বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর কৃতিত্ব-গবেষণায় নতুন সাফল্য জাতির গর্ব
দুর্নীতি, অনিয়মের নানা অপবাদ আর অলংকার মাথায় নিয়ে আমাদের চিত্ত যখন অতি সংকুচিত এক বৃত্তে বাঁধা পড়ে যাচ্ছে, তখন দেশের দু-একটি সাফল্য মনে আশা জাগায়, গর্বে বুক ফোলানোর সাহস জোগায়। তেমনি আরেকটি সাফল্য এনে দিয়েছেন বাংলাদেশের কৃতী জিনবিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম ও তাঁর দল।
ধান, পাট, গম, ভুট্টাসহ প্রায় পাঁচ শ উদ্ভিদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি ছত্রাকের জীবন-রহস্য আবিষ্কার করেছে এই বিজ্ঞানী দল। এই আবিষ্কারের ফলে ম্যাক্রোফমিনা ফ্যাসিওলিনা নামের ক্ষতিকর ছত্রাক দমন করা এখন অনেক সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি এসব ফসলের উৎপাদন বেড়ে যাবে অনেকটাই। এর ফলে শুধু বাংলাদেশই নয়, উপকৃত হবে বিশ্ববাসী। তাই জিনবিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম ও তাঁর বিজ্ঞানী দলকে কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করা এই বিজ্ঞানী এর আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাটের জেনোম আবিষ্কার করেছেন। তারও আগে তিনি মালয়েশিয়ার হয়ে রাবার এবং যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে পেঁপের জীবন-রহস্য উন্মোচন করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি তিনটি ফসল, চারটি জীবাণুসহ মোট ১৯টি জীব বা উদ্ভিদের জীবন-রহস্য আবিষ্কার করেছেন। ফলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তাঁর যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী এই সাফল্যের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ে খ্যাতিসম্পন্ন আন্তর্জাতিক সাময়িকী জেনোমিকসেও তাঁর এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞান গবেষণার মতোই উচ্চ তাঁর দেশপ্রেম। পৃথিবীর যেকোনো দেশের অতি উন্নত গবেষণাগারের দ্বার তাঁর জন্য সব সময় অবারিত। তা সত্ত্বেও দেশের টানে ফিরে এসেছেন এবং সীমিত সামর্থ্যের ভেতরেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। একটির পর একটি সাফল্য তিনি আমাদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদের বর্তমান প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল ৬৬ কোটি টাকা। তাঁর বেতন ধরা হয়েছিল প্রতি মাসে ১৬ লাখ টাকা, যা প্রকল্প মেয়াদে গিয়ে দাঁড়ায় পৌনে ছয় কোটি টাকা। তিনি সেই বেতন নিতে রাজি হননি। বিনা পারিশ্রমিকেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ উন্নত দেশের যেকোনো গবেষণাগারে এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বেতন নিয়ে তিনি কাজ করতে পারতেন। তাঁর এই দেশপ্রেম তুলনাহীন।
আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা, বিশেষ করে জিনবিজ্ঞানের গবেষণা অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর এবং ব্যয়বহুল। উন্নত দেশগুলোতে সরকার তো বটেই, বড় বড় প্রতিষ্ঠানও গবেষণা খাতে ব্যাপক ব্যয় বরাদ্দ রাখে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে সেই ঐতিহ্য গড়ে তোলা হয়নি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক গবেষণাই মূলত অর্থের অভাবে করতে পারে না। অথচ বাঙালি বিজ্ঞানীদের যে মেধার অভাব নেই, তার প্রমাণ তাঁরা পৃথিবীর অনেক দেশেই রেখে চলেছেন। সে দিক থেকে বর্তমান সরকার এমন একজন কৃতী বিজ্ঞানীকে দেশে ফিরিয়ে এনে এবং তাঁকে গবেষণার সুযোগ করে দিয়ে যে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে, সেটিও প্রশংসার দাবিদার। বাংলাদেশের মানুষ যে অনেক কিছুই করতে পারে তার আরো প্রমাণ আমরা পাই তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ আহরণ ও উত্তোলনের ক্ষেত্রে। বাপেঙ্কে প্রযুক্তিগতভাবে কিছুটা শক্তিশালী করার ফল আমরা হাতেনাতে পেয়েছি। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার এবং ভবিষ্যতের সরকারগুলো এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করা এই বিজ্ঞানী এর আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাটের জেনোম আবিষ্কার করেছেন। তারও আগে তিনি মালয়েশিয়ার হয়ে রাবার এবং যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে পেঁপের জীবন-রহস্য উন্মোচন করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি তিনটি ফসল, চারটি জীবাণুসহ মোট ১৯টি জীব বা উদ্ভিদের জীবন-রহস্য আবিষ্কার করেছেন। ফলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তাঁর যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী এই সাফল্যের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ে খ্যাতিসম্পন্ন আন্তর্জাতিক সাময়িকী জেনোমিকসেও তাঁর এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞান গবেষণার মতোই উচ্চ তাঁর দেশপ্রেম। পৃথিবীর যেকোনো দেশের অতি উন্নত গবেষণাগারের দ্বার তাঁর জন্য সব সময় অবারিত। তা সত্ত্বেও দেশের টানে ফিরে এসেছেন এবং সীমিত সামর্থ্যের ভেতরেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। একটির পর একটি সাফল্য তিনি আমাদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদের বর্তমান প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল ৬৬ কোটি টাকা। তাঁর বেতন ধরা হয়েছিল প্রতি মাসে ১৬ লাখ টাকা, যা প্রকল্প মেয়াদে গিয়ে দাঁড়ায় পৌনে ছয় কোটি টাকা। তিনি সেই বেতন নিতে রাজি হননি। বিনা পারিশ্রমিকেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ উন্নত দেশের যেকোনো গবেষণাগারে এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বেতন নিয়ে তিনি কাজ করতে পারতেন। তাঁর এই দেশপ্রেম তুলনাহীন।
আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা, বিশেষ করে জিনবিজ্ঞানের গবেষণা অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর এবং ব্যয়বহুল। উন্নত দেশগুলোতে সরকার তো বটেই, বড় বড় প্রতিষ্ঠানও গবেষণা খাতে ব্যাপক ব্যয় বরাদ্দ রাখে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে সেই ঐতিহ্য গড়ে তোলা হয়নি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক গবেষণাই মূলত অর্থের অভাবে করতে পারে না। অথচ বাঙালি বিজ্ঞানীদের যে মেধার অভাব নেই, তার প্রমাণ তাঁরা পৃথিবীর অনেক দেশেই রেখে চলেছেন। সে দিক থেকে বর্তমান সরকার এমন একজন কৃতী বিজ্ঞানীকে দেশে ফিরিয়ে এনে এবং তাঁকে গবেষণার সুযোগ করে দিয়ে যে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে, সেটিও প্রশংসার দাবিদার। বাংলাদেশের মানুষ যে অনেক কিছুই করতে পারে তার আরো প্রমাণ আমরা পাই তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ আহরণ ও উত্তোলনের ক্ষেত্রে। বাপেঙ্কে প্রযুক্তিগতভাবে কিছুটা শক্তিশালী করার ফল আমরা হাতেনাতে পেয়েছি। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার এবং ভবিষ্যতের সরকারগুলো এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
No comments