মামলার মুখেও আদালত নিয়ে মন্তব্যে অটল মমতা by সুব্রত আচার্য্য
'টাকা দিয়ে এখন বিচারের রায় কেনা যাচ্ছে'_এমন কথা বলে মামলার মুখে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে এ সত্ত্বেও নিজের অবস্থান থেকে তিনি নড়েননি। উল্টো তিনি আইনজীবী হিসেবে আদালতে দাঁড়িয়ে নিজের অভিযোগের স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলার আবেদন গ্রহণ করার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহাকরণে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, 'যা বলেছি সত্য বলেছি। সুযোগ পেলে আবারও বলব।' তবে তিনি এও বলেন, কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম তাঁর বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে।
গতকাল সকালে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয় নারায়ণ প্যাটেল এবং বিচারপতি কল্যাণ সেনগুপ্তের বেঞ্চে কয়েকজন আইনজীবী প্রথমে আদালতের প্রতি স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করার আবেদন জানান। বেঞ্চটি স্বপ্রণোদিত মামলার আবেদন খারিজ করেন। এর পরই আইনজীবীরা দুটি জনস্বার্থে মামলা করার আবেদন জানান।
জনস্বার্থে মামলা করার আবেদন গ্রহণ করে আদালত জানান, যেসব প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় মমতার মন্তব্য প্রচার করা হয়েছে, ওইসব মিডিয়ার প্রধানদের প্রচারিত সেই অংশ আদালতের কাছে জমা দিতে হবে। তিন সপ্তাহ পরে আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে দাঁড়িয়ে মমতা যেসব মন্তব্য করেছিলেন, এর ভিডিও ক্লিপিংস এবং পরদিন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের কাটিং দিয়ে আইনজীবীরা প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টকে একটি সুয়োমটো মামলার আবেদন জানান। প্রধান বিচারপতি এ মামলা করার এখতিয়ার নেই বলে জানান। এর পরই ওই আইনজীবীরা জনস্বার্থে মামলা করার আবেদন করেন।
বিধানসভার ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে মমতা বলেন, 'টাকা দিয়ে এখন বিচারের রায় কেনা যাচ্ছে। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। 'আমার এই মন্তব্য নিয়ে হয়তো কোর্ট কনটেম্পট করতে পারেন। আমার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। আমাকে জেলেও নেওয়া হতে পারে। কিন্তু আমার মতামত তো কোনো একটি জায়গায় আমাকে বলতে হবে। তাই আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।'
গতকাল সকালে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয় নারায়ণ প্যাটেল এবং বিচারপতি কল্যাণ সেনগুপ্তের বেঞ্চে কয়েকজন আইনজীবী প্রথমে আদালতের প্রতি স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করার আবেদন জানান। বেঞ্চটি স্বপ্রণোদিত মামলার আবেদন খারিজ করেন। এর পরই আইনজীবীরা দুটি জনস্বার্থে মামলা করার আবেদন জানান।
জনস্বার্থে মামলা করার আবেদন গ্রহণ করে আদালত জানান, যেসব প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় মমতার মন্তব্য প্রচার করা হয়েছে, ওইসব মিডিয়ার প্রধানদের প্রচারিত সেই অংশ আদালতের কাছে জমা দিতে হবে। তিন সপ্তাহ পরে আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে দাঁড়িয়ে মমতা যেসব মন্তব্য করেছিলেন, এর ভিডিও ক্লিপিংস এবং পরদিন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের কাটিং দিয়ে আইনজীবীরা প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টকে একটি সুয়োমটো মামলার আবেদন জানান। প্রধান বিচারপতি এ মামলা করার এখতিয়ার নেই বলে জানান। এর পরই ওই আইনজীবীরা জনস্বার্থে মামলা করার আবেদন করেন।
বিধানসভার ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে মমতা বলেন, 'টাকা দিয়ে এখন বিচারের রায় কেনা যাচ্ছে। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। 'আমার এই মন্তব্য নিয়ে হয়তো কোর্ট কনটেম্পট করতে পারেন। আমার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। আমাকে জেলেও নেওয়া হতে পারে। কিন্তু আমার মতামত তো কোনো একটি জায়গায় আমাকে বলতে হবে। তাই আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।'
No comments