ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব ভারতে আটক কয়েক শ
ভারতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, খুচরা বাজারে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি ও ভর্তুকি দেওয়া গ্যাস সিলিন্ডারের (এলপিজি) সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা দলের (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা (এনডিএ), সমাজবাদী দল (এসপি) ও বাম দলগুলোর ডাকা এ ধর্মঘটে দেশজুড়ে মিশ্র প্রভাব লক্ষ করা গেছে। দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে ধর্মঘট সমর্থক কয়েক শ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এসপির প্রধান মুলায়ম সিং যাদব, সিপিআই-এমের প্রকাশ কারাত, সিতারাম ইয়েচুরি, টিডিপির চন্দ্রবাবু নাইডু, দেব গৌড়া ও সিপিআইয়ের এ বি বর্ধনসহ নেতারা স্বেচ্ছা কারাবরণের হুমকি দিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ধর্মঘটের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। এসব জায়গায় সড়ক ও রেল যোগাযোগ অনেকাংশেই বন্ধ করে দেয় ধর্মঘটীরা। মেঘালয়, মনিপুর ও কর্ণাটকেও জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে ধর্মঘটের। রাজধানী দিল্লিতেও বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। কয়েকটি জায়গায় বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাধা সত্ত্বেও রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়ার চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে বাণিজ্যিক নগরী মুম্বাইয়ে ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি।
কয়েক দিন আগে অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ) সরকার। এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যে জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। জোটের আরেক শরিক এসপি বিরোধীদের ডাকা এ ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে। এতে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়েছে সরকার।
গতকাল এসপির মহাসচিব রামগোপাল যাদব সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান, ইউপিএ সরকারের ওপর দল কতক্ষণ সমর্থন অব্যাহত রাখবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন তাঁরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এ ব্যাপারে 'ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ' অবস্থান নিয়েছেন দলের নেতারা। এ অবস্থায় দলটির প্রধান মুলায়ম সিং যাদব গতকাল ধর্মঘটের সমর্থনে রাজধানী দিল্লির রাস্তায় নেমেছন। তিনি স্বেচ্ছা কারাবরণেরও ঘোষণা দিয়েছেন। এতে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হরতালের সমর্থনে উত্তর প্রদেশের একাধিক স্থানে বিক্ষোভ করেন এসপি ও বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা রাজধানী লক্ষ্নৌসহ মথুরা, আগ্রা, বারানসি ও এলাহাবাদে ট্রেন চলাচলে বাধা দেয়। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। বিহারে হরতাল সমর্থক বিজেপির প্রায় ২০০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মেঘালয় রাজ্যেও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, কলকাতা থেকেও ৩৫ জন হরতাল সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটের সমর্থকদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। গতকালের ধর্মঘটেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির সাজা হিসেবে এক দিনের বেতন কাটার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
এসপির প্রধান মুলায়ম সিং যাদব, সিপিআই-এমের প্রকাশ কারাত, সিতারাম ইয়েচুরি, টিডিপির চন্দ্রবাবু নাইডু, দেব গৌড়া ও সিপিআইয়ের এ বি বর্ধনসহ নেতারা স্বেচ্ছা কারাবরণের হুমকি দিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ধর্মঘটের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। এসব জায়গায় সড়ক ও রেল যোগাযোগ অনেকাংশেই বন্ধ করে দেয় ধর্মঘটীরা। মেঘালয়, মনিপুর ও কর্ণাটকেও জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে ধর্মঘটের। রাজধানী দিল্লিতেও বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। কয়েকটি জায়গায় বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাধা সত্ত্বেও রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়ার চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে বাণিজ্যিক নগরী মুম্বাইয়ে ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি।
কয়েক দিন আগে অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ) সরকার। এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যে জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। জোটের আরেক শরিক এসপি বিরোধীদের ডাকা এ ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে। এতে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়েছে সরকার।
গতকাল এসপির মহাসচিব রামগোপাল যাদব সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান, ইউপিএ সরকারের ওপর দল কতক্ষণ সমর্থন অব্যাহত রাখবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন তাঁরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এ ব্যাপারে 'ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ' অবস্থান নিয়েছেন দলের নেতারা। এ অবস্থায় দলটির প্রধান মুলায়ম সিং যাদব গতকাল ধর্মঘটের সমর্থনে রাজধানী দিল্লির রাস্তায় নেমেছন। তিনি স্বেচ্ছা কারাবরণেরও ঘোষণা দিয়েছেন। এতে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হরতালের সমর্থনে উত্তর প্রদেশের একাধিক স্থানে বিক্ষোভ করেন এসপি ও বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা রাজধানী লক্ষ্নৌসহ মথুরা, আগ্রা, বারানসি ও এলাহাবাদে ট্রেন চলাচলে বাধা দেয়। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। বিহারে হরতাল সমর্থক বিজেপির প্রায় ২০০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মেঘালয় রাজ্যেও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, কলকাতা থেকেও ৩৫ জন হরতাল সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটের সমর্থকদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। গতকালের ধর্মঘটেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির সাজা হিসেবে এক দিনের বেতন কাটার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
No comments