পাকিস্তানে বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা, নিহত ১০

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের পিএএফ মিনহাজ বিমান ঘাঁটিতে গত বুধবার রাতে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এতে ৯ হামলাকারী ও এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে একজন। দেশটির অন্যতম বড় এ ঘাঁটিতে রকেটচালিত গ্রেনেডসহ স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা।


তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর দায় স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার সংরক্ষণের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিনহাজ ঘাঁটিতে পরমাণু অস্ত্রের মজুদ নেই। হামলার পর পাকিস্তানের সব বিমান ঘাঁটিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বিমান বাহিনীর মুখপাত্র তারিক মাহমুদ গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, গতরাত (বুধবার) ২টার দিকে পাঞ্জাবের কামরায় অবস্থিত মিনহাজ ঘাঁটিতে হামলা চালায় ৯ জঙ্গি। তাদের কয়েকজন সামরিক বাহিনীর পোশাক পরা ছিল। বাকিদের পরনে ছিল আত্মঘাতী হামলা চালাতে ব্যবহৃত বিস্ফোরক ভরা পোশাক (সুইসাইড ভেস্ট)। তিনি জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের মধ্যে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ চলে। এতে এক নিরাপত্তাকর্মী ও ৯ জঙ্গি নিহত হয়। গুরুতর আহত হয়েছেন বিমান ঘাঁটির কমান্ডার মুহাম্মদ আজম। তবে তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত। এ ছাড়া হামলায় একটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তারিক জানান। হামলার সময় ঘাঁটিটিতে ৩০টিরও বেশি বিমান ছিল। এর মধ্যে জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানও রয়েছে।
হামলার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর তারিক সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন, 'ঘাঁটি এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ।' ভূমিতে পোতা দুটি মাইন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল তাহির রফিক বাট।
রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এ ঘাঁটিটি এর আগেও দুই দফা জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার জঙ্গিদের হাতে চলে যাওয়ার ব্যাপারে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ তা নাকচ করে দিয়েছে।
২০১১ সালের মে মাসে করাচির মেহরান বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১০ সেনা সদস্য নিহত হন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, ডন।

No comments

Powered by Blogger.