বন্দুকযুদ্ধে এক সেনা ও আট জঙ্গি নিহত- পাকিস্তানে বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অবস্থিত মিনহাজ বিমান ঘাঁটিতে গত বুধবার দিবাগত রাতে জঙ্গি হামলা হয়েছে। এতে এক সেনা নিহত ও ওই ঘাঁটির কমান্ডার আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি বিমান। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধে আট জঙ্গি নিহত হয়।
হামলার পর পর পাকিস্তানের সব বিমান ঘাঁটিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইসলামাবাদে বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
পাঞ্জাব প্রদেশের কামরা এলাকায় অবস্থিত এই বিমান ঘাঁটি রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ৩৫ মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। রাত দুইটার দিকে ওই ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। বেশ কয়েকজন হামলাকারী সামরিক বাহিনীর পোশাক পরে রকেটচালিত গ্রেনেড ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। প্রথমে ঘাঁটির বাইরে থেকে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে একটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিমানবাহিনীর মুখপাত্র তারিক মাহমুদ জানান, বাইরে থেকে গ্রেনেড ছোড়ার পর হামলাকারীরা দেয়াল টপকে ঘাঁটির ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, একপর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা হামলা শুরু করে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষে বন্দুকযুদ্ধ চলে। এতে এক সেনাসদস্য ও আট হামলাকারী নিহত হয়। নিহত সেনার নাম মোহাম্মদ আসিফ। আহত ঘাঁটিপ্রধান এয়ার কমোডর মোহাম্মদ আজমকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর ঘাড়ে গুলি লেগেছে। কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকভাবে দুই সেনা নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে যান। বিমানবাহিনীর মুখপাত্র তারিক সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা পুরো ঘাঁটি তন্ন তন্ন করে খুঁজেছেন। সেখানে কোনো হামলাকারীকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে টিটিপি। অজ্ঞাত স্থান থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফোন করে তালেবান মুখপাত্র এহসান উল্লাহ বলেন, ‘এই হামলা চালাতে পেরে আমরা গর্বিত। অনেক আগেই এই ঘাঁটিতে হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’
পাকিস্তানের বড় বিমান ঘাঁটিগুলোর মধ্যে একটি হলো এই বিমান ঘাঁটি। এখানে ৩০টির মতো বিমান রয়েছে। যার মধ্যে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা নতুন জেএফ-১৭ বিমানও রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছর করাচির মেহরান নৌ-ঘাঁটিতে হামলা চালায় তালেবান। এতে অন্তত ১০ জন নৌ-সেনা নিহত হন। বিবিসি, এএফপি, ডন।
পাঞ্জাব প্রদেশের কামরা এলাকায় অবস্থিত এই বিমান ঘাঁটি রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ৩৫ মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। রাত দুইটার দিকে ওই ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। বেশ কয়েকজন হামলাকারী সামরিক বাহিনীর পোশাক পরে রকেটচালিত গ্রেনেড ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। প্রথমে ঘাঁটির বাইরে থেকে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে একটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিমানবাহিনীর মুখপাত্র তারিক মাহমুদ জানান, বাইরে থেকে গ্রেনেড ছোড়ার পর হামলাকারীরা দেয়াল টপকে ঘাঁটির ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, একপর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা হামলা শুরু করে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষে বন্দুকযুদ্ধ চলে। এতে এক সেনাসদস্য ও আট হামলাকারী নিহত হয়। নিহত সেনার নাম মোহাম্মদ আসিফ। আহত ঘাঁটিপ্রধান এয়ার কমোডর মোহাম্মদ আজমকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর ঘাড়ে গুলি লেগেছে। কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকভাবে দুই সেনা নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে যান। বিমানবাহিনীর মুখপাত্র তারিক সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা পুরো ঘাঁটি তন্ন তন্ন করে খুঁজেছেন। সেখানে কোনো হামলাকারীকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে টিটিপি। অজ্ঞাত স্থান থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফোন করে তালেবান মুখপাত্র এহসান উল্লাহ বলেন, ‘এই হামলা চালাতে পেরে আমরা গর্বিত। অনেক আগেই এই ঘাঁটিতে হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’
পাকিস্তানের বড় বিমান ঘাঁটিগুলোর মধ্যে একটি হলো এই বিমান ঘাঁটি। এখানে ৩০টির মতো বিমান রয়েছে। যার মধ্যে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা নতুন জেএফ-১৭ বিমানও রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছর করাচির মেহরান নৌ-ঘাঁটিতে হামলা চালায় তালেবান। এতে অন্তত ১০ জন নৌ-সেনা নিহত হন। বিবিসি, এএফপি, ডন।
No comments