সামরিক পথে সিরিয়া সংকটের সমাধান আসবে না : মুন
সামরিক শক্তি ব্যবহারের পথ ধরে সংঘাতের অবসান হবে না সিরিয়ায়। বরং রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসন হতে পারে বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তিনি সিরীয় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সত্যিকার প্রতিফলন ঘটবে- এমন রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নতুন অধিবেশনের ব্যাপারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বান কি মুন। যদিও অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকার ও বিদ্রোহী উভয় পক্ষই শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই একে অপরকে পরাজিত করতে বদ্ধপরিকর। মহাসচিব সতর্ক করে বলেন, এর পরিণাম ভালো হবে না। গতকালও সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। দামেস্কে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।
আগামী সপ্তাহ থেকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ৬৬তম সাধারণ অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। বান বি মুন জানান, অধিবেশনে সিরিয়া ইস্যু সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। যদিও সিরিয়ার ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনার সূচি নির্ধারণ করা হয়নি। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নতুন কোনো রূপরেখার প্রস্তাব করতে পারে আশা প্রকাশ করেন মহাসচিব। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারিত সিরিয়ার সংঘাতের ভিডিও ফুটেজ তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, 'আমি মনে করি না সামরিক শক্তি প্রয়োগের পথে কোনো সমাধান আসবে। রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই এর সমাধান হতে হবে।' এ জন্য সংলাপে বসার জন্য সিরিয়ার উভয় পক্ষকে আহ্বান তিনি।
এদিকে সিরিয়া ইস্যুতে গতকাল বৈঠক করেছে ফ্রেন্ডস অব সিরিয়া গ্রুপ। নতুন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সেখানে আলোচনা করেছে তারা। বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞাগুলোকে কিভাবে আরো বেশি কার্যকর করা যায়_এ ব্যাপারে নেদারল্যান্ডসের হেগে বৈঠকে বসেন অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা।
সিরিয়া সফররত ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি আকবর সালেহি গতকাল প্রেসিডেন্ট আসাদসহ অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগের দিন বুধবার দামেস্ক পেঁৗছান তিনি। বলেন, একমাত্র অভ্যন্তরীণভাবেই সিরিয়া সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সালেহি এমন সময় সিরিয়া সফর করছেন যখন আসাদ সরকারকে বিমানযোগে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের দাবি, ১১৭টি ইরানি বেসামরিক বিমানে করে সেনাসদস্য ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠানো হয়েছে সিরিয়ায়। এসব বিমান ইরাকের আকাশপথ ব্যবহার করেছে। তবে ইরাক গতকাল এ অভিযোগ নাকচ করেছে। দেশটির সরকারের মুখপাত্র আলি আল-দাবাঘ বলেন, 'এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।' সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।
আগামী সপ্তাহ থেকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ৬৬তম সাধারণ অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। বান বি মুন জানান, অধিবেশনে সিরিয়া ইস্যু সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। যদিও সিরিয়ার ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনার সূচি নির্ধারণ করা হয়নি। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নতুন কোনো রূপরেখার প্রস্তাব করতে পারে আশা প্রকাশ করেন মহাসচিব। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারিত সিরিয়ার সংঘাতের ভিডিও ফুটেজ তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, 'আমি মনে করি না সামরিক শক্তি প্রয়োগের পথে কোনো সমাধান আসবে। রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই এর সমাধান হতে হবে।' এ জন্য সংলাপে বসার জন্য সিরিয়ার উভয় পক্ষকে আহ্বান তিনি।
এদিকে সিরিয়া ইস্যুতে গতকাল বৈঠক করেছে ফ্রেন্ডস অব সিরিয়া গ্রুপ। নতুন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সেখানে আলোচনা করেছে তারা। বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞাগুলোকে কিভাবে আরো বেশি কার্যকর করা যায়_এ ব্যাপারে নেদারল্যান্ডসের হেগে বৈঠকে বসেন অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা।
সিরিয়া সফররত ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি আকবর সালেহি গতকাল প্রেসিডেন্ট আসাদসহ অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগের দিন বুধবার দামেস্ক পেঁৗছান তিনি। বলেন, একমাত্র অভ্যন্তরীণভাবেই সিরিয়া সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সালেহি এমন সময় সিরিয়া সফর করছেন যখন আসাদ সরকারকে বিমানযোগে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের দাবি, ১১৭টি ইরানি বেসামরিক বিমানে করে সেনাসদস্য ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠানো হয়েছে সিরিয়ায়। এসব বিমান ইরাকের আকাশপথ ব্যবহার করেছে। তবে ইরাক গতকাল এ অভিযোগ নাকচ করেছে। দেশটির সরকারের মুখপাত্র আলি আল-দাবাঘ বলেন, 'এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।' সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।
No comments