চঞ্চল মেয়েটি এখন আর হাসে না by বোরহান উদ্দিন
বাবা
কাছে নেই তাই ঈদের কেনাকাটা আর আনন্দ কোনোটাই নেই ইলিয়াস কন্যার। ঈদের আগে
বাবা ফিরে আসলেই কেবল আনন্দ হবে, কেনাকাটাও হবে। অন্যথায় কোনো ঈদ উৎসব হবে
না তার।
বাবার কিনে দেয়া নতুন জামা পড়ে বাবাকে নিয়েই ঈদ করতে চায় নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর একমাত্র মেয়ে সাইয়ারা নাওয়াল। তার আশা ঈদের আগেই বাবা ফিরে এসে প্রতিবছরের মতো এবছরও তাকে পছন্দের জামা কিনে দিবে। তা দিয়েই সে ঈদ করবে। তাইতো ঈদের আগেই যেন বাবা ফিরে আসে সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাইলেন ইলিয়াস আলীর অবুঝ মেয়ে নাওয়াল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইলিয়াস আলীর বনানীর বাসায় গিয়ে ইলিয়াস কন্যার এমন আকাঙ্খার কথা শোনা গেছে।
নাওয়াল মানারত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে স্টান্ডার্ড থ্রীতে পড়ে। তার এখন স্কুলে চলছে ঈদের ছুটি। শুক্রবার মায়ের সাথে ঈদ করতে সিলেট যাবে নাওয়াল।
শুধু নাওয়াল নয়, ইলিয়াস আলীর দুই ছেলে আববার ইলিয়াস, লাবিব সারার ও তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা কারোরই নেই কোনো আনন্দ। সারাক্ষণ শুধু অপেক্ষা কখন ফিরে আসবে পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি।
সন্তানদের মতো স্বামীর জন্য অপেক্ষা আর দীর্ঘ চার মাস ধরে গণমাধ্যমসহ সবার হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অনেকটা ক্লান্ত ইলিয়াস আলীর স্ত্রী। সন্তানদের মতো তিনিও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে চান না।
কি অবস্থায় আছেন জানতে চাইলে খুব সহজেই বললেন, ‘‘আল্লাহ যেভাবে রেখেছেন, সেভাবেই আছি। শুক্রবার বাচ্চাদের নিয়ে সিলেট যাবো। ঈদের পরে ২৩ বা ২৪ আগস্ট ঢাকায় আসবো। আর বড় ছেলে আববার ইতিমধ্যে সিলেটে চলে গেছে।’’
বললেন আর কতো কথা বলবো ভাই, ‘‘দেশের মানুষের এতো দোয়া আর আপনাদের লেখালেখির চারমাস হতে চলছে কিন্তু সে মানুষটির কোনো খোঁজ পেলাম না। সন্তানরা সারাক্ষণ বাবা আসবে বলে অপেক্ষায় থাকে। আমাদের এ সময়টা খুবই কষ্টের। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। যাতে পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।’’
দীর্ঘ সময় অনুনয় বিনয়ের পর বাবাকে ফিরে পেতে সবার কাছে দোয়া চাওয়ার জন্য বললে কথা বলে নাওয়াল। ইলিয়াস কন্যা বললো, ‘‘আংকেল তোমরা সবাই দোয়া করো যেন ঈদের আগেই আমার আববু ফিরে আসে । আববু ফিরে আসলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হবো।’’
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী বললেন, ‘‘বাবার জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমার চঞ্চল মেয়েটি এখন আর হাসে না, কারো সাথে তেমন কথা বলে না। বিশেষ করে অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতেই চায় না। ’’
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী আরো জানালেন, ‘‘এ বছর ঈদে পরিবারের কারো জন্য কোনো কেনাকাটা হয়নি। কারণ কেনার মতো কোনো ইচ্ছা মনের মধ্যে নেই। বললেন শুধু ঈদই নয়, ওর বাবা মার্কেটে গেলেই নাওয়ালকে নিয়ে যেতেন। ওর পছন্দ মতো কেনাকাটা করে দিতেন। এমনকি ওর বাবা চুল কাটানোর জন্য গেলেও মেয়েকে সাথে নিয়ে যেতেন। অথচ আজকে প্রায় চার মাস হতে চলছে মেয়েটি তার বাবাকে দেখতে পারছেনা। ’’
নাওয়ালের মা আরো বললেন,‘‘ তবে মেয়েটা সবসময়ই বলে একদিন ঠিকই আমার বাবা ফিরে আসবে ।’’
গত ১৭ এপ্রিল রাতে বনানী থেকে গাড়ি চালকসহ নিখোঁজ হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। শুক্রবার তার নিখোঁজের চার মাস পূরণ হতে চলছে। অথচ এখনো তার তাদের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে ইতিমধ্যে সারাদেশে হরতালসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। এ দাবিতে হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও ককটেল বিষ্ফোরণ মামলায় ইতিমধ্যে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের কারাগারেও থাকতে হয়েছে।
বাবার কিনে দেয়া নতুন জামা পড়ে বাবাকে নিয়েই ঈদ করতে চায় নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর একমাত্র মেয়ে সাইয়ারা নাওয়াল। তার আশা ঈদের আগেই বাবা ফিরে এসে প্রতিবছরের মতো এবছরও তাকে পছন্দের জামা কিনে দিবে। তা দিয়েই সে ঈদ করবে। তাইতো ঈদের আগেই যেন বাবা ফিরে আসে সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাইলেন ইলিয়াস আলীর অবুঝ মেয়ে নাওয়াল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইলিয়াস আলীর বনানীর বাসায় গিয়ে ইলিয়াস কন্যার এমন আকাঙ্খার কথা শোনা গেছে।
নাওয়াল মানারত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে স্টান্ডার্ড থ্রীতে পড়ে। তার এখন স্কুলে চলছে ঈদের ছুটি। শুক্রবার মায়ের সাথে ঈদ করতে সিলেট যাবে নাওয়াল।
শুধু নাওয়াল নয়, ইলিয়াস আলীর দুই ছেলে আববার ইলিয়াস, লাবিব সারার ও তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা কারোরই নেই কোনো আনন্দ। সারাক্ষণ শুধু অপেক্ষা কখন ফিরে আসবে পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি।
সন্তানদের মতো স্বামীর জন্য অপেক্ষা আর দীর্ঘ চার মাস ধরে গণমাধ্যমসহ সবার হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অনেকটা ক্লান্ত ইলিয়াস আলীর স্ত্রী। সন্তানদের মতো তিনিও একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে চান না।
কি অবস্থায় আছেন জানতে চাইলে খুব সহজেই বললেন, ‘‘আল্লাহ যেভাবে রেখেছেন, সেভাবেই আছি। শুক্রবার বাচ্চাদের নিয়ে সিলেট যাবো। ঈদের পরে ২৩ বা ২৪ আগস্ট ঢাকায় আসবো। আর বড় ছেলে আববার ইতিমধ্যে সিলেটে চলে গেছে।’’
বললেন আর কতো কথা বলবো ভাই, ‘‘দেশের মানুষের এতো দোয়া আর আপনাদের লেখালেখির চারমাস হতে চলছে কিন্তু সে মানুষটির কোনো খোঁজ পেলাম না। সন্তানরা সারাক্ষণ বাবা আসবে বলে অপেক্ষায় থাকে। আমাদের এ সময়টা খুবই কষ্টের। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। যাতে পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।’’
দীর্ঘ সময় অনুনয় বিনয়ের পর বাবাকে ফিরে পেতে সবার কাছে দোয়া চাওয়ার জন্য বললে কথা বলে নাওয়াল। ইলিয়াস কন্যা বললো, ‘‘আংকেল তোমরা সবাই দোয়া করো যেন ঈদের আগেই আমার আববু ফিরে আসে । আববু ফিরে আসলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হবো।’’
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী বললেন, ‘‘বাবার জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমার চঞ্চল মেয়েটি এখন আর হাসে না, কারো সাথে তেমন কথা বলে না। বিশেষ করে অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতেই চায় না। ’’
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী আরো জানালেন, ‘‘এ বছর ঈদে পরিবারের কারো জন্য কোনো কেনাকাটা হয়নি। কারণ কেনার মতো কোনো ইচ্ছা মনের মধ্যে নেই। বললেন শুধু ঈদই নয়, ওর বাবা মার্কেটে গেলেই নাওয়ালকে নিয়ে যেতেন। ওর পছন্দ মতো কেনাকাটা করে দিতেন। এমনকি ওর বাবা চুল কাটানোর জন্য গেলেও মেয়েকে সাথে নিয়ে যেতেন। অথচ আজকে প্রায় চার মাস হতে চলছে মেয়েটি তার বাবাকে দেখতে পারছেনা। ’’
নাওয়ালের মা আরো বললেন,‘‘ তবে মেয়েটা সবসময়ই বলে একদিন ঠিকই আমার বাবা ফিরে আসবে ।’’
গত ১৭ এপ্রিল রাতে বনানী থেকে গাড়ি চালকসহ নিখোঁজ হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। শুক্রবার তার নিখোঁজের চার মাস পূরণ হতে চলছে। অথচ এখনো তার তাদের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে ইতিমধ্যে সারাদেশে হরতালসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। এ দাবিতে হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও ককটেল বিষ্ফোরণ মামলায় ইতিমধ্যে ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের কারাগারেও থাকতে হয়েছে।
No comments