ফের দাঙ্গা আসামে-আতঙ্ক কর্নাটকেও

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা দেখা দিয়েছে। রাজ্যের কামরূপ ও বাকসা জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনার জের গিয়ে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্ণাটক রাজ্যেও।


জানা গেছে, মোবাইলে খুদে বার্তায় (এসএমএস) পাওয়া হুমকির জেরে বেঙ্গালুরু ছাড়তে শুরু করেছে সেখানে বসবাসরত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দারা। এতে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে কর্ণাটক রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে বসবাসরত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষজন সম্পূর্ণ নিরাপদ। আতঙ্কিত হয়ে তাদের বেঙ্গালুরু না ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে একে 'গুজব' বলে দাবি করেছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভুটানের সীমান্তলাগোয়া আসামে সংখ্যাগুরু বোড়ো জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের সংঘর্ষ বাধে। এতে ৭৭ জন মারা গেছে বলে দাবি করা হয়। বাস্তুচ্যুত হয় প্রায় চার লাখ মানুষ।
ভারতীয় পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমস গতকাল জানিয়েছে, গত বুধবার রাতে বাকসা জেলার গান্ধীবাড়ী এলাকায় একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তখন থেকে গাড়ির চালক সহিদুল হোসেন নিখোঁজ রয়েছেন। এ খবর সহিদুলের রঙ্গিয়া এলাকায় পেঁৗছালে সেখানকার মানুষজন রাস্তায় বেরিয়ে আসে। তারা সড়ক অবরোধসহ একটি গাড়ি, একটি বাস ও একটি কাঠের সেতুতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ছুটে যান।
এএফপি জানিয়েছে, রাজ্যের নলবাড়ী জেলায়ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের ডাকা হয়েছে। তবে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে বুধবার রাত থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ বেঙ্গালুরু ছেড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য পেশাজীবী ও ছাত্রছাত্রী রয়েছে। সূত্র : এএফপি, আনন্দবাজার।

No comments

Powered by Blogger.