রণাঙ্গন যখন আঁতুড়ঘর-আফগানিস্তানে ব্রিটিশ নারী সৈনিকের সন্তান প্রসব
আফগানিস্তানের রণাঙ্গনে সন্তান প্রসব করে সবাইকে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন এক ব্রিটিশ নারী সৈনিক। মঙ্গলবার সন্তান প্রসবের পর তিনি জানান, গর্ভধারণের বিষয়টি তিনি নিজেই জানতেন না। তিনি বিস্মিত। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে অবহিত, তবে তারা ওই নারী সৈনিকের নাম প্রকাশ করেনি।
মা ও সন্তানের যথাযথ যত্নের প্রয়োজনে চিকিৎসকের একটি দল আফগানিস্তানে পাঠানো হয়েছে।
রণাঙ্গনে কোনো ব্রিটিশ নারীর সন্তান প্রসবের ঘটনা এই প্রথম ঘটল। ওই নারী রয়্যাল আর্টিলারির গানার। প্রসবের বিষয়টি তাঁর ধারণাতেই ছিল না। পেটে ব্যথা শুরুর পর তিনি জানলেন, তাঁর সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে যাচ্ছে। অবশ্য তিনি গর্ভধারণ করেছেন রণাঙ্গনে নিয়োজিত হওয়ার আগেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রণাঙ্গনে নিযুক্ত করার আগে তাঁর গর্ভধারণের বিষয়ে নিশ্চিত ছিল না। যাই হোক, প্রসূতি ও সন্তান ভালো আছে।
আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে মিত্রবাহিনীর ক্যাম্প ব্যাশনে বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটে। খবরটি চাউর হওয়ার পর আলোচনার ঝড় ওঠে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, কোনো গর্ভবতী নারীকে রণাঙ্গনে নিয়োজিত করা প্রতিরক্ষানীতির মধ্যে পড়ে না। কিন্তু এ বিষয়ে তারা অবহিত ছিল না।
নির্ধারিত সময়ের পাঁচ সপ্তাহ আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে শিশুটি। নবজাতক এবং প্রসূতি-সৈনিককে নিরাপদে ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিশুবিশেষজ্ঞ ডাক্তারসমেত উচ্চপর্যায়ের একটি দল আফগানিস্তানের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ফিরতি পথে বিমানে চিকিৎসা দেওয়ার সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদক জানান, যুদ্ধের ময়দানে কোনো ব্রিটিশ সৈনিকের সন্তান প্রসবের ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে ২০০৩ সালে ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে প্রায় ২০০ নারী সৈনিককে গর্ভবতী হওয়ার কারণে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। গত বছর এক ব্রিটিশ নারী সৈনিক আফগানিস্তানে ছয় মাস অবস্থানের পর দেশে ফেরেন। ফেরার দুই সপ্তাহ পরই সন্তান প্রসব করেন তিনি।
যুদ্ধের ময়দানে গর্ভবতী নারীকে সৈনিক হিসেবে নিয়োজিত করা ব্রিটিশ প্রতিরক্ষানীতির বিরোধী। ফলে সঙ্গত কারণেই এই শৈথিল্যে দেশটিতে কঠোর বিরূপ সমালোচনা-বিতর্কের সৃষ্টি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। যুদ্ধের ময়দানে নিয়োগ করার আগে পর্যাপ্ত ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার হলেও নারীদের জন্য যথেষ্ট মাত্রায় তার ব্যবস্থা করা হয় না_এ বিতর্কের পালে হাওয়া লাগবে।
বিবিসি প্রতিবেদক বলেন, ক্যাম্প ব্যাশন হাসপাতালে যুদ্ধাহতদের চিকিৎসার ভালো ব্যবস্থা থাকলেও প্রসবিনীর জন্য সেটা উত্তম জায়গা নয়। এবার না হয় কিছু হলো না। কিন্তু প্রসবের বিষয়টি একটু জটিল হলেই মা ও শিশুর প্রাণসংশয়ের যথেষ্ট কারণ দেখা দিতে পারত। অতএব এ বিষয়ে আরো সতর্ক বিধি-ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে বৈকি।
রণাঙ্গনে কোনো ব্রিটিশ নারীর সন্তান প্রসবের ঘটনা এই প্রথম ঘটল। ওই নারী রয়্যাল আর্টিলারির গানার। প্রসবের বিষয়টি তাঁর ধারণাতেই ছিল না। পেটে ব্যথা শুরুর পর তিনি জানলেন, তাঁর সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে যাচ্ছে। অবশ্য তিনি গর্ভধারণ করেছেন রণাঙ্গনে নিয়োজিত হওয়ার আগেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রণাঙ্গনে নিযুক্ত করার আগে তাঁর গর্ভধারণের বিষয়ে নিশ্চিত ছিল না। যাই হোক, প্রসূতি ও সন্তান ভালো আছে।
আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে মিত্রবাহিনীর ক্যাম্প ব্যাশনে বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটে। খবরটি চাউর হওয়ার পর আলোচনার ঝড় ওঠে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, কোনো গর্ভবতী নারীকে রণাঙ্গনে নিয়োজিত করা প্রতিরক্ষানীতির মধ্যে পড়ে না। কিন্তু এ বিষয়ে তারা অবহিত ছিল না।
নির্ধারিত সময়ের পাঁচ সপ্তাহ আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে শিশুটি। নবজাতক এবং প্রসূতি-সৈনিককে নিরাপদে ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিশুবিশেষজ্ঞ ডাক্তারসমেত উচ্চপর্যায়ের একটি দল আফগানিস্তানের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ফিরতি পথে বিমানে চিকিৎসা দেওয়ার সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদক জানান, যুদ্ধের ময়দানে কোনো ব্রিটিশ সৈনিকের সন্তান প্রসবের ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে ২০০৩ সালে ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে প্রায় ২০০ নারী সৈনিককে গর্ভবতী হওয়ার কারণে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। গত বছর এক ব্রিটিশ নারী সৈনিক আফগানিস্তানে ছয় মাস অবস্থানের পর দেশে ফেরেন। ফেরার দুই সপ্তাহ পরই সন্তান প্রসব করেন তিনি।
যুদ্ধের ময়দানে গর্ভবতী নারীকে সৈনিক হিসেবে নিয়োজিত করা ব্রিটিশ প্রতিরক্ষানীতির বিরোধী। ফলে সঙ্গত কারণেই এই শৈথিল্যে দেশটিতে কঠোর বিরূপ সমালোচনা-বিতর্কের সৃষ্টি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। যুদ্ধের ময়দানে নিয়োগ করার আগে পর্যাপ্ত ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার হলেও নারীদের জন্য যথেষ্ট মাত্রায় তার ব্যবস্থা করা হয় না_এ বিতর্কের পালে হাওয়া লাগবে।
বিবিসি প্রতিবেদক বলেন, ক্যাম্প ব্যাশন হাসপাতালে যুদ্ধাহতদের চিকিৎসার ভালো ব্যবস্থা থাকলেও প্রসবিনীর জন্য সেটা উত্তম জায়গা নয়। এবার না হয় কিছু হলো না। কিন্তু প্রসবের বিষয়টি একটু জটিল হলেই মা ও শিশুর প্রাণসংশয়ের যথেষ্ট কারণ দেখা দিতে পারত। অতএব এ বিষয়ে আরো সতর্ক বিধি-ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে বৈকি।
No comments