনে করি এতদিন ট্রাইব্যুনালে যে সব সমস্যা ছিল তার নিরসন হবে।
একাত্তরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি বিশিষ্ট গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন জনকণ্ঠকে বলেছেন, আমাদের দাবি অনেক ছিল। সরকারকে বার বার বলে আসছি, ট্রাইব্যুনালকে গতিশীল করার জন্য। ট্রাইব্যুনালকে গতিশীল করতে হলে ন্যূনতম সুবিধাগুলো দিতে হবে। সবার আগে বিচারপতিদের নিরাপত্তার বিষয়টি বলে আসছিলাম। সে বিষয়ে এতদিন স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় উদাসীন ছিল। আজকে আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। এ জন্য আমি আনন্দিত। দেরিতে হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, সে জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
ড. মুনতাসীর মামুন আরও বলেন, আশা করি, আইন মন্ত্রণালয় যে সব বিষয় নিয়ে কার্পণ্য করছেন, তাও তারা প্রদান করবেন। আমরা চাই না সরকারকে তারা অসুবিধায় ফেলুক।
প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই এই ট্রাইব্যুনাল, প্রসিকিউটর, তদন্ত সংস্থা, সাক্ষী সুরক্ষা বিষয়ে যে ধরনের বিষয়গুলোর প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল জটিলতার কারণে এতদিন নিশ্চিত না হলেও বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের উদ্যোগে অল্প সময়ের মধ্যে তা হয়েছে। এ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হলে বিচার ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
একাত্তরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্পাদক কাজী মুকুল বলেছেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদার, বিচারপতিদের নিরাপত্তা ও তদন্তকারী সংস্থার স্থায়ী অফিস বরাদ্দ করা হয়েছে। এখন সাক্ষীদের বিষয়ে আইন করতে হবে। যা আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে। যে সব মামলায় সাক্ষী রয়েছে তারা সাক্ষী দিতে নিরাপত্তা বোধ করছেন না। তিনি বলেন, অনেক সাক্ষীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, সাক্ষীদের ফোন করে বলা হচ্ছে তা যদি আসেও, তাহলে আসামিদের নাম যেন না বলা হয়। এটা তো এক ধরনের হুমকি। জিজ্ঞেস করে বলা হচ্ছে, তারা যেন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম না বলে।
কাজী মুকুল আরও বলেন, আইন নাই। আইন করতে হবে। গ্রামের সাক্ষীদের কি অবস্থা তা জানতে হবে। দীর্ঘদিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা করেছেন সেটা বড় কাজ। আইনটা হলে আরও সহজ হবে। এর ফলে সাক্ষীরা আরও সাহসী হবে।
ট্রাইব্যুনালের একমাত্র মহিলা প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম জনকণ্ঠকে বলেছেন, প্রসিকিউটর সবাই সমান। এখানে সিনিয়র, জুনিয়র বলতে কিছু নেই। সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও জোর দিতে হবে। কারণ ঝুঁকি সবাই সমানভাবে বহন করছে। আমাদের গাড়ি দেয়া হয়নি। আবার আবাসন স্থলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। বিচার কাজে যে সব কর্মকর্তা আছেন তাদের সবার জন্যই নিরাপত্তার বিষয়টি আগে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, দেরিতে হলেও সরকার বিষয়টি অনুধাবান করতে পেরেছে। যার ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর অল্প সময়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর পর ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যা করা দরকার, তিনি তাই করেছেন। কারণ এখানে যে কোন সময় সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটতে পারে। তার জন্য প্রথমেই দরকার নিরাপত্তা।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি আদালত আছে। সেখানে দুটি ট্রাইব্যুনালে ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়া হয়েছে। অন্যজনকে আরও দু’মাসের জন্য জামিন বাড়ানো হয়েছে। আরেকজন ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সুবহানকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও তদন্তাকারী সংস্থা এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেশ কিছু প্রসিকিউটরের নিরাপত্তার জন্য গানম্যান দেয়া হলেও তাদের গাড়ি দেয়া হয়নি। ফলে ঐ প্রসিকিউটররা গানম্যান পাবার পরও গাড়ির অভাবে তাদের নিয়ে চলাফেরা করতে পারছেন না। প্রসিকিউটরদের মধ্যে সবাই নিরপাত্তার ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও এ ক্ষেত্রে কারও কারও গাড়ি দেয়া হয়েছে। আবার কারও কারও দেয়া হয়নি, যা নিয়ে প্রসিকিউটরদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে প্রসিকিউশন বিভাগে ১৩ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন। ডিএজি, এএজি সমপর্যায়ের যে সমস্ত প্রসিকিউটর আছেন তাঁদের গাড়ি দেয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে এক প্রসিকিউটর তাঁর ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এখানে পদ মর্যাদাটা মুখ্য নয়। সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। গানম্যান আছে সে কিভাবে উঠবে। সবার জন্য সমান সুযোগ করে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাসায় কোন প্রহরা নেই। সেখানে সিকিউরিটির ব্যবস্থা থাকা উচিত। আমরা আশা করছি সরকার এটা নিজ দায়িত্বেই করবে।
তদন্তকারী সংস্থার প্রধান এমএ হান্নান খান জনকণ্ঠকে বলেছেন, তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তাগণ সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তদন্ত সংস্থার দাবি গুরুত্বসহকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর তা শোনেন এবং বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা যা যা বলেছি তা গ্রহণ করা হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি প্রথমে এসেছিল। ট্রাইব্যুনালে অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থাসহ, বিচারপতিদের নিরাপত্তা, প্রসিকিউটর, তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তা, সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়ে কথা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব বিষয়ে অতিসত্বর তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি ও এসপিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তার বিষয়টিকে জোর দেয়া হয়।
তদন্ত সংস্থার প্রধান আরও বলেন, তদন্ত সংস্থার স্থায়ী অফিস বরাদ্দ করা হয়েছে। ১ অক্টোবরে সার্কিট হাউসে তদন্ত সংস্থার অফিস স্থানান্তর করা হবে। তদন্ত সংস্থার লোকবল কাঠামো, গাড়ির বিষয়ে জানালে স্বরাষ্টমন্ত্রী এ বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। এতদিনও হয়নি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২/৩ দিনের মধ্যে জিও হবে বলে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালের বিষয়টি খুব ভালভাবে দেখছেন। তিনি বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন, আমি মনে করি এতদিন ট্রাইব্যুনালে যে সব সমস্যা ছিল তার নিরসন হবে।
একাত্তরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি বিশিষ্ট গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন জনকণ্ঠকে বলেছেন, আমাদের দাবি অনেক ছিল। সরকারকে বার বার বলে আসছি, ট্রাইব্যুনালকে গতিশীল করার জন্য। ট্রাইব্যুনালকে গতিশীল করতে হলে ন্যূনতম সুবিধাগুলো দিতে হবে। সবার আগে বিচারপতিদের নিরাপত্তার বিষয়টি বলে আসছিলাম। সে বিষয়ে এতদিন স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় উদাসীন ছিল। আজকে আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। এ জন্য আমি আনন্দিত। দেরিতে হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, সে জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
ড. মুনতাসীর মামুন আরও বলেন, আশা করি, আইন মন্ত্রণালয় যে সব বিষয় নিয়ে কার্পণ্য করছেন, তাও তারা প্রদান করবেন। আমরা চাই না সরকারকে তারা অসুবিধায় ফেলুক।
প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই এই ট্রাইব্যুনাল, প্রসিকিউটর, তদন্ত সংস্থা, সাক্ষী সুরক্ষা বিষয়ে যে ধরনের বিষয়গুলোর প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল জটিলতার কারণে এতদিন নিশ্চিত না হলেও বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের উদ্যোগে অল্প সময়ের মধ্যে তা হয়েছে। এ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হলে বিচার ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
একাত্তরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্পাদক কাজী মুকুল বলেছেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদার, বিচারপতিদের নিরাপত্তা ও তদন্তকারী সংস্থার স্থায়ী অফিস বরাদ্দ করা হয়েছে। এখন সাক্ষীদের বিষয়ে আইন করতে হবে। যা আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে। যে সব মামলায় সাক্ষী রয়েছে তারা সাক্ষী দিতে নিরাপত্তা বোধ করছেন না। তিনি বলেন, অনেক সাক্ষীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, সাক্ষীদের ফোন করে বলা হচ্ছে তা যদি আসেও, তাহলে আসামিদের নাম যেন না বলা হয়। এটা তো এক ধরনের হুমকি। জিজ্ঞেস করে বলা হচ্ছে, তারা যেন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম না বলে।
কাজী মুকুল আরও বলেন, আইন নাই। আইন করতে হবে। গ্রামের সাক্ষীদের কি অবস্থা তা জানতে হবে। দীর্ঘদিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা করেছেন সেটা বড় কাজ। আইনটা হলে আরও সহজ হবে। এর ফলে সাক্ষীরা আরও সাহসী হবে।
ট্রাইব্যুনালের একমাত্র মহিলা প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম জনকণ্ঠকে বলেছেন, প্রসিকিউটর সবাই সমান। এখানে সিনিয়র, জুনিয়র বলতে কিছু নেই। সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও জোর দিতে হবে। কারণ ঝুঁকি সবাই সমানভাবে বহন করছে। আমাদের গাড়ি দেয়া হয়নি। আবার আবাসন স্থলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। বিচার কাজে যে সব কর্মকর্তা আছেন তাদের সবার জন্যই নিরাপত্তার বিষয়টি আগে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, দেরিতে হলেও সরকার বিষয়টি অনুধাবান করতে পেরেছে। যার ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর অল্প সময়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর পর ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যা করা দরকার, তিনি তাই করেছেন। কারণ এখানে যে কোন সময় সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটতে পারে। তার জন্য প্রথমেই দরকার নিরাপত্তা।
No comments